করোনা যুদ্ধে প্রথম রসদ গ্রহণ সম্পন্ন করলাম 🔫⚔️💣
অবশেষে আমি তাহার সন্ধান পাইলাম। দীর্ঘ ৩৪ দিন অপেক্ষার প্রহর শেষ করে আমি আজ করোনার প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছি। অদৃশ্য এক ভাইরাস পুরো পৃথিবী যেভাবে কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তাকে প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যাকসিন ছাড়া আর অন্য কোন অস্ত্র এখন অব্দি পৃথিবীতে আবিষ্কার হয়নি। যদিও ভ্যাকসিন নেওয়াটাই কার্যকরী সমাধান না। দিন দিন নতুন নতুন রূপে শক্তিশালী হয়ে আমাদের ঘায়েল করতে এগিয়ে আসছে করোনা। আমরা যতদিন না নিজেরা সচেতন হয়ে সঠিক পথে এগোবো ততদিন পর্যন্ত করোনা তার রক্তচক্ষু আমাদের দেখিয়ে যাবে।
মাত্র দুই বছরের ভেতরে সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই প্রাণঘাতী করোনা। জানিনা আর কতদিন এই মৃত্যুর মিছিল আমাদের দেখতে হবে। মানুষ কখনও হারতে শেখেনি । সৃষ্টির পর থেকে এখন পর্যন্ত নানা সংগ্রাম ও প্রতিকূলতাকে জয় করে নিয়ে এই সভ্য সমাজে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। আর এজন্যই হয়তো আমরা সৃষ্টির সেরা জীব। আশার কথা এই যে করোনার প্রকোপ সারাবিশ্বে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। মানুষ আজ অনেক সচেতন। অপেক্ষার প্রহর প্রায় শেষের দিকে চলে এসেছে। আবার আমরা সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশে জীবন-যাপন করতে পারব।
কেন জানিনা আমার আগে থেকেই চীনের তৈরি ভ্যাকসিন নেওয়ার ইচ্ছে একদমই ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশে বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে চীনের তৈরি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে বেশি। গত সপ্তাহে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য আমার কাঙ্খিত মেসেজটি ফোনে চলে আসে। ভাগ্নের সাথে জন্মদিন করতে ওই সময় দিদির বাড়ি থাকার জন্য যথাসময়ে ভ্যাকসিন নিতে পারি নি। এদিকে বাড়িতে আসার পর যেদিন ভ্যাকসিন নিতে গেলাম ঐদিন হাসপাতালে গিয়ে শুনি ভ্যাকসিন ফুরিয়ে গেছে। কয়েকদিন পর আবার আসবে। বাড়িতে এসে মাকে বললাম সবটা। দুঃখ করলাম আমার কপালটাই খারাপ। সব শুনে মা আমাকে শুধু বললো, যা হয় তা ভালোর জন্যই হয়।
আজ তার ঠিক তিনদিন পর দুপুর ১২ টার একটু পরে হঠাৎ হাসপাতাল থেকে আমার এক কাকা আমাকে ফোন করে জানালেন আজকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে আবার। আর অক্সফোর্ড এস্ট্রোজেনাকার কভিশেল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। আমি তো শুনে মহাখুশি। অন্তত চীনের টিকা আর আমাকে দিতে হচ্ছে না। দেরি না করে তাড়াতাড়ি চলে গেলাম শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ভেবেছিলাম অনেক ভিড় হবে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম বেশ ফাঁকা। আর কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে ভ্যাকসিন নিয়ে নিলাম।
আসুন আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। করোনা মোকাবেলায় সচেতন হই। নিজে সচেতন হয়ে নিজের পরিবার এবং অন্যের পরিবারকেও সুরক্ষা করি। আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপই পারে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের ভয়াল ছোবল হতে রক্ষা করতে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আপনার শরীর কিছুটা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আর যদিও এটি আমাদের জন্য দীর্ঘ স্থায়ি সমাধান নয় তবু আপাতত এর থেকে ভালো সমাধান আমাদের কাছে নেই।
অতএব এটি আমাদের কাছে এখন সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ পদক্ষেপ।
শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল
রাত থেকে শরীর ব্যাথা আর জ্বর আসছে। ভালোই ভোগাচ্ছে এই ভ্যাকসিন।
এটা এই ভ্যাকসিন এর একটি সহজ আর ধর্ম। ভ্যাকসিন নিলে এ সকল উপসর্গগুলো দেখা দিবে অবশ্যই। তবে অবশ্যই আমাদের সচেতন থাকা জরুরি
বর্তমান সময়ের খুবই প্রয়োজনীয় একটি কার্য সম্পন্ন করলেন আশাকরি দ্বিতীয় ডোজটি যথাসময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নিয়ে নিবেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সাবধানে থাকবেন নিজের দিকে খেয়াল রাখবেন, ঘরের বাইরে গেলে মাক্স ব্যবহার করবেন।
অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর দিক নির্দেশনা দিয়ে মন্তব্য করার জন্য। আপনিও সাবধানে চলাচল করবেন।
অনেক সুন্দর ভাবে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন।আমি এখনও করণার টিকা নিতে পারি নাই। এপ্লাই করেছি মেসেজ ই আসলো না।
হুমম ভাই আমাদের সকলের ১০০% সচেতন থাকতে হবে।
আমার এক মাস পর আসছে ম্যাসেজ। আশা করি আপনার টাও অতি শীঘ্রই চলে আসবে। ভালো থাকুন, সাবধানে চলফেরা করুন।
খুবই ভালো একটি কাজ করেছেন দাদা ভ্যাকসিন নিয়ে।এটি এখন খুব প্রয়োজন।ধন্যবাদ দাদা।ভালো থাকবেন।
আপনারা ইন্ডিয়াতে সবাই কি ভ্যাকসিন পেয়ে গেছে?
না দাদা,এখনো নেওয়া হয় নি।কারণ এখানের ভ্যাকসিন বাইরের দেশে চলে যাচ্ছে অথচ আমাদের এখানে ঠিকভাবে কেউ ভ্যাকসিন পাচ্ছে না দাদা।নেহাতই আমরা যেখানে বাস করছি সেখানের মানুষ সবাই মাঠের কাজে জড়িত এবং আমরা ও অনেকটা ফাঁকা জায়গায় বাস করছি।এইজন্য করোনা বলে কিছুই মনে হচ্ছে না।তাই বাঁচা।
প্রতিরোধের দেয়াল তো তুলে ফেললেন।আমাদের তো এখনো হয় নাই।
যাইহোক, সুস্থ থাকুন সবসময়❤️
দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন নিয়ে নিন। নিজে সুস্থ থাকুন , অন্যকেও সুস্থ রাখুন।
আমাদের বয়সীদের জন্য টিকা কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি যে😭
ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আপনাকে স্বাগতম। আমি গত বৃহস্পতিবার প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছি। আমাদের সবারই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু আমাদের যেমন ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে ঠিক একইভাবে রয়েছে মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে গুজব। এসব থেকে মানুষ কে বের করে আনতে আপনাদের মতো শিক্ষিতদের এগিয়ে আসতে হবে। ধন্যবাদ।।
দাদা খুবই ভালো কাজ করেছেন। ভ্যাকসিন নেয়া খুবই দরকার। এখন নিজের শরীরের যত্ন নিবেন। অনেক শুভেচ্ছা দাদা।