এলোমেলো কিছু ফটোগ্রাফি।। জুলাই -২৩/০৭/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
এমনিতে অন্যান্য পোস্টের তুলনায় ফটোগ্রাফি পোস্ট আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। এর প্রধান কারণ হলো ফটোগ্রাফির প্রতি আমার অন্যরকম ভালোবাসা। যদিও আমি খুব বেশি একটা ভালো ফটোগ্রাফি করতে পারি না। তারপরও মোটামুটি চেষ্টা করি যতটা সুন্দর করে ফটো তোলা যায় আর কি। তবে প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি ফুলের ফটোগ্রাফি আমার অনেক বেশি পছন্দের। যদিও আজকে ফুলের ফটোগ্রাফি তেমন বেশি একটা নেই। যাইহোক আর বেশি কথা না বলে চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক। আশা করছি আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগাতে পারব।
গতকাল বিকেলের দিকে বারাসাত চাপাডালি মোড়ে গিয়েছিলাম আমার একটা কাজে। হঠাৎ করে দেখি প্রচণ্ড গতিতে বৃষ্টি নেমে পড়ল। যদিও এই সুযোগ টার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তারপর আবার মাথায় ছাতা না থাকার কারণে বের হতে পারিনি। পরে যখন বৃষ্টি থেমে যায় তখন আশেপাশের কয়েকটা ফটোগ্রাফি তুলেছিলাম তার ভিতর এই ফটোটা একটা। ব্যস্ত শহরে ব্যস্ত মানুষের প্রতিরূপ এটি।
বেশ কিছুদিন আগে এই ফটোটা তুলেছিলাম গঙ্গার ঘাটে গিয়ে। এখানে যে বিল্ডিংটা দেখা যাচ্ছে তৈরি হচ্ছে এটা কিন্তু অনেক বছর ধরে এখানে পড়ে আছে। অর্থাৎ নতুন করে এর কোন সংস্কার করা হয় না, আবার নতুন করে তৈরি করাও হয় না। আমি মনে হয় দুই বছর ধরে এরকম অবস্থায় দেখছি। তবে রিসেন্টলি নতুন ইট লাগানো হয়েছে মন্দিরের গায়ে।
প্রিন্সেপ ঘাটের রেল লাইনের ধার ধরে বেশ কিছু ছোটখাটো দোকান। আসলে এই দোকানগুলো কেন জানিনা এই জায়গার সৌন্দর্য অনেকগুলো বাড়িয়ে দেয়। এই রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে যে খাবারগুলো পাওয়া যায় সেগুলো অনেক বেশি টেস্ট। যদিও তারা কতটা হাইজিন মেন্টেন করে এই সম্পর্কে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তবে কলকাতায় আসলে এইসব জায়গার ফটো তুলতে কেউ মিস করে না, এত সুন্দর লাগে দেখতে।
এই ফটোটা তোলা হয়েছে আমাদের হৃদয়পুরের বাজার থেকে। আমি যখন বাজারে গিয়েছিলাম তখন দেখছি সবে মাত্র সবাই অল্প অল্প করে দোকান খুলছে। যেহেতু হালকা হালকা বৃষ্টি পড়ছিল পরিবেশটা অনেক সুন্দর লাগছিল। এজন্য ঝটপট একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম।
এটা হল আকন্দ গাছের ফুল। যদিও এই ফুলের কোন উপকারিতা আছে কিনা জানিনা। তবে এই গাছের পাতার রয়েছে অনেক বড় ঔষধি গুন। বিশেষ করে গায়ে ফোড়া হলে বা কোন ধরনের আগুনে পুড়ে গেলে এই গাছের পাতা ছেঁকে সেখানে লাগিয়ে দিলে অনেকটা উপশম পাওয়া যায়।
বারাসাত স্টেশন এর রেল লাইনের পাশে থেকে পড়ন্ত বিকেল বা গোধূলি বিকেলের একটা ফটোগ্রাফি। বিকেল বেলা এক পসরা বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার ফলে আকাশটা কেমন জানি লালচে রং ধারণ করেছিল এবং দেখতেও অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। এজন্য ঝটপট একটা ফটো তুলে নিয়েছিলাম।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ফটোগ্রাফি পোস্ট। |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | কলকাতা,ইন্ডিয়া। |
ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। সত্যি ভাইয়া বৃষ্টির ফটোগ্রাফি করার জন্য সবাই অস্হির মনে হচ্ছে তবে বৃষ্টির ছিটেফোঁটা ও নেই। যাইহোক ভাইয়া আপনার আকন্দ গাছের ফুল দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এদিকেও হালকা পাতলা বৃষ্টি হয়েছিল আপু। তবে তারপরও বৃষ্টির ভিতরে বেরিয়ে ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে রীতিমতো ঠান্ডা লেগে গেছে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
ভাই আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার নজর কেটেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল দেখে আমি চোখ ফেরাতে পারিনি। মনে হচ্ছিল যেন ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে উঠানো হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার ডিএসএলআর নেই ভাই, এজন্য নরমাল ক্যামেরা দিয়ে ফটো তোলার চেষ্টা করি। যাই হোক আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম।
ফটোগ্রাফি পোস্ট এর প্রতিযোগিতার জন্য আমিও খুব উৎসুক হয়ে পড়েছি। ভালো ফটোগ্রাফি করতে না পারলেও ,চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বৃষ্টি পড়লেই। তোমার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়। প্রিন্সেপ ঘাটের রাস্তার পাশের এই দোকানগুলোর খাবার সত্যি অনেক সুস্বাদু খেতে। ভেবে আবার একবার খেতে ইচ্ছা করছে, হি হি হি।
ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে আসলে আমিও অনেক বেশি উৎসুক ছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত তেমন বিশেষ কোন লাভ হয়নি। যাই হোক ফটোগ্রাফি গুলো অন্তত তোমার ভালো লেগেছে এটা জেনেই ভালো লাগছে।