সৌরভ ভাই আর শ্রাবণী আপুর সাথে কাটানো একটা সন্ধ্যা
নমস্কার,,
ভার্সিটি লাইফ থেকেই বড় ভাইয়া আপুদের সাথে আমার বেশ ভালো একটা সম্পর্ক। সবার কাছ থেকে অনেক অনেক আদর আর ভালোবাসা পেয়েছি। আমার অনেক বড় একটা সৌভাগ্য এদিক থেকে বলতে গেলে। সবাই হয়তো এতোটাও পায় না। আজ কে কোথায় আছি কারোর সাথে সেই ভাবে যোগাযোগ নেই। সবাই সবার লাইফ নিয়ে ব্যস্ত। আর আমি নিজে যে একটু খোঁজ খবর নেব সেটাও হয়ে ওঠে না। আসলে মানসিক শান্তি টা নেই মনে। তাই সব কিছু থেকে নিজেকে একটু বেশিই এড়িয়ে চলি।
সেদিন হঠাৎ দেখি শ্রাবণী আপু আমাকে ম্যাসেজ করেছে। আপু আমার তিন ব্যাচ সিনিয়র। বিয়ে হয়েছে সৌরভ ভাইয়ের সাথে। ওনারা একই ব্যাচের। বছর দেড়েক হলো তাদের একটা ছেলে বেবিও হয়েছে। আপুর ম্যাসেজ দেখে আমি ভীষণ খুশি হয়ে যাই। আর মজার ব্যাপার আমি তখন বাসের ভেতর, ঢাকা যাচ্ছি সেদিন। তো আপুর সাথে কথায় কথায় হঠাৎ আমাকে বললো সজীব ঢাকা আসলে দেখা করো একদিন। আমি বললাম আমি তো অলরেডি বাসে আপু। ঢাকা যাচ্ছি। যেহেতু পরদিনই চলে আসবো, তাই আপু বললো ঢাকা পৌঁছেই যেন তার ঐদিকে চলে যাই, কারণ এই পরে পরে করে আর কারোর সাথে দেখাই হয় না। কোন কাজও ঠিকমত করা হয়ে ওঠে না। আমি বললাম , আপু দোয়া করেন যেন সুস্থ ভাবে পৌঁছাই। তারপর না হয় সন্ধ্যায় চলে যাব আপনার ওখানে।
ঢাকা পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ শুয়ে রেস্ট নিলাম। তারপর সন্ধ্যার দিকে আপু আর ভাইয়ার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আমি যেখানে ছিলাম তার খুব কাছেই আপুর বাসা। তাই বেশি লেট হয় নি। মোটামুটি চার বছর পর তাদের দুজনের সাথে দেখা। সৌরভ ভাই এমন ভাবে বুকে জড়িয়ে নিল যেন কতদিন পর খুব কাছের কেউ এভাবে আকড়ে নিল আমাকে। আপু তো ছোট বাবুকে সামলাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল। বেশ চঞ্চল হয়েছে নাজিফ বাবু। তবে খুবই মিষ্টি এক কথায়।
তারপর আমি ভাইয়া আপু আর ছোট বাবু গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলাম। আমরা প্রথমে মিরপুর ১২ তে গেলাম। কারণ সেখানে টপ ফ্লোরে একটা নতুন রেস্টুরেন্ট চালু হওয়ার কথা শুনেছিল ভাইয়া। কিন্তু যাওয়ার পর দেখি এখনো কাজ চলছেই সেখানে। আরো কয়দিন সময় লাগবে চালু হতে। আমরা পুরোটা একটু ঘুরে দেখলাম। ছাদ খোলা রেস্টুরেন্ট পুরো। পাশ দিয়ে মেট্রোরেল। এক কথায় অসাধারণ দেখা যাচ্ছিল উপর থেকে।
তারপর আমরা চলে গেলাম মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের ভেতর। ভাইয়া বললো ওখানকার খাবারের মান বেশ ভালো। বাটার নান আর কাবাব খেলাম সবাই মিলে। সত্যিই বেশ মজার ছিল খাবার গুলো। যেহেতু রাত হয়ে যাচ্ছিল আমরা খেয়ে বেশি দেরি না করে সোজা রওনা দিয়ে দেই। আপু কে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আমি ও ভাইয়া আবার গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হলাম। সত্যি বলতে অনেক দিন পর এই যে দেখা হওয়া , মনের কথা গুলো শেয়ার করা, কি যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারব না। ক্যাম্পাস লাইফে যেমন দুষ্টুমি করতাম তাদের সাথে, ক্ষণিকের জন্য হলেও যেন আবার সেই পুরোনো সময়ে ফিরে গিয়েছিলাম। একদম মনে গেঁথে রাখার মত একটা সময় কেটেছে সৌরভ ভাই আর শ্রাবণী আপুর সাথে।
আপনার সিনিয়রদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক টা বেশ ভালো ছিল এটা মানে আপনি বেশ ফেমাস ছিলেন হা হা। অনেকদিন পর শ্রাবণী আপু এবং সৌরভ ভাইয়ের সঙ্গে দেখা। এটাকেই হয়তো বলে ভাগ্য। আপনিও ঢাকা আসলেও শ্রাবণী আপুও আপনাকে নক দিল। সত্যি বেশ চমৎকার। সবাই মিলে বেশ দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে সুন্দর মূহুর্ত টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
গোধূলি সন্ধ্যায় সকলে মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। নিশ্চয়ই ভাই আপনাদের সকলের মুহূর্ত গুলো বেশ দুর্দান্ত ছিলো। এতদিন পর আপনার আপুর সাথে দেখা হয়েছে নিশ্চয়ই আপনার খুব ভালো লেগেছে। আসলে এতদিন পর কারো সাথে দেখা হলে তার অনুভূতি সত্যি খুব অন্যরকম হয়ে থাকে। সৌরভ ভাই আর শ্রাবণী আপুর সাথে কাটানো একটা সন্ধ্যার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
মুহূর্ত টা সত্যিই অনেক ভালো ছিল ভাই। সবাই বেশ উপভোগ করেছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।