দুষ্টু মিষ্টি একটা খরগোশের চিত্র অংকন
নমস্কার,
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সবাই ঈশ্বরের অসীম কৃপায় ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সময় তার আপন গতিতে ছুটে চলেছে। আর আমরা হয়ে চলেছি তার নিরন্তর সাক্ষী। এক একটা দিন এক এক ভাবে আমাদের সামনে হাজির হচ্ছে। প্রতিনিয়ত আমরা বাস্তবতার সম্মুখীন হচ্ছি। আর জীবন ছুটে চলেছে তার নিজস্ব গতিতে।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের অনেক সদস্যের ছবি আঁকার হাত এতটাই চমৎকার সেটা বলে বোঝাতে পারবো না। তাদের এই ছবি আঁকা গুলো আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহিত করে চলে। আঁকাআঁকি করতে আমি বেশ ভয় পাই। কিন্তু এই পরিবারে এত সুন্দর সুন্দর আর্ট দেখে নিজেরও ভীষণ ইচ্ছে করে একটু চেষ্টা করতে। আর সেই ইচ্ছে থেকেই আমার আঁকা আঁকি শুরু হয়েছে কিছুদিন হলো। যদিও অতটা সময় পাইনা হাতে। তবুও যতটা পারি চেষ্টা করছি। হ্যাঁ শুরুতে সহজ সহজ ছবি দিয়েই চেষ্টা করছি। আর আমার বাচ্চাদের পছন্দের ছবি গুলো বেশি ভালো লাগে। এই ধারার ছবিগুলো আঁকতে বসলে মনে হয় ক্ষণিকের জন্য আমিও বাচ্চা হয়ে গেছি 😊।
আজ আমি একটি খরগোশের ছবি আঁকার চেষ্টা করেছি। খরগোশ টা হাতে গাজর নিয়ে খেলা করছে। জানিনা কতটা কি পেরেছি তবে চেষ্টা করেছি আমার শতভাগ দিয়ে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ছবিটা অংকনের কিছু ধাপ আপনাদের সামনে নিজের মত করে উপস্থাপন করছি।
প্রথমে খরগোশ টার দুটো কান আঁকার চেষ্টা করেছি। সত্যি বলতে খরগোশের কান দুটো দেখতে আমার সবসময় অনেক ভালো লাগে।
কান দুটো আঁকা হয়ে গেলে মুখের শেপ আঁকার চেষ্টা করি।
এবারে খরগোশের দুষ্টু চোখটা একে ফেলি 🥰। খরগোশের চোখ গুলো খুব মিষ্টি লাগে আমার কাছে।
এবার খরগোশ টার পিঠ থেকে পা পর্যন্ত একে ফেলি।
আর তারপর সামনের অংশটুকু এমনভাবে আকি যেন খরগোশটা দুই পায়ের উপর ভর করে বসে আছে।
এখন খরগোশের হাতে তার প্রিয় গাজর আঁকানোর চেষ্টা করি।
খরগোশের হাতে পুরো গাজর টা এমনভাবে এঁকে দেই যেন বোঝা যায় যে অনেক আদর করে আগলে ধরে আছে গাজর টা। নিজের আইডিটা নিচে একপাশে লিখে ফেলি সবশেষে।
আমি আগেই বলেছি রং করতে আমি বেশ কাঁচা। তাই নিজের ইচ্ছেমতো মিলিয়ে রং করতে বেশি পছন্দ করি সব সময়। গাজরের মাথার দিকটায় সবুজ রং করে দেই। আর গাজরের রঙ টা হালকা কমলা রং দিয়ে দেই। সত্যি বলতে গাজরের সাথে ম্যাচিং করে খরগোশের গায়ের রংটা হালকা করে করে দেই 😊🥰।
খরগোশ সাধারণত আমরা সব সময় সাদা রঙের দেখতে পাই। কিন্তু আমি একটু রঙিন করে দিলাম আজ। আসলে জীবনটা তো নানান রঙের খেলা। প্রতিনিয়তই আমাদের জীবনের রং বদলায়। সেখানে খরগোশের রংটা একটু বদলে দিলে ক্ষতি কি 😊🙏।
এই ছিল আমার আজকের উপস্থাপনা। জানিনা আপনাদের কতটুকু ভালো লেগেছে। তবে একটা কথাই বলবো আমি চেষ্টা করে চলেছি। আপনাদের সহযোগিতা এবং উৎসাহ পেলে হয়তো একদিন আমিও আপনাদের মতোই ছবি আঁকতে পারবো। সেদিনের অপেক্ষায় প্রহর গুনে চলেছি।❤️🙏











সবার আর্ট দেখে আপনি যে নিজেও উৎসাহিত হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার চিত্রাংকন আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এমনকি কালার কম্বিনেশন অনেক সুন্দর করেছেন। দেখতেও অনেক কিউট লাগছে খরগোশটাকে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার আর্ট আমাকে সব সময় উৎসাহিত করে আপু। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকবেন।
দুষ্টু মিষ্টি একটি খরগোশের খুবই সুন্দর চিত্র প্রস্তুত করেছেন খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে বিশেষ করে কালারটা দারুণ ভাবে ফুটেছে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ধাপগুলোকে নিয়ে শুভকামনা রইল আপনার জন্য
