মানুষের একটা বড় রকমের বদ অভ্যাস।। জুন -২৪/০৬/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
আজকের পোস্টটা যে লিখছি এটা এমনটা নয় যে হঠাৎ করেই মনে পড়ল আর হঠাৎ করেই লিখে ফেলছি ব্যাপারটা এরকম নয়। আমার এই ব্যাপারটা নিয়ে অবজারভেশন প্রায় তিন চার বছর ধরে এবং একই জিনিস আমি বারবার দেখে আসছি যেটা আমার কাছে অনেক বেশি বিরক্তিকর লাগে। অনেকটা এরকম রিলেটেড একটা টপিকস আমি বেশ কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তবে এটার ভিতরে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যাইহোক টপিক্সটা খুব বেশি বড় না এজন্য কয়েকটা অতিরিক্ত কথা বলে ফেললাম। এবার আসল কথায় চলে আসি। আপনারা আমরা প্রত্যেকেই বছরের কোন একটা সময় দুই একবার বিয়ে বাড়ি বা অন্যান্য অনুষ্ঠান বাড়ি খেয়ে থাকি। এই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন যারা করেন বা যাদের কষ্টে উপার্জিত টাকা এই খাওয়া-দাওয়ার পেছনে খরচ করেন একমাত্র তারাই বুঝতে পারেন যে তাদের কতটা কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমরা যারা খেয়ে আসি তারা কি ধরনের কথাবার্তা বলি বাইরে এসে সেটা নিয়েই দুই একটা কথা বলবো আর কি। যদিও মহিলারা এই ব্যাপারটা নিয়ে বেশি কথা বলে থাকে। পুরুষ মানুষ অত বেশি এটা নিয়ে ভাবে না। তবে কিছু কিছু মহিলাদের এই ব্যাপারটা অনেক বেশি বিরক্ত করে এবং জঘন্য।
এইতো কিছুদিন আগে একটা বিয়ে বাড়িতে গেলাম তখন খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন নিচে এসে দাঁড়িয়ে আছি তখন দেখি দুজন মহিলা তাদের ভিতরে কথোপকথন চলছে, যে কি সব রান্না করেছে মুখে দেওয়া গেল না। খাসির মাংস গুলো কেমন যেন গলেনি। তাছাড়া ডেকোরেশনটা এত বাজে দেখতে হয়েছে যে কি বলবো কিন্তু আমার যতদূর মনে পড়ে এই মহিলা গুলো যখন উপরে ছিল তখন কোনে পক্ষের সামনে অনেক প্রশংসা করেছিল। খুব সম্ভবত মাস দুয়েক আগের কথা আমার এক কাকুর বিয়েতে গিয়ে দেখি সেখানে বিয়ের ধুমধাম আয়োজন এবং এত টাকা খরচ করেছে বিয়ের পিছনে যেটা আসলে বলে শেষ করা যাবে না। তবে তারপরও কিছু কিছু মানুষের মুখে এমন এমন কথা শুনতে হয়েছিল যেটার জন্য আসলে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। আচ্ছা আপনারা একবার চিন্তা করে দেখেন, আপনার খাবার খেতে হয়তো সামান্য একটু এদিক ওদিক হতেই পারে। তাই বলে আপনি এমন কোন কথা বলতে পারেন না যাতে করে যারা এত টাকা খরচ করে, নিজের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এসব কিছু আয়োজন করেছে তাদের কষ্ট লাগে।
আপনি তো বলেই খালাস হয়ে যাবেন কিন্তু সেই মানুষগুলোর মনে কষ্ট থাকবে অনেক সময় ধরে। আপনার যদি খেতে ইচ্ছা না করে আপনি খাবেন না অথবা বিয়ে বাড়ি যেতে ইচ্ছা না করে আপনি যাবেন না। তাই বলে লোকের পিছনে এভাবে কথা বলা উচিত নয়। ও আর একটা কথা কিছু কিছু মহিলাদের আরও একটা বাজে অভ্যাস রয়েছে সেটা হলো যে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে কনে এর নিন্দে মন্দ করা। এই মেয়ে দেখতে ভালো না, গায়ের রংটা কেমন যেন চাপা। গলার গহনা মনে হচ্ছে খুবই কম দামের। এই ধরনের কথাবার্তা গুলো যারা বলেন তাদের আসলে আমি কোন ধরনের মানসিকতার মানুষ বলবো সেটা বুঝতে পারিনা। আরে ভাই আপনার সমস্যাটা কোথায়, যে বিয়ে করেছে সে বুঝে নেবে। আপনি এত কথা বলেন কেন। আমি জানি এখানে যারা রয়েছেন তাদের ভিতর কেউ এরকম নয়। তবে আমাদের আশেপাশে এরকম প্রচুর মানুষ রয়েছে যারা শুধুমাত্র মানুষের নিন্দা ছাড়া কিছুই করতে পারে না। আপনি যতই ভালো করার চেষ্টা করুন না কেন তাদের, তারা শুধুমাত্র আপনার খারাপ দিকটাই লোকের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবে সবসময়। এজন্য আমি জীবনে একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, যদি কখনো বিয়ে করার সৌভাগ্য হয় তাহলে নিজের কাছের মানুষ ছাড়া বাইরে একটা মানুষকেও নেমন্তন্ন করব না, যারা খেয়ে বাইরে গিয়ে দুর্নাম করবে। আমার মনে হয় এই মানুষগুলোকে খাইয়েও কোন লাভ নেই। বরঞ্চ নিজের টাকা নষ্ট এবং মানসিক চাপ।