রেসিপিঃ গাজরের হালুয়া ।। ১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox এর জন্য এবং ৫%বেনিফিশিয়ারি @abb-school এর জন্য। ।
আসসালামু ওয়ালাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার আমরা কেউ কেউ খুব পছন্দ করি। আবার কেউ আছি তেমন একটা পছন্দ করি না কিন্তু খাই। কেউ কেউ আবার মোটা হবার ভয়ে মিষ্টি এড়িয়ে চলি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিষ্টি যেন না খেলেই নয়। যেমন যদি হয় কোন স্পেশাল হালুয়া, পায়েস, সেমাই, ইত্যাদি তাহলে তো খেতেই হয়।
আমি মিষ্টি খাবার তেমন একটা পছন্দ করি না। কিন্তু স্পেশাল কিছু হলে খাই। তেমনি একটা স্পেশাল ডেজার্ট এর রেসিপি নিয়ে এসেছি আজ আমি।
আপনাদের সাথে আজ আমি শেয়ার করবো গাজরের হালুয়া। চলুন তাহলে দেখে নেই কি কি লাগছে গাজরের হালুয়া তৈরি করতে।
উপকরন ও পরিমাণঃ
উপকরণ | পরিমাণ |
গাজর | হাফ কেজি |
লিকুইড মিল্ক | হাফ কেজি |
চিনি | হাফ কাপ |
পাউডার মিল্ক | হাফ কাপ |
ঘি | পরিমানমতো |
কাঠ বাদাম | ১০-১৫টি |
এলাচ | ৩টি |
কেওড়া জল | ১ চা চামচ |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
রান্নার পদ্ধতিঃ
ধাপ-১
গাজরগুলো কুচি করে নিতে হবে। চাইলে ছুরি দিয়ে করা যায়। কিন্তু মেশিনে করলেই ভালো।
ধাপ-২
কড়াইতে ঘি দিয়ে তাতে এলাচ মাঝ বরাবর ফেরে দিয়ে দিবো। একটু পর ঘি গরম হলে কুচি করা গাজর দিয়ে দিবো।
ধাপ-৩
তারপর কিছু সময় ধরে ভেজে নিবো যতক্ষণ না পর্যন্ত কালার একটু পরিবর্তন হয়।
ধাপ-৪
হাফ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে একটু ঘন করে নিবো।
ধাপ-৫
এইবার জ্বাল দিয়ে রাখা দুধ ভাজা গাজর এর মধ্যে ধেলে দিবো। নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে দিবো।
ধাপ-৬
মাঝে মাঝে নাড়তে থাকবো যেন কড়াই এর নিচে লেগে না যায়। অপেক্ষা করতে হবে দুধ শুকিয়ে আসা পর্যন্ত।দুধ শুকিয়ে গেলে গাজর খুন্তি দিয়ে থেঁতলে দিতে হবে।
ধাপ-৭
তারপর এখানে পরিমাণমতো চিনি দিয়ে দিবো এবং নেড়ে ভালো করে মিশিয়ে দিবো। গাজর মিষ্টি তাই চিনির পরিমান কম দিলাম।
ধাপ-৮
চিনি ভালো মতো মিশে গেলে এবার পরিমাণমতো গুঁড়ো দুধ দিয়ে দিবো এবং ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
ধাপ-৯
গাজরের হালুয়া প্রায় যখন হয়ে আসবে তখন কিছু কাঠবাদাম কুচি আর কেওড়া জল দিয়ে দিবো। চাইলে বাদামটা পরিবেশনের সময় দিলেও হবে। আমি আগেই দিয়েছি।
এইতো হয়ে গেল গাজরের হালুয়া। খেতে বেশ অসাধারণ হয়েছিল এই গাজরের হালুয়া। আমার হাজবেন্ডের খুব পছন্দ আমার হাতের তৈরি এই গাজরের হালুয়া। তাই সে প্রায় সময়ই আমার কাছে বায়না করে এই গাজরের হালুয়া খাওয়ার জন্য। আর আমার পরিবারের সবার কাছেই খুব ভালো লেগেছিল গাজরের হালুয়া। আসলে আমার হাতের রান্না আমার পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে। তাই আমি তাদের ভালোবেসে রান্না করে খাওয়াই।
টিপস-এন্ড-ট্রিকসঃ
যেকোনো ডেজার্ট রান্নায় সামান্য পরিমাণ লবণ দিলে মিষ্টির স্বাদটা ভালো বোঝা যায়।
আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে এই গাজরের হালুয়া?
