DIY- এসো নিজে করি ।। দেয়াশলাই কাঠি দিয়ে মা দূর্গার কাঠামো তৈরি।। ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য
নমস্কার,
শরতের সাদা মেঘের ভেলায় ভেসে ভেসে মায়ের আগমনী বার্তা মর্তে পৌঁছে গেছে ইতোমধ্যেই। ভাদ্রের তাপদাহ তার শেষ প্রহর গুনছে আশ্বিন কে স্বাগত জানাবে বলে। আর প্রকৃতি তার সবটা উজাড় করে দিয়ে বসে আছে দেবী দূর্গাকে বরণ করে নেবে বলে। বাঙালি তার অস্তিত্বকে আরেকটিবার দর্শনের জন্য বছরের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে।
দুই বাংলার বাঙালিকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে আমার বাংলা ব্লগ। আর মাত্র কটা দিন পরেই আমাদের প্রাণের উৎসব দূর্গা পূজো শুরু হয়ে যাবে। সেজন্য এসো নিজে করি এই ইভেন্টে আজ আমি দেয়াশলাই কাঠি দিয়ে দেবী দূর্গার একটি ফ্রেম বানিয়ে মা এর আগমনী বার্তা সবার মাঝে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ :
• রঙিন কাগজ
• দেয়াশলাই কাঠি
• মোটা কার্টুন এর অংশ
• নকশা করা কাপড়ের অংশ
• কাঁচি
• গ্লু গান
• আঠা
সত্যি বলতে এই কাজটা কঠিন ভাবলে অনেক কঠিন আবার সহজ ভাবলে একেবারেই সহজ। শুধু প্রয়োজন ধৈর্য আর একাগ্রতার। খুব বেশি ধাপ নেই নেই কাজটা বোঝানোর জন্য। তবু আমি চেষ্টা করছি আমার কাজের কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার।
প্রথম ধাপ
প্রথমে কয়েকটি দেয়াশলাই বক্স নেই এবং এর ভেতর থেকে কাঠি গুলো বের করে নিয়ে একটি কাগজের উপরে রাখি। দেবী দুর্গার হাত বানানোর জন্য কিছু কাঠি মাঝ বরাবর ভেঙে আলাদা করে রাখি।
দ্বিতীয় ধাপ
এবার একটি রঙিন কাগজের উপরে দুটো কাঠি একদম পাশাপাশি রেখে মায়ের হাত গুলো এমন ভাবে বসিয়ে দেই যেন দশোভূজা মায়ের রূপটি ফুটে ওঠে। ঠিক একইভাবে মায়ের পদতলে সিংহ এবং তীর্যকভাবে একটি মহিষাসুর আকৃতি দান করার চেষ্টা করি। প্রথমে আমি কোন কাঠি কিন্তু আঠা দিয়ে জোড়া লাগাই নি। আকৃতিটা আনার চেষ্টা করেছি শুধু। আর এই পুরো কাজটুকু খুব সূক্ষ্মভাবে করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
কাঠিগুলো কে যে ভাবে সাজিয়েছি ঠিক সেভাবে এক এক করে গ্লু গান দিয়ে খুব ধৈর্য সহকারে আটকে ফেলি। এই কাজটি দেখতে অনেক সহজ মনে হলেও বাস্তবে করতে খুব কঠিন মনে হয়েছে আমার কাছে। প্রথমে আমি দেবী দুর্গার সম্পূর্ণ ফ্রেমটি গ্লু গান দিয়ে আটকে ফেলি। মায়ের ত্রিশূল টা অবশ্য পরে লাগিয়েছিলাম। লাগানো অবস্থায় ওঠার ছবি তুলতে ভুলে গেছি।
চতুর্থ ধাপ
এবার মহিষাসুরকে কাঠি দিয়ে সাজানো অবস্থা থেকে তুলে গ্লু গান দিয়ে খুব সূক্ষ্মভাবে এক এক করে আটকে ফেলি।
পঞ্চম ধাপ
সিংহের পালা এবার। সিংহ টা বানাতে বেশ মজা লেগেছে আমার। পাগুলো একসাথে করে স্লোগান দিয়ে আটকাতে একটু কষ্টই হচ্ছিল একা একা। তবে কিছুক্ষণ চেষ্টার পরে বেশ ভালোভাবেই সিংহটা বানিয়ে ফেললাম।
ষষ্ঠ ধাপ
তিনটি ফাঁকা দেয়াশলাই বক্স নিয়ে গ্লু গান দিয়ে একসাথে আটকে ফেলি। তারপর সেটিকে সুন্দর আসনের রূপদান করার জন্য নীল কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে ফেলে আঠা দিয়ে। সেই সাথে একটি কার্টুনের অংশ সুন্দর ভাবে কেটে তাতে আঠা দিয়ে রঙিন কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে ফেলি এবং চারপাশ দিয়ে নকশা করা কাপড় টি সুন্দর করে আধা ইঞ্চি মতন জায়গা নিয়ে লাগিয়ে ফেলি। কার্টুনের এই অংশটা এবং দেয়াশলাই বক্স দিয়ে তৈরি মঞ্চটি একসাথে গ্লু গান দিয়ে আটকে ফেলি।
