বন্ধুদের সাথে আড্ডায় এবং খাওয়া-দাওয়ায় কিছুটা সময়।। জুলাই -২৫/০৭/২০২৩।।
☬নমস্কার সবাইকে☬
হ্যালো বন্ধুরা,
সুতরাং এই সুযোগ আর মিস করেছিলাম না। আমি, আমার ছোট ভাই এবং সাথে আরো একজন বন্ধুকে নিয়ে চলে গেছিলাম স্টার মলে শপিং করার জন্য। আমি সারা বছরেই কম বেশি শপিং করতে থাকি। তবে মাঝেমধ্যে বেশ ভারী শপিং করা হয় যখন বন্ধু-বান্ধব আসে। কারণ আমার নিজের চয়েজ খুব বেশি একটা ভালো না। এজন্য বন্ধুবান্ধব চয়েস করে দিলে সেটা আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। যাই হোক আমরা মোটামুটি দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বেলা চারটে নাগাদ ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। যেহেতু আমার বাড়ি থেকে স্টার মল হেঁটে পাঁচ সাত মিনিট লাগে, তবে অন্যান্যদের একটু বেশি সময় লাগে। তাই আমি আগে গিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম বেশ কিছু সময়। মোটামুটি আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর আমার বন্ধুরা সবাই এসে উপস্থিত হয়ে গেল। এরপর আমরা প্রথমে শপিং করলাম ইচ্ছামত। যদিও ঐদিন আমার বিশেষ কোন কিছু পছন্দ হচ্ছিল না। তবে অন্যান্য বন্ধুদের জিনিসগুলো আমি পছন্দ করেই দিচ্ছিলাম।
মোটামুটি শপিং করে হাত ভর্তি করে সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম এইবার তাহলে একটু খাওয়া-দাওয়া করা যাক। সত্যি কথা বলতে আমাদের এক একজনের পছন্দ আসলে এক এক রকম। কেউ পিজ্জা খেতে পছন্দ করে, কেউ পছন্দ করে বার্গার খেতে, আবার কেউ তো বলে ওঠে যে সে বিরিয়ানি খাবে। মোটামুটি তর্ক বিতর্ক শেষ করে আমরা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে আজকে আমরা বিভিন্ন রকমের পিজ্জা খাব। আমাদের বারাসাতেই বেশ কয়েকটা পিজ্জা রেস্টুরেন্ট রয়েছে। তবে স্টার মলের উপরে বসে পিজ্জা খাওয়ার আসলে দারুন মজা। কারণ ওখানে প্রচুর লোক থাকে এবং বেশ সুন্দরভাবে আড্ডা দেওয়া যায়। যাইহোক আমরা সেখানে পৌছাই তো অবাক হয়ে গেলাম। কারণ এত ভিড় ছিল সেখানে যে বসা তো দূরের কথা দাঁড়িয়ে যে অর্ডার দেব সেটাই ঠিক করে করতে পারছিলাম না। তবে আমাদের একটু দাঁড়াতে বলল, কারণ অনেকেই বেশ কিছু সময় ধরে বসে ছিল হয়তো তারা উঠে যাবে। যাইহোক বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পর একটা জায়গা খালি হলো আর আমরা সেখানে গিয়ে ঝটপট বসে পড়লাম।
এবার শুরু হলো পিজ্জা অর্ডার দেওয়ার পালা, কে কোনটা খাবে। আমার ছোট ভাই যেহেতু ভেজিটেরিয়ান তাই সে চিকেনের কোন পিৎজা খাবে না। তাই তার জন্য স্পেশাল ভেজিটেবল পিজ্জা অর্ডার করা হলো। আর আমি অর্ডার করেছিলাম একটা স্মোকি তান্দুরি পিজ্জা আর একজন মনে হয় একটা পাস্তা পিজ্জা এবং একটা চিজ লোডেড পিজ্জা অর্ডার করেছিল। তবে আমরা আলাদা আলাদা পিজ্জা অর্ডার করলেও খাওয়ার সময় সবাই একসাথে মিলে মিশেই খেয়েছিলাম রঙ্গিন কে বাদ দিয়ে। এর পর শুরু হয় আমাদের পুরনো দিনের গল্প কথা। কখন যে এরকম করতে করতে এক ঘন্টা সময় পার হয়ে গেছিল আমরা আসলে বুঝতে পারিনি। এরপর সবার জন্য কোল্ড্রিংস অর্ডার করে তৃপ্তি করে খেয়ে সেখান থেকে বেরোনোর জন্য রেডি হলাম। আসলে ডমিনোজের পিৎজা নিয়ে কোন রিভিউ দেওয়া যায় না। কারণ এর প্রত্যেকটা পিজ্জা খেতে অসাধারণ সুন্দর হয়। তবে পিজ্জা হাটের পিৎজাও কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। যাই হোক সেখান থেকে বেরিয়ে আরেকটু এদিক ওদিক হাটাহাটি করে আমরা যার যার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সত্যি কথা বলতে ওই দিনটা অনেক ভালোই কেটেছিল আমাদের সবার।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফ স্টাইল। |
