পবিত্র ঈদের একমুঠো শুভেচ্ছা।।এপ্রিল -২২/০৪/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
ইসলাম ধর্মের সব থেকে পবিত্র উৎসব গুলির মধ্যে একটি হলো ঈদ। ঈদ হলো ভ্রাতৃত্ব ও মিলনের উৎসব। সমস্ত বিভেদ ঘুচিয়ে একে অপরের বুকে টেনে নিয়ে অভিনন্দন ও ভালোবাসা বিনিময় করার দিন।দীর্ঘ একমাস কঠোর অনুশাসন, উপবাস, সংযম আর মহান সৃষ্টিকর্তার উপাসনার পরে আসে সেই কাঙ্খিত সময়। তবে এই উৎসবের দিনটি শুধু যে মুসলমানদের জন্য সেটা কিন্তু নয় আমরা নিজেরাও বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর লোকরাও এই দিনটা খুব সুন্দর এবং সাবলীল ভাবে পালন করার চেষ্টা করি। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর নীল আকাশের এক কোণে দেখা যায় এক অদ্ভুত সুন্দর চাঁদ এবং সেই দিনটা থেকেই আসলে ঈদের দিন শুরু। যদিও এই ব্যাপারে আমি খুব বেশি একটা জ্ঞান রাখিনা, আমার থেকে হয়তো অনেক বেশি ভালো জানেন আপনারা।আপনারা একটা বিষয় খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা, তবে আমি ব্যাপারটা খুব ভালো করে খেয়াল করেছি সেটা হলো যে, এই প্রচন্ড গরমে যখন মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার অবস্থা, মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছে। বলতে গেলে মানুষের জীবন কিছুদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেছিল তবে মুসলমানদের রোজা রাখা থেমে থাকেনি। অর্থাৎ সূর্য দেব নিজেও মুসলমানদের রোজার কাছে হার মেনে গেছেন। এই জন্যই তো হাতে হাত রেখে বলতে চাই-
কিছু অনুভূতি মনের মাঝে থেকে যায়,
কিছু স্মৃতি নিরবে কেদে যায়,
শুধু এই একটি দিন সব ভুলিয়ে দেয়
তা হলো ঈদের দিন….
❤️ঈদ মোবারক❤️
কলকাতা শহরে আসার পরে ঈদ কি জিনিস সেটা খুব বেশি একটা বুঝতে পারিনি। ঈদের দিনটাও নরমাল দিনের মতো লাগছে। কোথাও কোন ধরনের কোন পরিবর্তন নেই। আজকে যে ঈদের দিন সেটা একদমই মনে হচ্ছে না। রাস্তাঘাটে বেরোলে হয়তো কোথাও দু-একজন দেখা যেতে পারে, যারা সেজেগুজে ঘুরতে বেরিয়েছে তবে অধিকাংশ লোকই হয় অফিসের কাজে না হয় কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজে বাইরে বেরিয়েছে। এজন্য কলকাতাতে ঈদ খুব বেশি একটা বোঝা যায় না। তবে পার্টিকুলার কিছু জায়গা আছে সেখানে ঈদ উদযাপন করা হয় খুব ধুমধাম করে। তবে সেইসব জায়গাগুলোতে আসলে যাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে তারপরও আমরা চেষ্টা করি যে এই দিনটা খুব সুন্দর ভাবে কাটানোর, সেটা বন্ধু-বান্ধব হোক বা পরিবারের সাথেই হোক। আমার কাছে ঈদের দিন বা পূজোর দিন সবই সমান। এর আগের বছর ঠিক এই দিনে আমরা গিয়েছিলাম কলকাতার বাইরে ঘুরতে তবে এইবার প্রচণ্ড গরমে এবং সময়ের স্বল্পতার কারণে হয়তো আশেপাশে কোথাও ঘোরা লাগবে।
যখন আমি খুব ছোট ছিলাম তখন ঈদ এবং দুর্গাপূজার ভিতর খুব বেশি একটা তফাৎ খুঁজে পাইনি বা আমার পরিবারের লোক আমাকে এটা শেখায়নি যে এটা মুসলমানদের উৎসব আর এটা হিন্দুদের। ঈদের দিন সবাই বন্ধুবান্ধব মিলে বেরিয়ে যেতাম মাঠে। সেখানে হত বিশাল বড় মেলা, প্রচুর লোকের সমাগম হতো হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে আনন্দ ফুর্তি করত। আমার খুব কাছের একটা বন্ধু ছিল ফাহিম প্রতিবছরই তার বাড়িতে ঈদের দিন যাওয়া হতো এবং খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করত ফাহিম এর মা। বন্ধুত্ব এখনো আছে, তবে কাজের ভিন্নতার জন্য এখন দুইজন প্রায় দুই মেরুতে।
এখন তো শহর অঞ্চলে দেখছি যে ঈদ একদিন বা দুই দিনের ভিতরেই শেষ হয়ে যায়। তবে আমরা যখন গ্রামে ছিলাম তখন ঈদ এক দুই দিনের শেষ হতো না, রীতিমতো এক সপ্তাহ ধরে থাকতো এই ঈদের আমেজ। ছোটবেলায় দেখতাম আমাদের বাড়িতেও ঈদ উপলক্ষে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হতো এবং সবাই মিলে খুব আনন্দের সাথে দিনটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করতাম। যাইহোক এসব কথা বললে হয়তো আরো অনেক কথাই বলা যাবে। তবে আজকে পবিত্র এই ঈদের দিনে আপনাদের সকলকে আবারো জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আমার তরফ থেকে আপনাদের সকলের জন্য রইল প্রাণঢালা আশীর্বাদ। আশা করবো আপনারা আজকের দিনটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করবেন এবং পরবর্তী দিনগুলোও খুব ভালো কাটুক এই কামনা নিয়েই আজকের মতো এখানেই লেখা শেষ করছি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং। |
