ভাগ্নে অভ্র বাবুর জন্যে ছাদ বাগান থেকে পেয়ারা নিয়ে যাচ্ছি।। ১০% লাজুক শেয়ালটার জন্য
নমস্কার,,
দুই তিন দিন হলো বেশ মেঘলা আকাশ। থেমে থেমে বৃষ্টি ভালোই ঝরসে। আশা করছি সবার মন বেশ ফুরফুরে। আমিও বিন্দাস চলছি। তার উপর আজ দিদির বাড়ি যাচ্ছি। আমার ভাগ্নে অভ্রর শুভ জন্মদিন কাল। সব কিছু মিলিয়ে দারুন এক মেজাজে আছি।
কিছু দিন আগে আমি আপনাদেরকে আমার ছাদ বাগান পুরো ঘুরিয়ে দেখিয়েছিলাম । সেখানে বলেছিলাম কদিনের মাঝেই গাছের পেয়েরা গুলো পাড়ার উপযোগি হবে। তাই আজ সেটা নিয়েই পোস্টটা করছি।
বাজার থেকে আসলে যে ফল গুলো কিনি কেন যেন শতভাগ মজা পাই না খেতে। কিন্তু বিশ্বাস করুন যে দিন থেকে আমার গাছের ফল খেতে শুরু করেছি, বুঝতে পেরেছি বাজারের জিনিস আর বাড়ির জিনিসের স্বাদের পার্থক্য আকাশ পাতাল।
আমাদের পেয়েরা গাছে মোটামুটি সারা বছরই ফল হয়। ছাদে লাগানো গাছ,, ফলটা পরিপক্ক হতে একটু বেশি সময় লাগে তাই। কিন্তু স্বাদে অতুলনীয়।
এবছর বলা যায় পেয়ারার বাম্পার ফলন হয়েছে । বর্ষাকাল এখন শেষ হলো। তাই পোকার আক্রমন ছিল বড্ড বেশি। পোকার উপদ্রপ থেকে বাঁচার জন্য ফলগুলো একটু বড় হতেই কাপড় দিয়ে বেঁধে দিতাম। আর এ পদ্ধতিতে ফলগুলো মোটামুটি বাঁচানো গেছে। যদিও যতোটা বড়ো হতো সাইজে ততটা হয় নি। আর সার হিসেবে গোবর দিয়েছি তিন মাস পর পর।
করোনার জন্য ভাগ্নের কাছে খুব একটা যাওয়া না। ওরাও আসতে পারে না। তাই আজ যখন যাচ্ছি ওকে উদ্দেশ্যেই ফলগুলো পেরেছি। সাথে আমাদের গাছের মিষ্টি কুমড়াও নিয়েছি একটা। ওটার ছবি তোলার আগেই মা ব্যাগে ভরিয়ে দিয়েছে । অনেক দিন পর যাওয়া, নাতির জন্য দাদু দিদা যা পেয়েছে তাই ব্যাগে ভরিয়ে দিয়েছে।
গাড়িতে বসে বসে পোস্ট টা লিখলাম। তাই ভাগ্নের সাথে তোলা পুরানো 2 টা ছবি দিলাম। তবে আশা করছি পৌঁছার পর ওর সাথে কাটানো কিছু মজার মুহুর্ত আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারবো। আপাতত এপর্যন্তই রাখছি। 😊😀
বাহ,আপনার গাছের পেয়ারা দেখে মন ভরে গেল।আর খেতে ও মন চাইছে ,বাড়ীর পেয়ারার স্বাদই আলাদা।আপনার ভাগ্নে খুবই কিউট।ওর জন্য আমার ভালোবাসা রইলো।ধন্যবাদ দাদা ।
অনেক ধন্যবাদ এত মিষ্টি মন্তব্যের জন্য। ভাগ্নের সাথে অনেক মজার সময় কাটাচ্ছি। আমার পরবর্তী পোস্টে সেটা অবশ্যই দেখবেন আশা করছি।
অবশ্যই দাদা,অপেক্ষায় রইলাম।
অপেক্ষার প্রহর রাতেই শেষ করেছি দিদি। রাত তিন টায় পোষ্ট করেছি। 😀😀 অভ্রর গান আর ছড়া।
আপনার বাসার ছাদে লাগানো পেয়ারা গাছ অনেক সুন্দর হয়েছে।পেয়ারা গুলো দেখতে ভালোই লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
দেখতে যেমন খেতেও তেমন সুস্বাদু 😀
নিজের গাছের ফল খাওয়ার মজাই আলাদা।আপনি সেটা উপভোগ করছেন।দেখে ভালো লাগল।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই আপু,, ছোট থেকে বড় হতে দেখা আস্তে আস্তে। অপেক্ষা করা কখন বড়ো হবে,,, নিজে হাতে যত্ন করা। ছাদ বাগানে বেশিই যত্ন করতে হয়। তারপর যে ফল টা আসে সত্যিই তার তুলনা নেই।
আপনার গাছের পেয়ারা গুলো অসাধারণ লাগছে। পেয়ারা আমার খুব প্রিয়। আমার বাড়িতেও দুইটা পেয়ারা গাছ আছে। কিন্তু এগুলোতে এখন পেয়ারা নেই। সেইজন্য আমি বাজার থেকে পেয়ারা কিনে এনে খাই। সুন্দর লিখেছেন।
আপনার অনুভূতি শুনে ভালো লাগলো ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
🙂🙂
ভাই এতো পেয়ারা আপনাদের ছাদে, আগে জানলে তো দারুন একটা অভিযান চালাতাম, হি হি হি হি
কাল খেয়েছি এই রকম কিছু গাছ হতে পেরে, পেয়ারা আমার সত্যি অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ
হাফিজ ভাই,,, আমি ভাবিও নি যে এতগুলো হবে। আসলে বাবা সব বেঁধে রেখেছিল তো। আমি গুনে গুনে ৪৭টা পেয়ারা পেরেছি,, ছাদের ওই টুকু গাছ থেকে এত ফল! চমকে গেছি পুরো। আপনি আসলে বলতাম গাছে উঠে বসে পেয়াড়া খেতে হবে,, ওই গাছে বসে পিয়ারা খাওয়া জাস্ট একবার কল্পনা করেন,, 🤪🤪🤪🙏 চলে আসেন ভাই।
একবার গাছ থেকে পেড়ে খেয়েছিলাম সত্যিই অসাধারণ ছিল সময় গুলো। দেওয়া ছবিগুলো দেখে আগের কথা মনে পড়ে গেল।
এগুলো অন্যরকম এক অনুভুতি ভাই। এই স্মৃতিগুলো বার বার শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।