---|---|
ডিভাইস | Samsung Galaxy M31s |
ফটোগ্রাফার | @rupaie22 |
লোকেশন | মধ্যমগ্রাম, কলকাতা। |
ফুড রিভিউ কিংবা লাইফ স্টাইল এই ধরনের পোস্টগুলো আমার খুব একটা করা হয় না। যেহেতু বাইরে খুব একটা যাওয়া হয় না তাই এই ধরনের পোস্ট করার সুযোগ হয় না। দাদা আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে এবং খাওয়া-দাওয়া করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।
আমি আবার বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করি আপু। এই জন্য এই ধরনের পোস্ট আমি বেশি share করি আর কি। পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আসলেই ভাই ডমিনোজ এর পিৎজার কোনো রিভিউ দেওয়া যায় না। কারণ ডমিনোজ এর পিৎজা সবসময়ই দারুণ হয়। পিৎজা আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। ডমিনোজ এবং পিৎজা হাট এর পিৎজা খুব ইয়াম্মি লাগে খেতে। পিৎজার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না ভাই। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা এবং খাওয়া-দাওয়া, সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি তো একসময় নিয়মিত ডমিনোজ এর পিজ্জা খেতাম। তবে মোটা হয়ে যাওয়ার জন্য এখন বাদ দিয়েছি। তবে টেস্ট এর দিক থেকে ডমিনোজ এর পিজ্জা সেরা।
বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরা, আড্ডা, খাওয়া দাওয়া করে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন দেখছি দাদা। বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে আমারও অনেক বেশি ভালো লাগে। রঙ্গিন দাদাকে বাদ দিয়ে তাহলে পিজ্জা খেয়ে ফেললেন সবাই মিলে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
রঙ্গিন তো মাছ মাংস কিছু খায়না, ও তো নিরামিষ ভোজী। এই জন্য ওকে বাদ দিয়েই খেতে হয়েছিল ভাই। তবে ও কিন্তু veg পিজ্জা খেয়েছিল।
বন্ধুরা মিলে এভাবে দেখা করতে খুবই ভালো লাগে। পুরনো দিনের সেই বন্ধুগুলো পুরনো দিনের সেই বন্ধুগুলো সব সময় যেন তারা আমাদের পাশে থাকে। আমরাও সুযোগ পেলেই দেখা করি। এতগুলো পিজ্জা অর্ডার দিলেন একটা আমার জন্য পাঠিয়ে দেন ভাইয়া। অবশ্য আপনারা তো সে কবেই এগুলো খেয়ে ফেলেছেন 😣😁।।
আপনি কলকাতা চলে আসেন আপু, আপনাকে অবশ্যই খাওয়াবো😁। আমার বন্ধু গুলো বেশ ভালো, বিপদে সব সময় তাদের আমি পাশে পাই।
বন্ধুদের সাথে ঘুরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়া তো ভালোই করলেন।খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। বন্ধু মানেই আনন্দ, বন্ধু মানেই খাওয়া -দাওয়া।সুন্দর কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি যখন বন্ধুদের সাথে থাকি তখন অনেক ভালো সময় কাটে আমার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
স্টার মলের উপরে এমনিতেও সবকিছুর দাম অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে kFC এবং pizzert এদের দাম তো অনেক বেশি সবসময়। তবে বন্ধুদের সাথে ভালো সময় কাটানো এটাই অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট বলে আমি মনে করি। অনেকদিন পর বন্ধুদের দেখতে পেয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছো সেটা তোমার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারছি।
আসলেই দাম অনেক বেশি। ওর থেকে বাইরে খাওয়া অনেক ভালো। তবে বন্ধুদের সাথে যেহেতু ভালো সময় কাটাতে গেছিলাম এই জন্য এত কিছু আর চিন্তা করিনি।