---|---|
লোকেশন | কলকাতা,ইন্ডিয়া। |
অসাধারণ লিখেছেন ভাইয়া আপনাকেও ঈদ মোবারক ঈদের শুভেচ্ছা। অনেক বাস্তবিক কথা লিখেছেন আসলে গরম যত হোক না কেন কিন্তু আমরা রোজা রাখা বন্ধ রাখেনি। শত কষ্টের মধ্যেও রোজাগুলো আমরা নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করেছি। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
এই গরমের মধ্যে রোজা রাখার ব্যাপারটা আমি অনেকদিন ধরেই নোটিশ করেছি, এজন্য ব্যাপারটা তুলে ধরলাম। আপনাকে ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ার জন্য।
প্রথমেই আপনাকে ঈদুল ফিতরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। আসলেই প্রথম ৯/১০ রোজার পর থেকে এতটাই গরম পরেছে যে মাঝে মধ্যে খুব কষ্ট হয়েছে রোজা রাখতে। কারণ কোথাও কোন কাজে গেলে গলা শুকিয়ে যেত। তখন খুব খারাপ লাগতো। তবে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সবগুলো রোজা রাখতে সক্ষম হয়েছি। সেজন্য লাখ লাখ শুকরিয়া জানাচ্ছি আল্লাহ পাকের দরবারে। তবুও আমার কাছে মনে হয় এবারের রোজা গুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গিয়েছে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাই ছোটবেলায় দেখতাম ঈদের আনন্দ সাতদিন থাকতো। তবে এখন ২/১ দিনেই ঈদের আনন্দ শেষ হয়ে যায়। কারণ সবাই খুব ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ঈদের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ভাই। আসলে এই প্রচন্ড গরমের ভিতরেও রোজা রাখার ব্যাপারটা আমাকে অনেক বেশি অবাক করেছে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ার জন্য।
ঈদ মোবারক ভাইয়া। ঈদ নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন পড়ে খুব ভাল লাগলো। আপনি ঠিক ই বলেছেন আমিও ছোটবেলা দেখতাম ঈদ এক সপ্তাহ থাকতো।টিভিতে ৭ দিন অনুষ্ঠান হতো আর আমিও ধরে নিতাম ঈদ এক সপ্তাহ থাকে।আর ওই এক সপ্তাহ খুব আনন্দ করতাম।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ছোটবেলায় ঈদ আসলে অনেক বেশি ভালো ছিল। এখন ঈদ হোক বা পূজা কেমন যেন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে, আগের মত আর মজা পাই না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ার জন্য।
ঈদ মোবারক ভাইয়া। ঈদ সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। আসলে ভাইয়া এবছরের রোজার শেষের দিকে খুবই তাপদহের কারণে রোজাটা করা একটু কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তারপরও আল্লাহর রহমতে রোজা সম্পন্ন করতে হয়েছে। আর এটা সত্য যে, এর আগে আমাদের পাড়া-গায়ে ঈদের আমেজ প্রায় এক সপ্তাহ যাবত থাকতো। কিন্তু এখন তেমনটা আর হয় না। তবুও আমাদের গ্রামাঞ্চলে ঈদের আনন্দটা অফুরন্ত হয়।
এই গরমের ভেতরও যে আপনারা সৃষ্টিকর্তাকে খুশি রাখতে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকেন নি, এটাই আমাকে অনেক বেশি অবাক করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ার জন্য।
ঈদ মোবারক দাদা। ঠিক বলেছো এই গরমে আমাদের জীবন যখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ,সারাদিন জল ছাড়া বাঁচতে পারছিলাম না তখনও কিন্তু মুসলমান ধর্মের ভাই বোনেরা রোজা রাখা বন্ধ করেনি। তাদেরকে স্যালুট জানাই । কলকাতাতে তো ঈদ এর অনুষ্ঠান খুব একটা দেখা যায় না। তবে কিছু কিছু জায়গাতে অবশ্যই অনেক মানুষ খুব হইহুল্লোড় করে ঈদের আনন্দে মেতে ওঠেন। ছোটবেলায় নিশ্চয়ই ঈদের অনুষ্ঠানে খুব মজা হতো। পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ,খুব সুন্দর কিছু কথা এখানে লুকিয়ে ছিল।
ছোটবেলায় আসলে ঈদ হোক বা পুজো দুটোতেই অনেক বেশি মজা হতো। তবে এখন কেন জানিনা অনেকটা ফ্যাকাস হয়ে গেছে ব্যাপার গুলো। পুজো আসে আবার চলে যায়, তবে সেই মজাটা আর পাইনা এখন।