স্বামীবাগে বাবা লোকনাথ মন্দিরে একদিন
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমার নিজের শরীরটাই খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। গলা টা হালকা ব্যাথা । সর্দি লেগে গেছে মোটামুটি। মাথা টাও বেশ ব্যথা করছে সকাল থেকেই। আসলে শেষ রাতের দিকে বেশ ঠান্ডা লাগে। ঠান্ডা গরমের জন্যই শরীরে এমন অস্বস্তি যে হচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
কয় দিন আগে স্বামীবাগ গিয়েছিলাম বাবা লোকনাথ মন্দিরে। আমি ছোট বেলা থেকেই লোকনাথ বাবার ভক্ত। তাই সেদিন যখন সুযোগটা পেয়েছিলাম তখন আর সেটা মিস করিনি। স্বামীবাগ বেশ দূর হয় আমার এখান থেকে। সেজন্য খুব একটা যাওয়া হয় না। এমনিতে এমন পবিত্র জায়গা গুলোতে যেতে আমার সব সময় খুব ভালো লাগে।
দিনটা ছিল শুক্রবার। মন্দিরের দরজা দিয়ে ঢুকতেই দেখি প্রচণ্ড মানুষের ভিড়। সেদিন বেশি ভিড় ছিল ছোট বাবুদের মুখে ভাত দেওয়া উপলক্ষে। আমি বেশ কয়েক বছর পর সেদিন আবার মন্দিরে গিয়েছিলাম। এক কথায় নিজের অনুভূতিটা বলে প্রকাশ করতে পারব না কতোটা ভালো লাগছিল আমার। চারপাশটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। নতুন করে অনেক কিছুই সাজানো-গোছানো হয়েছে ভেতরে। প্রণাম সেরে প্রসাদ পেলাম এক কাকিমার কাছ থেকে।
মন্দিরে রোজ দুপুর করে প্রসাদ খাওয়ার আয়োজন করা হয়। তার জন্য অবশ্য টিকিট কেটে রাখতে হয় আগে থেকেই। মজার ব্যাপার আমি সেদিন কোন টিকিট কাটি নি। আমি ভেবেছিলাম হয়তো সময় পার হয়ে গেছে এখন আর প্রসাদের টিকিট পাওয়া যাবে না। তো যেখানে প্রসাদ খাওয়ানো হয় সে পাশ দিয়ে হেটে আসার সময় হঠাৎ করেই একজন ভদ্রলোক আমাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করছেন যে আমার কাছে টিকিট আছে কিনা প্রসাদ খাওয়ার জন্য। আমি যখন বললাম, না নেই। ঠিক ওই সময় উনি নিজে থেকেই আমাকে প্রসাদের একটা টিকিট দিলেন। হঠাৎ করেই এভাবে প্রসাদের টিকিট পেয়ে যাব এটা আমি ভাবতেও পারিনি। আর আমি বিষয়টার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। জিজ্ঞাসা করলাম আপনি কেন আমাকে দিচ্ছেন এই টিকিট। উত্তরে ভদ্রলোক জানালেন তার ছোট বাচ্চার জন্য এই মন্দিরে মানত করা ছিল। সেটা পূরণ হয়েছে। তাই জন্য আজকে তিনি তার পক্ষ থেকে কিছু সংখ্যক নির্দিষ্ট মানুষকে নিজে থেকে প্রসাদ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। আর এজন্যই সবাইকে টিকিট দিচ্ছেন। সবকিছু জানতে পেরে আমি খুশি মনে টিকিটটা নিয়ে প্রসাদ খেতে বসে গেলাম।
সত্যি বলতে মন থেকে খুব তৃপ্তি পেয়েছিলাম ঐদিন। এভাবে প্রসাদ পাওয়া অনেক বড় ভাগ্যের ব্যাপার। হয়তো বাবা লোকনাথের অশেষ কৃপায় আমি সেদিন প্রসাদ পেয়ে গেছিলাম। পুরো মন্দির বা আশ্রমের জায়গাটা খুব বেশি বড় না। ঐদিন ছুটির দিন হাওয়ায় প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়েছিল। স্বস্তিতে কোথাও বসে থাকার উপায় ছিল না। আমিও তাই বেশি দেরি করিনি আর। চারপাশে আর একবার ভালোভাবে ঘুরে প্রণাম সেরে বেরিয়ে গেলাম।
