আমাদের আড্ডা -০১।। মাঝ রাতের পাগলামি 🎶🤟
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি নিজে কিছুটা অসুস্থ শারীরিক ভাবে। জ্বরটা কমলেও কাশিটা কমছে না একদমই। একদম অত্যাধিক পর্যায়ে গেছে। হয়তো আরো কয়েকদিন সময় নেবে সেরে উঠতে। বিগত কয়েক দিনের ঠান্ডার তীব্রতা টাও কিছুটা কমতে শুরু করেছে মনে হয়। রাতের বেলায় ঠান্ডা পড়লেও দিনের বেলা ভালো রকমের রোদের দেখা পাচ্ছি। যেটা বেশ সস্থির একটা বার্তা। হয়তো শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে এভাবেই কমে যাবে।
এই অসুস্থ অবস্থা নিয়েই হঠাৎ করেই যেতে হয়েছিল ঢাকাতে। ঢাকা গিয়ে কই থাকব এটা নিয়েই মাঝে মধ্যে আমি শঙ্কায় পড়ে যাই। বন্ধু আর জুনিয়র যারা আছে কেউ একজন শুনলেই তার কাছে যাওয়া নিয়ে টানাটানি শুরু করে। তবে এবার অন্য কোথাও না গিয়ে উঠেছিলাম রাজীবের কাছে। রাজীব আমার জুনিয়র হলেও কিন্তু একদম বন্ধুর মত। রাজীব কে অনেকেই আপনারা চিনেন। আমার বাংলা ব্লগের ভেরিফাইড সদস্য ছিল। এখন নিজের ব্যস্ততায় আর খুব একটা কাজ করতে পারে না।
যাই হোক, রাজীবের সাথে থাকব আর রাজীবের সাথে গানের আড্ডা হবে না, তাই কি কখনো হয়! আসলে আমরা কেউই সেটা মিস করতে চাই না। আর রাজীবের ফ্ল্যাটে যারা যারা থাকেন, মোটামুটি সবাই টুকটাক গান বাজনা করেন। একদম চাঁদের হাট এক কথায়। হিহিহিহি।
একটা রুমের মধ্যে প্রথমে আমরা তিনজন শুরু করলাম আড্ডা দেওয়া। মজার ব্যাপার সেখানে একটা কাহন ও ছিল। ওটা দেখে আমার অসুস্থতা ধুম করে যেন কোথায় পালিয়ে গেল। আমার খুবই পছন্দের একটা ইনস্ট্রুমেন্ট হলো কাহন। রাজিব এবং ওর আরেক বন্ধু গিটার নিল হাতে, এদিকে আমি কাহন নিয়ে বসে গেলাম। আর কি লাগে! একের পর গান চলতে লাগলো মাঝ রাত অবধি।
সেই রাতে বেশ কিছু গান আমি ভিডিও করেছি। সেখান থেকে একটা ভিডিও আজ শেয়ার করছি সবার সাথে। আশা করি সবার ভালো লাগবে। আর কেউ যদি কাহনের মজাটা নিতে চান তাহলে অবশ্যই কানে হেড ফোন লাগিয়ে পুরো গানটা শোনার অনুরোধ রইলো। যেহেতু আড্ডার ছলে সবটা করা, তাই গানের ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এমনটাই আশা করছি।
সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
সত্যি ভাইয়া অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে আপনাদের আড্ডা আর সাথে এই গানটাও। গানটা কিন্তু আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি পুরোটা বেশ ভালোই মনোযোগ দিয়ে শুনেছি। মাঝ রাত অব্দি বেশ ভালোই গান বাজনা করেছিলেন তাহলে নিজেরাই। কাহন থাকার কারণে কিন্তু বেশি ভালো লেগেছে। আপনার বন্ধুর কন্ঠ সুন্দর। গানটাও শুনতে ভালো লেগেছে এজন্য। আপনাদের আড্ডার পরবর্তী পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। এবং পরবর্তী গানগুলো শোনার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
অনেকগুলো গানই রেকর্ড করা আছে আপু। আশা করি আরো চার পাঁচ টা গান এভাবে পোস্ট করব। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
বর্তমান সময়ে খুব সাবধানে থাকতে হবে। কারণ দিনের বেলায় গরম এবং রাতে ঠান্ডা হওয়ার কারণে সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় এসেছেন তা তো জানালেন না। সবাই মিলে একসঙ্গে বসলে এরকম আড্ডা কি মিস হয় নাকি। তখন শরীর এমনিতেই সুস্থ হয়ে যায়। তাছাড়া গানের আসর বেশ জমেছিল মনে হচ্ছে। ভালো লাগলো শুনে।
আসলে হুটহাট করে যাওয়া হয় ঢাকায়, আর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই চলে আসতে হয়। তাই ইচ্ছে থাকলেও জানানো হয় না আপু। ভালো কিছু হোক, তারপর ঠিক জানিয়ে আপনার কাছ থেকে খেয়ে আসবো। অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। দোয়া করি যেন আপনি পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেন। সবাই যেহেতু একসাথে হয়েছেন তাই বুঝতেই পারতেছি আড্ডাটা বেশ ভালোই জমিয়েছেন। আর যদি হয় গানের আড্ডা তাহলে তো কোন কথাই নেই। মাঝরাত পর্যন্ত এভাবেই গানের আড্ডা চলেছিল শুনে ভালো লাগলো। আপনার পরবর্তী আড্ডার গান গুলো শোনার জন্য এখন অপেক্ষায় আছি ভাই।
আসলে আমরা একসাথে থাকলে এমন আড্ডা জমে ক্ষীর হয়ে যায় একদম, হিহিহিহি। সামনে আবার এমন পোস্ট করব। অনেক ধন্যবাদ ভাই সব সময় এমন সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাদের গানগুলো শুনে বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু আপনি অসুস্থ থাকার পরেও ঢাকায় গিয়েছেন সেটা দেখে একটু খারাপ লাগলো। আসলে এবারে প্রচুর ঠান্ডা পড়তেছে। আমার তো মনে হয় এরকম শীত আগে কখনো পড়েনি। যাইহোক আপনারা বেশ জমিয়ে মধ্যরাতে গান বাজনা করলেন। আপনারা বন্ধুরা সবাই এক হয়ে বেশ মজা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন এরকম হঠাৎ করে বন্ধুদের সাথে দেখা হলে আনন্দটা অনেকটাই বেড়ে যায়। আপনাদের গানের আসরটা আসলেই বেশ অনেকটাই জমে ছিল। আপনাদের পরবর্তী গানের আসরের অপেক্ষায় রইলাম।
আসলে আপু প্রয়োজনের তাগিদেই এই অসুস্থ শরীর নিয়ে ছুটতে হয়েছিল। তারপরও সবাইকে পেয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম বলা চলে। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।