আমার রাত্রি বিলাস (প্রথমদিন)
নমষ্কার,,
মাঝ রাতে বেরিয়ে ঘোরাফেরার অভ্যাসটা ভার্সিটি লাইফ থেকেই শুরু হয়েছে। শীত কিংবা গরম যখন মন চাইতো সাথে সাথেই হল থেকে বেরিয়ে যেদিকে মন চায় সেদিকে চলে যেতাম। কখনো একা , আবার কখনো বন্ধুদের নিয়ে। তবে শীতকালে বেশি ভালো লাগতো। চারদিকে কনকনে ঠান্ডা, গায়ে একটা চাদর আর মাথায় টুপি দিয়ে ফুরফুরে বাতাসে ঘুরে বেড়ানোর মজাটা শুধু মুখের কথায় কেউ কখনোই বুঝবে না। আর সেই মাঝ রাতে টং এর দোকানে বসে ধোয়া ওটা গরম খিচুড়ি আর ডিম ভাজি, অথবা কোন দিন পরোটা ডিম ভাজি আর তারপর এককাপ চা যদি হয়, উফ জমে ক্ষীর একদম👌👌। হিহিহিহি। কথা গুলো লেখার সময় ভেতরে যে কতটা ভালোলাগা কাজ করছিল সেটা একমাত্র আমি জানি শুধু।
এইতো মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। কিছু কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য বুয়েট হলে ছিলাম চার দিনের মত, আমার বন্ধু তানজিমের সাথে। ওর রুমমেট ছিল না। তাই আরো বললো ওখানে গিয়ে থাকতে। একসাথে থেকে নিজেদের কাজ গুলো এগিয়ে নেওয়া যাবে। তো অনেকদিন পর হল লাইফের সেই মুহূর্তগুলো আর একবার ফিরে পাওয়ার লোভটা আমি আর সামলাতে পারি নি। চলে গিয়েছিলাম বুয়েট হলে।
সন্ধ্যা থেকে কাজ করার পর ঘড়ির কাটায় তখন রাত বারোটা বাজবে প্রায়। আমাদের খাওয়া দাওয়া করার কথা মাথাতেই ছিল না। আমি তানজিমকে বললাম বাইরে বেরিয়ে যা হয় কিছু একটা খেয়ে নেব। তারপর রাতের মুহূর্ত গুলো দুই বন্ধু এক সাথে ভাগাভাগি করে নেব।
সত্যি বলতে বুয়েট ক্যাম্পাসের চারপাশ এবং ঢাকা ভার্সিটির এরিয়াটুকু হাঁটাহাঁটি করতে সব সময় আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর শীতের রাতে হাঁটার অনুভূতি তো পুরোই অন্যরকম। কিছুদূর এগিয়ে যেতেই দেখি রাস্তার পাশে ছোট একটা দোকান নিয়ে খিচুড়ি, পরোটা, ডিম ভাজি, সবজি এগুলো বিক্রি করছে। ভার্সিটির ছেলেপেলে গুলো জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করছে সেখানে। কথা বলে দেরি না করে আমরা দুজনে বসে গেলাম। পরোটা, ডিম আর চা খেয়ে নিলাম। তারপর হাঁটতে হাঁটতে যতদূর যাওয়া যায় এগিয়ে গেলাম।
ঢাকা শহরে অনেকদিন ধরে থাকলেও মাঝ রাতে কখনো হাঁটাহাঁটি করা হয় নি । ইচ্ছে টা অনেকদিনের ছিল যে এভাবে বেরিয়ে হাঁটবো। আসলে ভাড়া বাসায় থেকে এভাবে রাতের বেলা বের হাওয়া মুশকিল হয়ে যায়। আবার রাস্তায় ছিনতাইকারীর ভয়ও আছে। সেদিক থেকে ভার্সিটির এলাকা গুলো তুলনা মূলক ভাবে অনেক নিরাপদ। যাই হোক অনেক দিন পর আমার এই রাত্রি বিলাস টা অন্য রকম একটা ছোঁয়া দিয়ে গেল হৃদয়ে। পরপর দুইদিন এভাবে বেড়িয়েছিলাম। আরেকদিন না হয় সেটা শেয়ার করব। আজ এ পর্যন্তই থাকুক।
এত পরিমান ঠান্ডার মধ্যেও আপনি আপনার বন্ধুসহ রাতের বেলায় হাটাহাটি করেছেন। হয়তোবা আপনাদের এই মুহূর্তটা উপভোগ করার ইচ্ছাটাই তীব্র ছিল যার জন্য আপনার এত শীতের মধ্যেও বের হয়ে গেলেন। তবে বেশি ভালো লাগলো আপনাদের আনন্দময় মুহূর্তটা পড়তে পেরে। মাঝরাতেও খিচুড়ি, ডিম, পরোটা, চা নিয়ে বসে থাকা লোকটি হয়তোবা আপনাদের অপেক্ষায় ছিল।
যাইহোক এরকম রাতের বেলা ঘোরার ইচ্ছা আমারও রয়েছে, তবে কবে সেটা পূরণ হবে তা জানিনা
কি মিষ্টি করে গুছিয়ে কথা গুলো লিখেছেন আপু 👌। সত্যিই অনেক ভালো লাগলো। আপনার ইচ্ছেটা টা যেন খুব তাড়াতাড়ি সত্যি হয়ে আপনার কাছে ধরা দেয় এই প্রার্থনাই করি। অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
ভার্সিটির এলাকা গুলোতে ছিনতাই কারীর ভয় নাই ঠিক কিন্তু শাকচুন্নির ভয় আছে একবার একা পেলে ধরে নিয়ে যাবে🤣🤣।যাই হোক রাতের বেলা বন্ধুদের সাথে হাটাহাটি করার মজাই আলাদা।আপনার লেখাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে আবার যদি স্টুডেন্ট লাইফে ফিরে যেতে পারতাম,তাহলে আগের মত এত রেস্ট্রিকশন মানতাম না।
এই শাক চুন্নীর দর্শন টাই তো পেতে চাই আপু 😅,, আপনি তো আর কিছু করে দিলেন না, ওরা যদি একটু কিছু করে 😊😊। আর মাঝে মধ্যে ভার্সিটি লাইফের সেই মুহূর্ত গুলোর আশে পাশে দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন, দেখবেন অনেক এনার্জি পাচ্ছেন। শুভেচ্ছা রইলো আপু।