এই পবিত্র জায়গাগুলোতে গেলে মন সবসময় ভীষণ শান্ত থাকে এবং মন থেকে সব ধরনের বাজে চিন্তা দূর হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করি যতটা সম্ভব মন্দির বা আশ্রমে যাওয়ার। যাইহোক আজকে আর লিখছি না। শরীরটা ভালো লাগছে না একদমই। আমার জন্য সবাই প্রার্থনা করবেন। আর আপনারাও ভালো থাকবেন।
এমন পবিত্র স্থানে গেলে মন খুব শান্ত হয়ে যায়। একরকম আত্মিক সুখ অনুভব করি। মন্দিরটি খুবই সুন্দর। লোকনাথ বাবার ইচ্ছের জন্যই তুমি প্রসাদ গ্রহণ করতে পেরেছো। মাঝে মাঝে এমন ভ্রমণ করা সত্যিই জরুরি বলে আমার মনে হয়। ভালো থাকবেন আর শরীরের যত্ন নেবেন।
আসলে ঢাকাতে মন্দির গুলো বেশ দূরে দূরে । তাই মন চাইলেও সব সময় যাওয়া হয়ে ওঠে না। তবে একবার গেলে আর আসতে ইচ্ছে করে না। খুব ভালো লাগলো দাদা আপনার মন্তব্য পেয়ে।
আসলে দাদা এমন পবিত্র স্থান গুলোতে আমারও ঘুরতে বেশ ভালো লাগে ৷ যদিও বর্তমান সময়ে কথাও ঘোরাঘুরি হচ্ছে না ৷ তবে আপনার মাধ্যমে বাবা লোকনাথ মন্দির দর্শন করতে পারলাম ৷ যাই হোক অনেক ভালো লাগলো ৷ তবে ঠাকুরের প্রসাদ এমনিতেই আমার অনেক ভালো লাগে ৷ তবে হঠাৎ করে এমন প্রসাদ খাওয়ার অফার পেলে কে না খুশি হবে ৷ বেশ ভালো লাগলো , ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
বাহ্ খুব সুন্দর করে পুরো লেখাটা মন দিয়ে পড়ে তারপর নিজের অনুভূতি টুকু শেয়ার করেছেন। ভালো লাগলো সত্যিই। অনেক ভালো থাকবেন ভাই। আর এভাবেই সব সময় পাশে থাকবেন।
ভাই গেছিলাম তো ঐ একদিনই,, আর পোস্ট বানাইছি তিন দিনের 😊। তবে এরপর গেলে অবশ্যই নক দেব। ভালো থাকবেন সবসময়। অনেক ধন্যবাদ।
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করি ৷
নমস্কার দাদা ভাই ৷ আসলে বর্তমান কমবেশি অনেক জনের এ সমস্যা হচ্ছে ৷ বিশেষ করে জ্বর সর্দি ৷
আপনি তো খুব সুন্দর টপিক নিয়ে পোস্ট লিখেছেন ৷ স্বামীবাগে বাবা লোকনাথ মন্দিরে খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ আর সবচেয়ে ভালো লাগলো সেখানে প্রসাদ খাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে হয় ৷ এক নতুন নিয়ম দেখলাম ৷ অনেক ভক্তবৃন্দ এসেছেন ৷ সর্বোপরি আসলেই এসব পবিত্র স্থান পরিদর্শ করে মনে অনকটা ভালো হয় ৷
ভালো লাগলো দাদা ভাই!!!!
নমস্কার ভাই 🙏
একটু কেতেই ঠান্ডা সর্দি লাগা একটা কমন অসুখ হয়ে গেছে আমার জন্য রে ভাই। একদম সহ্য করতে পারি না এই ব্যাপারটা। আর বাবার মন্দিরে দুপুরে প্রসাদ খেতে চাইলে টিকিট কাটতেই হবে ভাই। তবে সুন্দর পরিবেশে সবকিছু হয়। অনেক ভালো থাকবেন।