আবার ছোটাছুটি
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজ সকাল থেকে বেশ বাতাস বইছে। তার সাথে তীব্র ধুলো। রোদ টাও আছে। সব কিছু মিলিয়ে কেমন যেন একটা অবস্থা। তবে মন্দ না একেবারেই।
আসলে শরীর টা ভালো লাগছে না দুদিন হলো। পিঠের মেরুদণ্ডে ব্যথা টা বাড়ছে। তাই জন্য অস্বস্থি বোধ হচ্ছে। কয়েক দিন আগে ইন্ডিয়া গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেলাম। বেশ উপকারও পেলাম। কিন্তু আবার কেন যেন বাড়ছে ব্যথাটা। এবার এখানেই কোন একটা ডাক্তার দেখাতে হবে হয়তো।
আমার পোস্ট যারা নিয়মিত দেখেন তারা বেশির ভাগ সময়েই লক্ষ্য করে থাকবেন যে আমি এদিক সেদিক ছোটাছুটির উপরই যেন বেশি থাকছি এই বছরটায়। আসলে ইচ্ছে করে যে এমন ঘোরাফেরা সেটা কিন্তু নয়। একটা না তো একটা কাজেই দৌড়ে বেড়ানো। আর এমন এমন কিছু ঘটনার সন্মুখীন হচ্ছি যে না গিয়েও উপায় নেই। এই তো গতকাল সন্ধ্যায় ফোন আসলো ইমারজেন্সি কাজে ঢাকা আসার জন্য। আর আজকেই রওনা দিতে হলো এমন শরীর নিয়েই। জীবন যেন একদমই থেমে থাকছে না। ঐ যে কথায় আছে গতিই জীবন। আমাকে যেন এবার একটু বেশীই ছুটতে হচ্ছে।
দুপুর দেড়টায় বাড়ি থেকে বের হই। এখন তো আর বাসের চাপ নেই। তাই আগে থেকে টিকিট কাটারও কোন দরকার নেই। টার্মিনালে এসে দেখি প্রায় সবই ফাঁকা। আর একটা বাস দেড়টায় যেটা ছিল ওটা মিস করে ফেলেছি অল্পের জন্য। দুইটায় সব এসি বাস। সত্যি বলতে এসিতে জার্নি করে আমার অতোটাও ভালো লাগে না। আমি আবার একটু শীত কাতুরে বেশি। এদিকে পরের নরমাল গাড়ি আরো ত্রিশ মিনিট পর। তাই বেশি লেট না করে এসিতেই রওনা দিলাম। বাস অনেকটাই ফাঁকা ছিল। আমি তো দুই সিটে একাই বসে আসলাম। তবে আজকের জার্নি করে শরীরটা কেন যেন আরাম পায় নি একদম।
রাস্তায় খুব বেশি জ্যাম পেলাম না। কিন্তু ঢাকার ভেতর যখন ঢুকে গেলাম তখনই জ্যাম শুরু হলো। আসলে সন্ধ্যার সময়টায় একটু জ্যাম হবে এটাই স্বাভাবিক। আমি কোন রকম ঝুট ঝামেলা ছাড়া সন্ধ্যার একটু পরপরই টেকনিক্যাল বাসস্ট্যান্ড নেমে গেলাম। আর তারপর চলে আসলাম শ্যামলীতে। বাকি কথা পরে হবে। আজ খুব ক্লান্ত লাগছে। সকলে দোয়া করবেন আমার জন্য। আর আপনারাও সুস্থ থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
দাদা আপনার পোষ্ট প্রায় সময়ই পড়ি ৷ তবে এতটুকু বলতে পারি যে আসলে জীবন মানেই হয়তো ছুটে চলা ৷ হমম গতিই জীবন রে ভাই ৷
মেরুদন্ডের ব্যাথা শুনে খারাপ লাগলো যা হোক ভালো চিকিৎসা নিন ৷ কারন জীবনে বেচে থাকার জন্য সুস্থতা থাকা ভীষন প্রয়োজন ৷
আসলে নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলেই এই সমস্যাটা কমে যাবে। কিন্তু সেই কাজটাই আমি করছি না। তাই জন্য আরো বেশি ভুগতে হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।