আশা করি ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো আমার তৈরি গাজরের হালুয়া আমাকে অবশ্যই জানাবেন।
সবাই ভালো থাকবেন। রমজান মাস চলছে তাই সবাই সবার জন্য খুব বেশি বেশি দোয়া করবেন।
আপনার গাজরের হালুয়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খেতে ও মনে হচ্ছে খুবই ভালো লেগেছে। আমার লোভ লেগে গেছে আপনার রেসিপি দেখে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই রেসিপিটি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
গাজরের হালুয়া সত্যি খুব অসাধারণ হয়েছিল আপু। চেষ্টা করেছি গুছিয়ে পোস্টটা করার। ধন্যবাদ আপু আপনাকে আর শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
গাজরের হালুয়া আমার খেতে অনেক মজা লাগে। আপু আপনি আজকে চমৎকার ভাবে গাজরের হালুয়া রেসিপি শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আমারও গাজরের হালুয়া বেশ পছন্দের। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
মিষ্টি জিনিসটা আমিও বেশ পছন্দ করি।তবে এক সাথে বেশি মিষ্টি খেতে পারি না।যাই হোক আপনার গাজরের হালুয়াতে অনেক উপাদান দিয়েছেন।উপাদান গুলো দেখেই মনে হচ্ছে মজা না হয়ে পারেই না।যাই হোক আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
যেসব উপাদান দিলে গাজরের হালুয়া একটু স্পেশাল মনে হবে সেগুলোই দেওয়ার ট্রাই করেছি আপু। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকেও।
গাজরের হালুয়া অনেকেই তৈরি করতে দেখেছি, কিন্তু নিজে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার হালুয়া টি একটু খিটখিটে হয়েছে, ভালো একটু নরম হলে অবশ্য খেতে বেশ ভালো লাগে। যাইহোক টিপস এন্ড ট্রিক্স টি কিনতে পছন্দ হয়েছে আমার হাহা😍
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গাজরের হালুয়া অত্যন্ত সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি খাবার। আমি নিজেই গাজরের হালুয়া খেতে অনেক পছন্দ করি। ছোট বাচ্চাদের এরকম করে হালুয়া তৈরি করে খাওয়ালে তারা অনেক পুষ্টি পাবে। খুব সুন্দর একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও
গাজরের হালুয়া আমি অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে দুইদিন আগে হাফিজ ভাইয়ের একটা পোস্ট দেখে বলছিলাম গাজরের হালুয়ার কথা। আপনার তৈরি করা হালুয়া অনেক লোভনীয় দেখতে লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গাজরের হালুয়া তো আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার কিন্তু দুঃখের বিষয় দীর্ঘদিনের তৈরি করা হয় না। তবে আপনার এত সুন্দর রেসিপি দেখে আবারও উৎস এলো মনে
দুঃখ না করে বানিয়ে ফেলুন গাজরের হালুয়া ভাইয়া। প্রশংসা করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার গাজরের হালুয়া অসাধারণ হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। রন্ধন প্রক্রিয়া ধাপসমূহ খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এমন প্রশংসনীয় একটি মন্তব্য করার জন্য।
গাজরের হালুয়া কখুনো খাওয়া হয়নি। মনে হচ্ছে এটা খুবই সুস্বাদু হবে।দারুন লাগছে দেখতে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
গাজরের হালুয়া তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে রান্না করাতা খেয়েছি বেশ ভালোই লাগে খেতে।তবে আপনার তৈরি করা গাজরের হালুয়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা গাজরের হালুয়ার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।