অনেক ধন্যবাদ ভাই। অনেক ভালো থাকবেন।
খুব সুন্দর একটি খরগোশ এর চিত্র অঙ্কন করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। কালার কম্বিনেশন অনেক ভাল ছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । এত সুন্দর একটি চিত্রাংকন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু
বাহ আপনি খুব সুন্দর ভাবে দুষ্ট-মিষ্টি একটি খরগোশ এর চিত্র অঙ্কন করেছেন। খরগোশের হাতে দেখছি আবার গাজর তুলে দিয়েছেন। মনে হচ্ছে খরগোশটি গাজর খাচ্ছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন তাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল অনেক শুভ কামনা।
ছবিটা একে অনেক ভালো লেগেছে আপু। অনেক ধন্যবাদ। এভাবেই পাশে থাকবেন
চেষ্টা করে যান হয়ে যাবে কোন কাজ একবার করেই থেমে যেতে নেই। চেষ্টার মাধ্যমে যেকোনো কঠিন কাজ থেকে সফলকাম হওয়া যায়। যাই হোক আপনার দুষ্টু মিষ্টি খরগোশের চিত্রাংকন টি আমার কাছে ভালো লেগেছে। আপনি খুব চমৎকারভাবে প্রত্যেকটি ধাপ এর উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা ভাই, যতোটা পারি চেষ্টা করে চলেছি। আপনাদের এমন উৎসাহ যদি পাই তাহলে আরো ভাল কিছু করতে পারব। অনেক ধন্যবাদ ভাই। পাশে থাকবেন সবসময়।
খরগোশ টা বেশ কিউট,হয়েছে,তবে কালার গুলো বেশ হালকা হয়েছে।আরো গাঢ় হলে আরো ভালো লাগতো।ধন্যবাদ
রং এর বেলা আমি খুব কাচা আপু। আশা করে ঠিক হয়ে যাবে আসতে আসতে। অনেক ধন্যবাদ।
জীবনের যেহেতু এত রং বদলায় সেহেতু আপনি খরগোশের রং বদলে দিয়েছেন তাতে সত্যিই ক্ষতির কোন কিছু নেই। আপনার অঙ্কিত দুষ্টু মিষ্টি একটা খরগোশের চিত্র আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। খরগোশটি কে দেখতে খুবই কিউট লাগছে। খুবই সুন্দর করে চোখ অঙ্কন করেছেন যার কারনে মনে হচ্ছে খরগোশটি অসাধারণ দৃষ্টি নিয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। এত সুন্দর একটি খরগোশ আপনি কিভাবে অঙ্কন করেছেন তার প্রতিটি ধাপ তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য সব সময় সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকে ভাই। এই ব্যাপারটা আমার অনেক ভালো লাগে। এভাবেই পাশে থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ ।
আপনার টাইটেল দেখে অংকন দেখতে আসলাম, এসে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম ওমা এটা তো দেখতেছি সত্যি দুষ্টু মিষ্টি একটা খরগোশের চিত্র অংকন, আপনার অংকনটি দেখে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া, যেনো খরগোশটা আমাদের দেখে হাসতেছে, অনেক সুন্দর একটি চিত্র অংকন করেছেন ভাইয়া, এতো সুন্দর একটি দুষ্টু মিষ্টি খরগোশের অংকন করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক মিষ্টি একটা মন্তব্য করেছেন ভাই। খুব খুশি হলাম সত্যি। অনেক ভালো থাকবেন।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে দুষ্টু মিষ্টি একটা খরগোশ এর চিত্র অঙ্কন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই অংকন আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। বিশেষ করে খরগোশ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার অংকন দেখে খরগোশ পোষার শখ জাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করে চলেছি ভাই। আশীর্বাদ রাখবেন। অনেক ধন্যবাদ
আসলেই খোরগোশ টা অনেক মিষ্টি লাগছে দেখতে।খুবই চমৎকার হয়েছে ভাই প্রতিটা ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে বুঝিয়েছেন আপনি ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই