এক পশলা বৃষ্টি ।। একটু প্রশান্তি
নমষ্কার,,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও কোনরকমে পার করছি আমার দিন। যা গরম পরেছে তাতে স্বস্তিতে থাকার কোন উপায় নেই। খাবার হজম করতে বাইরে যাওয়ার যেন কোন প্রয়োজন হচ্ছে না। শরীর ঘেমেই যেন সবকিছু বের করে দিচ্ছে। এক ফোঁটা বৃষ্টির জন্য তীর্থের কাকের মত সকাল থেকে যেন ওৎ পেতে থাকা হয়।
আজ দুপুর থেকে হালকা হালকা মেঘ দেখছি আকাশে। একটা সময় সূর্যটা ঢেকে গেল। ভীষণ খুশি হয়ে গেলাম। যাক আজ সুখবর হবে তাহলে। একটু পরেই আবার ফাটানো রোদ। মনে মনে দুটো গালিও দিলাম। তারপর নিজের কাজে লেগে গেলাম। কদিন ধরে খুব বাজে সময় যাচ্ছে। মেন্টাল প্রেসার তার সাথে দৌড়োদৌড়ি করতেই জীবন শেষ। আর এই গরমে জীবন যেন অতিষ্ঠ। রাত ৩:৪ টার আগে যেন শরীর ঠান্ডা হয় না। ফ্যানের বাতাস পর্যন্ত গরম।
তো আজ বিকাল বেলা হাতে ফোন নিয়েছি একটু। হঠাৎ করেই বাবা চিৎকার করে ডাকছে ছাদে আয়। বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। কিছু ভারী জিনিস দেওয়া ছিল তুলতে হবে। আসলে আমি বাবার ডাক শুনে রীতিমত চমকে গেছি। কারণ আকাশে একফোঁটা মেঘ ছিল না তখন। বৃষ্টি টা শুরু হলো কি করে এটাই বুঝলাম না। সেই বৃষ্টি যে একটু বেশি সময় ধরে হবে সেটাও না। পনের মিনিট এর মত অঝোরে হলো। তারপর ধুম করে থেমে গেল। তবে যেটুকু হয়েছে অনেক জোরে বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির শেষ হতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলাম। খেলার মাঠ টাই গিয়ে বসলাম। জানতাম সব ছেলে পেলে বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলবে নিশ্চিত। গিয়ে পেলামও তাই। মাঠের এক প্রান্তে বড়রা ফুটবল খেলছে আর এক প্রান্তে ছোট ছোট বাচ্চারা। ভিজে একাকার হয়ে গেছে। কাদা জল গায়ে মেখে দারুন আনন্দে খেলায় মেতে উঠেছে। কখনো বা ধপাস ধপাস করে পরে যাচ্ছে। দৃশ্য গুলো এত মজার । বসে বসে হাসছিলাম আর উপভোগ করেছিলাম। একটা সময় কত খেলতাম এমন। হাত পা কেটে একাকার হয়ে যেত। চোখে কাদা গিয়ে চোখের বারোটা বাজিয়ে বাড়িতে আসতাম। সাথে স্কুল ড্রেস টাও। আহা কি মধুর সে স্মৃতি!
আকাশ টা একটু পর পরই তার রূপ পরিবর্তন করছিল। গোধূলী লগ্নে চমৎকার লাগছিল দেখতে। এক মনে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। জানিনা কি ভাবছিলাম। তবে ভালো লাগছিল খুব। খুব নির্মল একটা বাতাস ছিল। শরীরে অদ্ভুত একটা প্রশান্তি লাগছিল। কখন যেন ধুম করে সন্ধ্যে নেমে আসলো। কালচে আধার যেন ঘিরে ফেললো। কালো আঁধার অনেক খানি গ্রাস করে নিয়েছে জীবন টার। আর নয়। তাই বাড়ি ফিরে আসলাম তারাতারি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এক ফোটা বৃষ্টির জন্য আমরা সবাই তিতের আগের মত অপেক্ষা করেছিলাম বেশ কিছুদিন। যদিও আজকে খুব একটা বেশি বৃষ্টি হয়নি তারপরও যতটুকু হয়েছে ততটুকুই আমাদের কে গরমের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।
আমাদের এলাকাতে খুব বেশি হলে ১০ মিনিটের মত বৃষ্টি হয়েছে।
তিন দিন হলো টানা বৃষ্টি হচ্ছে কিন্তু তারপরেও গরম কমছে না যেন। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে দারুন ভাবে ভুগতে হচ্ছে আমাদের সবাইকে। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য
যাক ফাইনালি দাদা বৃষ্টি দেখা পাইলেন । আমাদের দিকেও গতকাল বৃষ্টি হয়েছে । কিছুক্ষণের জন্য বৃষ্টির পরশে ছিলাম , খুবই ভালো লাগছিল তখন । ছোটবেলার অনুভূতিগুলো আসলে অন্যরকম ছিল । কাদামাটির মধ্যে পিছলিয়ে পড়ে যেতাম ব্যাগে ভর্তি বই নিয়ে স্কুলে চলে যেতাম । সেই দিনগুলো আসলে খুব মিস করি দাদা ।
শৈশবের সেই দিনগুলো খুব ফিরে পেতে ইচ্ছে করে। যান্ত্রিক জীবনের যন্ত্রণা আর ভালো লাগেনা। ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
আহা একটু বৃষ্টি যদি আমাদের জন্য পাঠিয়ে দিতেন তাহলে খুবই ভালো হতো। গরমে আর পারছি না। ফ্যানের নিচে বসলে একটু ঠান্ডা লাগে তা না হলে গরমে ঘেমে গোসল হয়ে যায়। যাই হোক আপনাদের ওইদিকে বৃষ্টি যেহেতু হয়েছে আমাদের এদিকেও খুব দ্রুতই হবে মনে হচ্ছে। আপনিও বাচ্চাদের সঙ্গে খেলায় নেমে যেতেন ভালো লাগতো।
যা বৃষ্টি আমার আপুর বাড়ির ছাদ ভিজিয়ে দিয়ে আয় 😊😊। সবকিছু ফেলে ছুটে গিয়ে যদি খেলতে পারতাম সত্যিই ভালো লাগতো। অনেক ভালো থাকবেন আপু।
পছন্দ গরমে বৃষ্টির জন্য আমরা সবাই খুব অপেক্ষা করছি। কখন যে বৃষ্টি হবে এই ভেবে। আপনার পুরো পোস্টটি পড়ে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। বৃষ্টিতে ভেজার অনুভূতিগুলো সত্যি খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। বৃষ্টি আসলে সবার মনে খুব প্রশান্তি হওয়ার বইতে থাকে। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
কয়েকদিন হল টানা বৃষ্টি হচ্ছে ভাই কিন্তু তারপরেও গরম কমার কোন লক্ষণ দেখছি না। আজকেও আকাশটা মেঘলা। দেখা যাক কি হয়। অনেক ভালো থাকবেন