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং। |
---|
আপনি এ কথাটি খেয়াল করেছেন আসলে আমিও খেয়াল করেছি। বেশিরভাগ মানুষই বিয়ে বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার পর বদনাম করতে করতে আসে। এটা একদম ঠিক বলেছেন বিশেষ করে মহিলারা বেশি বলে। পুরুষরা যে বলে না এমনও না। এই ধরনের মান মানসিকতা থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসা উচিত।
শুধু মহিলারা না, পুরুষ মানুষও এই ব্যাপারগুলো অনেক বেশি করে থাকে, যেটা একেবারেই অনুচিত কাজ। যাইহোক পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মানুষ হল সব থেকে অকৃতজ্ঞজীব।খাবারের নিন্দে করা বিষয়টা আমার একদমই পছন্দ না।যে নিমন্ত্রণ করে সে খাওয়ানোর জন্যই করে,ইচ্ছা করে খারাপ রান্না সে কখনোই চাইবে না।এই সাধারণ জিনিসটা মানুষ যে কেন বোঝে না। আর সে অন্তত চেষ্টা করেছে এটাই প্রশংসার যোগ্য, কিন্তু আমাদের বিবেক এত নষ্ট হয়েছে যে আমরা উলটে নিন্দে করি।ধন্যবাদ দাদা অবজার্ভেশন করে দারুন একটি টপিক নিয়ে লেখার জন্য।
আমাদের এইখানে এই ব্যাপার গুলো অত্যাধিক মাত্রায় হয় যে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে শেষে দুর্নাম করে চলে যায়। তবে এই সংখ্যাটা খুবই কম যারা বলেন এবং এই মানুষগুলোকে দেখলেই বোঝা যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন, আশেপাশে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিন্দা ছাড়া আর কিছুই করতে পারে না। এটাও সত্যি কথা যে, মহিলারা পুরুষদের তুলনায় একটু বেশি নিন্দা করতে পছন্দ করে। তবে আপনি যখন বিয়ে করবেন তখন আপনার কাছের মানুষদের ছাড়া কাউকে ডাকবেন না বলে ঠিক করেছেন ,তবে তারাও নিন্দা করতে পারে ।
দেখো কাকে ডাকবো সেটা তো বড় ব্যাপার নয়, তবে এমন কোন মানুষকে ডাকবো না যারা খেয়ে পেছনে কথা বলে যায়। দরকার হলে দশ জন মানুষ ডেকে অনুষ্ঠান করব।
আমারও তাই মনে হয়, দরকার হলে ওই টাকায় আরও কয়েকটা সুন্দর সুন্দর ড্রেস কিনে নিয়ে সেজেগুজে ক্যামেরাম্যান ডেকে ফটো তুলব ।ওটা আরও কাজে দেবে। 😁
এটা অবশ্য তুমি ঠিকই বলেছ। হা হা হা... যারা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পেছনে কথা বলে চলে যায় তাদের না খাইয়ে নিজের সাংসারিক জিনিসপত্র কিনে রাখাই ভালো ওই টাকা দিয়ে।😂
😎😎😎😎😎😎😎😎😎
ভাই কিছু কিছু মানুষ আছে যারা পরনিন্দা না করলে,তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। তাই তারা বিয়ে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে খাওয়ার পরপরই সমালোচনায় লিপ্ত হয়ে যায়। আমিও সামনাসামনি অনেক শুনেছি এমনটা। শুধু মহিলারা নয়, অনেক পুরুষেরাও এমন সমালোচনা করে। সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সেই কামনা করছি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মহিলা পুরুষ সবাই কমবেশি সমালোচনা করে, তবে এটা করা একেবারেই উচিত নয় ভাই। কারণ যে ব্যক্তিটি এত কষ্ট করে লোকের খাবার দাবার জোগাড় করে, অন্তত তার কথা একবার চিন্তা করা উচিত।