নিয়ন আলোর ঐ গভীরতা বড্ড মায়ায় বেধে ফেলেছে আমাকে
নমস্কার,,
মাঝে মধ্যে আমার মনে হয় এক জীবনে যারা হল লাইফ কাটাতে পারে নি, তারা হয়তো ছোট্ট এই জীবনের ৫০ ভাগ আনন্দই মিস করে গিয়েছে। কোন ছাত্র বা ছাত্রী হলে থাকাকালীন অবস্থায় যতটা স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে, জীবনের আর কোন পর্যায়ে গিয়ে হয়তো এতটা স্বাধীনতা সে কখনোই পায় না। প্রায় চার বছর হয়ে গেল শেষ করেছি আমার হল লাইফ। এখনো যেন পুরনো সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে নিজের অজান্তেই হেসে ফেলি অথবা হারিয়ে যাই আপন মনেই। আর সেজন্যই হয়তো যখনই সুযোগ পাই ছাত্র হলে রাত্রি যাপনের , আমি সব সময় চেষ্টা করি সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে।
এইতো কয়েকদিন আগেই বুয়েট হলে ছিলাম এক রাত। পুরনো স্মৃতিগুলো যেন আরেকবার নাড়া দিয়ে উঠছিল। হল লাইফের সবথেকে মজার মুহূর্ত হলো রাতের বেলার ঘোরাঘুরি আর আড্ডাবাজি। এই জিনিসটা আমি কখনোই মিস করি না হলে থাকার সময়। এবারও বন্ধুর সাথে যখন হলে ছিলাম মাঝ রাতে বেরিয়ে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আর আমাদের সঙ্গী ছিল গত পাঁচ ছয় বছরের পুরনো সব গল্পকথা। একের পর এক যেন গল্পের ফুলঝুরি ফুটছিল। কখনো আনন্দ কখনো বা হতাশার গল্প।
রাত দুইটা যখন বাজে তখনো আমরা বসে গল্প করে চলেছি। হঠাৎ একটা সময় ভীষণ খিদে পেয়ে গেল। ছুটে চলে গেলাম ক্যান্টিনে। মিষ্টি, কেক, পাউরুটি, লাড্ডু, কলা, চা সবকিছু খেলাম। কিছুটা সময় জিড়িয়ে নিয়ে আবার বেরিয়ে গেলাম অন্য পাশে হাঁটতে। রাস্তার এক পাশে কুকুরগুলো নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছিল তখন। মাঝেমধ্যে দুই একটা রিক্সার আওয়াজ কানে ভেসে আসছিল। কোথাও কোথাও গানের আসর বসেছিল। আমরা দূর থেকে শুনছিলাম সেগুলো।
সত্যি বলতে রাতের নিয়ন আলোয় অদ্ভূত একটা মায়া কাজ করে। সবাই এটা অনুভব করতে পারে না। আর যে একবার বুঝতে পারে,সে আর কখনো সেটা ছাড়তে পারে না। রাতের এই গভীরতা আমাকে বড্ড মায়ায় বেধে ফেলেছে হয়তো সারা জীবনের জন্য। আমি বার বার ডুবতে চাই সেই অতলে। নিজেকে হারিয়ে নতুন করে খুঁজে পেতে চাই আরো একটা বার।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া রাতের আলো আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে।আর এটা সত্যি হলে থাকার মত জীবন আর কখনো খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। ছাত্র জীবন মধুর জীবন, আপনার পোস্ট পড়ে কিন্তু সময়ের জন্য কলেজ লাইফে চলে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সব সময় গঠনমূলক মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময় আপু।
হলে কখনো থাকা হয়নি তবে আপনার পোস্টটি পড়ে গভীরভাবে অনুভব করতে পারছি হলে থাকার আনন্দ। আর কলেজ লাইফে আমরাও দেখেছি যারা হলে থাকত তারা স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারত যেটা আমরা পারতাম না। রাতের অন্ধকারে বন্ধুর সাথে ঘুরতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। কুকুরগুলো কি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। রাত জাগলে অনেক খিদে পায় দুই বন্ধু মিলে তো ভালোই আড্ডা দিলেন আবার খেলেন ।আপনার জন্য আমারই এই মায়া হচ্ছে পুরোনো দিনের কথা ভেবে।
হলে থাকার মজা টা সারা জীবনেও বোধ হয় অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয় আপু। আমার মনে হয় আমার জীবনের সেরা সময় ছিল ঐ দিনগুলোতেই।
যদিও এখনো হলে থাকার বয়স হয়নি বা সে সুযোগ আসেনি তারপরও আপনার হল লাইফের অনুভূতি এবং কিছুদিন আগের বুয়েট হলে থাকার যে অনুভূতিটা আপনি শেয়ার করেছেন সত্যিই অনেক মজার ছিল। তবে রাতের বেলায় এভাবে ঘুরাঘুরি করে গল্প আনন্দ করে এত মজা পাওয়া যায় সেটা আসলে কখনো কল্পনাও করিনি। এটা অবশ্য জানি পুরনো বন্ধুদের সাথে অনেকদিন পর দেখা হলে অনেক উৎসাহ আনন্দ অটোমেটিক জেগে ওঠে যেটা বলা যায় বাদ ভাঙ্গা আনন্দ।
আপু, যদি কখনো সেই সুযোগ টা আসে তাহলে মিস করবেন না একদম। চার বছর যে হলে কাটাবে তার জীবন সব দিক দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। যদিও মেয়েদের অনেক বাধা নিষেধ আছে। তারপরও বেশ ভালো একটা সময় কাটবে আশা করি।