সপ্তম ধাপ
সবশেষে মা দূর্গার সম্পূর্ণ কাঠামোটি এক এক করে কার্টুন দিয়ে বানানো ফ্রেমটাই গ্লু গান দিয়ে আটকে ফেলি।
সম্পূর্ণ কাজটিতে গ্লু গান এবং আঠার ব্যবহার অত্যন্ত বেশী ছিল। যার কারণে প্রতি ধাপে ধাপে ছবি তুলতে নিয়ে বেশ কয়েকবার আমার ফোনের স্ক্রিনে আঠা লেগে গিয়েছিল। সেজন্য শেষের দিকে দুই তিনটি ধাপের ছবি তোলা মিস করে গেছি। আসলে একভাবে কাজটা করতে নেই অন্যদিকে আর খেয়াল ছিল না। আরে পুরো কাজটাতে একদম স্থির মনে কাজ না করলে না ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতাম না।
@rme দাদা, এসো নিজে করি ইভেন্ট যদি আয়োজন না করতেন তাহলে হয়তো এরকম চিন্তা ভাবনা কখনোই আসতো না। আপনাকে শুধু ধন্যবাদ দিলেও সেটা কম হয়ে যাবে।
আর মন থেকে বলতে এই কাজটা করার সময় মনে অদ্ভুত একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। একটা আলাদা শক্তি যেন ভেতরে চলে এসেছিল। আমার এই কাজের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্য কে জানাচ্ছি অগ্রিম শারদীয়ার শুভেচ্ছা। আসুন আমরা একসাথে দেবী দূর্গার কাছে প্রার্থনা করি আমাদের এই পৃথিবীতে আবার আগের মত সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ যেন ফিরিয়ে দেয় মা। সকল অশুভ শক্তির যেন বিনাশ ঘটে। আমরা সকলে একসাথে যেন আমাদের কাছের মানুষগুলোকে নিয়ে সুখে থাকতে পারি, ভালো থাকতে পারি।
শিবে সর্বার্থসাধিকে
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী
নারায়ণি নমোহস্তুতে"
সত্যিই অসাধারণ। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। মেঝের কাঠি দিয়ে মা দুর্গার কাঠামো সত্যিই অনবদ্য। খুব খুব প্রসংসনীয় কাজ। শুভেচ্ছা রইলো অনেক দাদা
খুব ভালো লাগলো শুনে দাদা যে আপনার ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন সবসময়।
দাদা আপনি অসাধারণ একটি চিত্র তৈরি করেছেন। আর আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো দাদা
এত প্রশংসা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন ভাই
ম্যাচের কাঠি দিয়ে অনেক সুন্দর কাঠামো তৈরি করেছেন।যদিও এটা সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
দেবী দূর্গার প্রতি মূর্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।
কিছুদিন পরেই তো আপনাদের উৎসব দূর্গা পুজা। এর পূর্বে কাঠি দিয়ে এইরকম একটি কাজ খুবই সুন্দর। দেখতে ভালোই লাগছে। আপনার জন্য শুভকামনা।।
দূর্গা মায়কী জয়!
দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন দাদা আপনার কারুকাজটি।আপনার হাতে জাদু আছে বলতেই হবে।খুব সুন্দর আঙ্গিকে রুপ দিয়েছেন আপনি মাকে।ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।
ইউনিক একটা প্রজেক্ট বানিয়েছেন, দেখে সত্যিই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাই। অনেক আগে থেকেই ভাবছিলাম নতুনত্ব আছে এমন একটা কিছু করবো,, সেই চেষ্টা থেকেই কাজটি করা।