এবার ফেরার পালা
নমস্কার,,
চার দিনের ছুটি যেন চোখের পলকে শেষ। এর মধ্যে তো দশ ঘন্টা বাস জার্নি যাওয়া আর আসা মিলিয়ে। সত্যি বলতে ছুটির শেষ দিনে আসতে ইচ্ছে করে না একদমই। মনে হয় আর একটা দিন যদি ছুটি পেতাম! আর একটা দিন যদি একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম! হাহাহাহাহা। প্রতিবার এই একই আক্ষেপ নিয়ে আমাকে বাড়ি ছাড়তে হয়। আমি জানি পরের মাসেও এটাই হবে। আমাদের মন ভরবে না কিছুতেই।
কাল দুপুরে অফিসে জয়েন করতে হবে। সে হিসেব করলে কাল সকাল সকাল রওনা দিলেই হয়ে যেত। কিন্তু ঐ ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠা, রেডি হওয়া আমার কাছে খুব কষ্টের লাগে। ওর থেকে আজকে রাতের মধ্যে পৌঁছে কাল সকালে আরামে ঘুমিয়ে অফিসে ঢুকব এটাই আমার বেশি আরামের। কোন তাড়াহুড়ো থাকবে না একদমই। সেই বুঝেই রওনা দেই বিকাল পাঁচটার গাড়িতে। আকাশ টা হালকা মেঘলা থাকলেও গরমটা বেশ ভালো ছিল। বাড়ি যাওয়ার দিন এসি বাস মিস করলেও ফেরার সময় একদম ভালো ভাবেই বাস টা ধরতে পারি। তাই গরম নিয়ে কোন প্রবলেম ছিল না। একদম সন্ধ্যা সন্ধ্যায় বাস জার্নি করতে খুব একটা মন্দ লাগছিল না।
ঢাকার কাছাকাছি যখন পৌঁছে গেলাম তখন মোটামুটি জ্যাম পেতে শুরু করলাম। সন্ধ্যার পর পর ঢাকার রাস্তায় জ্যাম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমি আমার মত গান শুনতে শুনতে আসছিলাম। তবে কেন যেন শরীরে কেমন একটা যেন অস্বস্তি বোধ করছিলাম। সচারচর এমন হয় না। কিছুক্ষণ চোখ বুজে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। পরে অবশ্য একটু ভালো লাগলো। যাই হোক জ্যাম ঠেলে যখন আমার গাড়ি ঢাকা পৌঁছল তখন প্রায় দশটা বেজে গেছে। বাস থেকে নেমে সিএনজি নিয়ে আবার রওনা দিলাম পল্টনের দিকে। শরীরে তখন আগুন জ্বলছে। ভাবছিলাম, সিএনজি তে যদি এসি থাকতো! কত আরাম হতো! হিহিহিহি।
সাড়ে দশটার কিছু পর আমি পৌছালাম বাড়িতে। যতোটা সম্ভব তাড়াতাড়ি করে আমি বিছানা গুছিয়ে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া সেরে শুয়ে পড়লাম। আবার শুরু সেই যান্ত্রিক জীবন।
এর আগে কক্সবাজার যাওয়ার দিন সিএনজির মধ্যে বসে এত গরম লাগছিল তখন একজন বলতেছিল ইস সিএনজিতে যদি এসি থাকতো হা হা হা। আজকে আপনার পোস্ট পড়তে এসে সেই কথা মনে পড়ল।
হাহাহাহা,, গরমে মাথা নষ্ট হয়ে যাওয়ার অবস্থা সবারই। কয়দিন পর সাইকেলেও এসি নিয়ে ঘুরবে মানুষ 😊
এসি থেকে বের হলে আগুনের মতো ই লাগে।কি আর করার সিএনজিতে তো আর এসি নেই,হিহিহি।ঢাকার বাইরে থেকে আসতে যতটা না কষ্ট।তার চেয়ে বেশী কষ্ট ঢাকার পথ পেরিয়ে বাসায় পৌঁছানো।যাক রাত ১০ টার কিছু পরে বাসায় পৌঁছে গেলেন।যান্ত্রিক জীবনের শুরু।চিন্তা নেই আবার ছুটি আসছে।তখন বাড়ি গিয়ে আবার ঘুমাতে পারবেন।🤗 ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ঢাকার জ্যামের কথা মনে হলেই আমার মাথা ঘুরে ওঠে আপু। খুব বাজে অবস্থা। তবে ঈদে আর বাড়ি যাওয়া নেই। ঢাকাতেই থাকতে হবে। যা আরাম সব এখানেই।