ভবঘুরে ছেলেটা
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি নিজেও চলছি আমার মত। কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি। এরই মাঝে ভালো থাকার চেষ্টা।
মাঝে মাঝেই আমার নিজের মত করে আবোল তাবোল লেখার একটা অভ্যাস আছে । এটা অনেক আগে থেকেই। তবে ইদানিং নিজের মত করে সময় দেওয়া হয় না নিজেকে। নানান দিকে নানান চাপ যেন ঘিরে রেখেছে। খুব একা মনে হয় নিজেকে। অসহায় লাগে ভীষণ। যাই হোক এসবের মাঝেই আজ আবার একটু নিজের মত করে লিখতে নিয়েছিলাম। কোন রকমে শেষ করলাম। যদিও খুব একটা সন্তুষ্ট হই নি। তবু শেয়ার করছি সবার সাথে।
ভবঘুরে ছেলেটা এখনো পিচ ঢালা রাস্তায় একা একা হেঁটে যায়
পরনে সেই ছেঁড়া জিন্স আর কুচকে ধরা একটা টিশার্ট
চটি জোড়া ক্ষয় হয়ে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে
কে কি বলল, কে কি ভাবল , কোন ভ্রুক্ষেপ নেই
সে তো ভবঘুরেই
দশ টাকায় এক কাপ চা আর একটা সিগারেট
এই দিয়েই সকাল থেকে দুপুর
আর তারপর!!
তারপর দুই গ্লাস জলে গলা ভিজিয়ে ক্ষুধার্ত পেট টাকে ভালবেসে আলিঙ্গন করা
অগোছালো চুলের বাবরি আর মুখ ভরা দাড়িতে হাসিটাও ফুটে বের হতে চায় না
সবাই ওকে ভবঘুরে বলে
তাই কালো চাদরে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছে নিজের মতো করে
অথচ এই ভবঘুরে ছেলেটাও আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখতো
সবাইকে আপন করে নিত
রংধনু দিয়ে ঘর সাজাতো
জোনাকির সাথে গল্প করতো
রূপকথার রাজা হত
কিন্তু আজ প্রবল দুর্ভিক্ষ হানা দিয়েছে তার রাজ্যে
তাই রাক্ষসপুরীর দৈত্যের কাছে সে আজ ভীত
অসহায়ের মত বরণ করে নিয়েছে নিজের পঙ্গুত্ব
পাশার দানে বারবার পরাজিত
তবে, ভবঘুরে ছেলেটারও দু চোখে ক্লান্তি আসে
শুকনো ওই দুটি চোখের পাতাও এক হয়ে যায়
সেও চায় কেউ একজন তো আসুক
কাঁধে বিশ্বাসের হাতটা রাখুক
তাকে আবার একটু গুছিয়ে নিক
শাসন বারনে আবদ্ধ করুক
কিন্তু কতক্ষণ আর সেই মধুচন্দ্রিমা!
সে তো ভবঘুরে
সময় কোথায় ওদিকে তাকানোর
যাক না চলে উচ্ছন্যে
কার কি আসে যায় তাতে!
ছেলেটা তো ভবঘুরেই
আজ এখানেই শেষ করছি। লেখাটা এতটুকুও যদি কারো ভালো লাগে ওতেই আমি খুশি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। নিজের জীবনটাকে যতটা সম্ভব গুছিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আপনি ভালো থাকলে পুরো পৃথিবীও ভালো থাকবে। নিজে ভালো থাকুন এবং কাছের মানুষটাকেও ভালো রাখুন।
ভাই আপনার সম্পুর্ন কবিতাটাই পড়লাম। ভেবে অবাক হই কবিতা মানুষ কিভাবে লেখে। আমিতো হাজার চেষ্টা করলেও একটা কবিতা লিখতে পারিনা তাই এখন আর চেষ্টাও করিনা। আসলেই অনেক ভালো লিখেছেন। কাব্য দেবী আপনাকে আশির্বাদ করুক এই প্রত্যাশা।
ভাই বিশ্বাস করেন আমার এই আবোল তাবোল লেখাগুলোকে কবিতা বলতে খুব ভয় লাগে। আদেও কবিতা হয় কিনা কিছুই বুঝি না আমি। এতো টুকুও যদি ভালো লাগে আমি ওতেই সার্থক ভাই। অনেক ভালো থাকবেন।
আপনার নানান কাজের চাপেই থাকা ভালো তা না হলে উল্টাপাল্টা চিন্তা করে সময় নষ্ট করেন। কোনরকমে লিখে শেষ করার পরেও যদি কবিতা এত সুন্দর হয় তাহলে মন দিয়ে লিখলে না জানি কত চমৎকার হবে। ভাইয়া আপনার এই কবিতাটির আবৃতি শুনতে চাই। খুবই চমৎকার লেগেছে কবিতাটি আমার কাছে।
হাহাহাহা,, আপু আপনার ভাই মন দিয়ে কখনোই লিখতে বসতে পারবে না,, তারকাঁটা যে 😅। একটা সত্যি কথা বলি,, কাল একা একা রুমে বসে মুখ দিয়ে এসব লাইন আবৃত্তি করার চেষ্টা করছিলাম এমনি এমনি,, তারপরেই পুরো লেখাটা লিখি। তবে হ্যাঁ আপনি যখন বললেন তখন সময় সুযোগ করে অবশ্যই একদিন আবৃত্তি করব 🙏। অনেক ভালো থাকবেন।
নিজের মতো লিখতে লিখতে অনেক কিছুই লিখে ফেলেছেন।যাইহোক আপনার লেখায় যে ভবঘুরে ছেলেটার কথা বলেছেন এটা বোধয় আমি😅।
হাহাহাহাহা,, বেশ মজার কথা বলেছেন। তবে আমার মনে হয় এটা প্রতিটি ভবঘুরে ছেলের চিরচেনা বাস্তব। অনেক ধন্যবাদ।