কিছু ছেলে মানুষী সব সময় ভালো লাগে 😊
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করছি ঈশ্বরের আশীর্বাদের সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজ থেকে বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান তিন দিনব্যাপী শুরু হয়েছে। সবাই ভার্চুয়ালি যতটা পারছি নিজেদের মতো করে দিনটাকে উদযাপন করছি। এটা এক অন্যরকম ভালোলাগা। আমার বাংলা ব্লগ আমাদের সবার জন্য পরম পাওয়া এবং একই সাথে আশির্বাদ। তাই ১১ জুন আমাদের সবার জন্যই খুবই স্পেশাল একটা দিন।
আজ রাতে বিশেষ অনুষ্ঠান আছে। তাই আগে থেকেই মাথায় রেখেছিলাম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব কাজ শেষ করে ফ্রি হয়ে বাড়ি ফিরব। সন্ধ্যাবেলা যখন মার্কেটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ করেই একজন মানুষকে দেখলাম পাওয়ার ব্যাংকের সাথে ছোট ফ্যান লাগিয়ে সুন্দর বাতাস খাচ্ছে। আমার জিনিসটা খুব মজার লাগল। আমি কৌতুহলবশত লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম কত দাম দিয়ে কিনেছে এবং জিনিসটা কোথায় পাওয়া যায়। আমাকে বললেন পাশের মার্কেটে গিয়ে খুঁজলেই পাওয়া যাবে। আমিও শুনেই সেখানে দৌড় দিলাম।
আসলে ব্যাপারটা হলো আমার একটা পাওয়ার ব্যাংক আছে বেশ আগের। কিন্তু আফসোস যে আমি একদিনও বোধ হয় সেটা দিয়ে ফোন ফুল চার্জ দেই নি। এমনি এমনি পড়ে থাকে। আর ব্যাগে রেখে দেই কোথাও যাতায়াত করার সময়। তো ভাবলাম কিছু একটা কিনে যদি জিনিসটা ইউজ করা যেত তাহলে মন থেকে একটু হলেও শান্তি পেতাম। হিহিহিহি। মার্কেট টা বেশ বড় ছিল। আর এখানে ফোনের সব ধরনের প্রোডাক্টস পাওয়া যায়। দুটো দোকান খুঁজতেই পেয়ে গেলাম আমার কাঙ্ক্ষিত একটা ছোট ফ্যান এবং ছোট চার্জার লাইট। আমার বেশ মজা লাগে এসব নিয়ে খেলতে। ফ্যান টার দাম নিল ৬০ টকা এবং ছোট লাইটের দাম ৪০ টাকা। ১০০ টাকার একটা প্যাকেজ বলা যায়।
সবকিছু কিনে তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে আসলাম। আর বাড়ি এসে যখন পাওয়ার ব্যাংকে লাগলাম এবং লাইট টা ধুম করে জ্বলে উঠলো, অনেকটা ছোট বাচ্চাদের মতোই ফিক করে হেসে উঠলাম। খুশিতে তো ঘরের ফ্যান অফ্ করে ওই পুচকি ফান দিয়ে বাতাস খাচ্ছিলাম এই গরমের মাঝেও। মা দেখে বলছে, মাথা কি পাগল টাগল হয়ে গেল নাকি! হেহেহে। রাতে জিরো লাইট টা না জালিয়ে আজ ঐ পাওয়ার ব্যাংকের লাইট জ্বালিয়ে শুয়েছি। অনেকেই আমাকে পাগল ভাবতে পারেন। তবে এই পাগলামি চলবে আরো দুই দিন এক টানা। হিহিহিহি।
আমার তো আপনার এই পাগলামি দেখে ও পাগলামির কথা শুনে ফিক করে হাসি হয়ে গেল। আর আমার নিতে ইচ্ছা করছে এই ফ্যানটি। ফ্যানটি দেখতে কতটা কিউট। আসলেই মাঝে মাঝে এ ধরনের পাগলামি গুলো ভালই লাগে। আবার আপনার সাথে দেখা হলে আমার জন্য একটি এরকম ফ্যান নিয়ে আসবেন। আর এটা কি পাওয়ার ব্যাংক ছাড়া চলে না?
আপু পাওয়ার ব্যাংক ছাড়াও চলে, ফোনের চার্জারের অ্যাডাপ্টারের সাথে লাগিয়েও চালানো যায়। আর হ্যাঁ আমি অবশ্যই নিয়ে আসবো আপু আপনার জন্য,, হিহিহিহি। তারপর থেকে ঘরের ফ্যান চালানো বন্ধ।
দাদা, খুবই সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়তে পড়তে পাওয়ার ব্যাংক এর বিষয়টি জানতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কারন আমার একটি পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে হঠাৎ লোডশেডিং দেখা দিলে এবং কোথাও যাতায়াত করার ক্ষেত্রে আমি পাওয়ার ব্যাংকটি ব্যবহার করি। পাওয়ার ব্যাংক এর মাধ্যমে লাইট এবং ছোট ফ্যান চালানোর বিষয়টি জানতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এই ছোট ফ্যান এবং লাইটগুলো আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। যদিও আমি একবার এই লাইট কিনেছিলাম ফ্যানটি তখন খুঁজে পাইনি জন্য কেনা হয়েছিল না।এই ফ্যান তো মোবাইলেও ঘোরে মনে হয়। চেক করে দেইখেন তো মোবাইলে হয় কিনা। যদি হয় তাহলে আমাকে একটা গিফ্ট কইরেন। হি হি হি।
আপু মোবাইলে দিয়ে হয় না, আমি কিনেই ট্রাই করছিলাম কিন্তু পুরো হতাশ। তবে পাওয়ার ব্যাংকে বেশ ভালো চলে। ঠিক আছে নেক্সট টাইম যাওয়ার সময় আপনার জন্যও একটা নিয়ে যাব কেমন 😊।
এরকম ছেলেমানুষি মানসিকতা আমার মধ্যে হয়ে থাকে, আমিও যেন এমন ইলেকট্রনিক্স জিনিস নিয়ে মাঝেমধ্যে মেতে উঠি। অনেকদিন আশায় রয়েছি এই ফ্যান কিনব অবশ্য আমার কাছে পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে আর ওই লাইটটাও রয়েছে কিন্তু ফ্যানটা আজ পর্যন্ত কেনা হয়নি। তবে বেশ ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।
সত্যি বলতে এগুলো এক অন্যরকম ভালোলাগা । আমিও খুব ইনজয় করি এই ব্যাপারগুলো। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
এই বয়সে এসে যদি এরকম কাজ করেন তাহলে মায়ের এরকম কথা বলাটাই স্বাভাবিক। হা হা হা....
তবে ভাই এই কাজ যে শুধু আপনি করেন তা কিন্তু নয়, আমিও এরকম ছোট ছোট লাইট ফ্যান মাঝে মাঝে ফোনের সাথে কানেক্ট করে দেখি যে আসলে কেমন লাগে। আমরা তো আসলে ছোটবেলায় এত কিছু খেলার জন্য বা দেখার জন্য পাইনি তাই এখন মাঝেমধ্যে সেগুলো দেখলে মনে হয় যে একটু আমিও ইউজ করে দেখি।
জিনিস গুলো খুব মজা দেয় আসলেই। অনেকটা হারিকেন এবং হাতপাখার বিকল্প বলা যায়। হিহিহিহি।