মামা ভাগ্নের আঁকিবুকি 🥰
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি নিজে কয়েকদিন ঠান্ডা কাশিতে ভুগলাম বেশ। এখন মোটামুটি ভালো। দুইদিন হল ঘরে বসে খুব ইনজয় করছি বাইরের আবহাওয়াটা। বৃষ্টির দিন আমার খুবই প্রিয়। তবে আজকে আবার হালকা রোদ উঠে গিয়েছে। বৃষ্টির দেখা নেই সকাল থেকে। আকাশ টা অবশ্য মেঘলা কিছুটা।
সত্যি বলতে সকাল থেকে ভীষণ আলসি লাগছে যে কোন কাজ করতেই। নতুন কিছু একটা যে করব সেটাও ইচ্ছে করছে না। ভাবলাম আজকে একটা ছবি আকা পোস্ট করি। কয়েকদিন আগে বাড়িতে থাকার সময় ভাগ্নেকে নিয়ে যেটা আর্ট করেছিলাম। ভাগ্নেকে একমাত্র এই আর্ট দিয়েই ব্যস্ত রাখা যায়। সেই সুযোগে আমিও একটা গ্রামের দৃশ্য আঁকি অনেকদিন পর। আজকে সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।
প্রথমে দুইটা ঘর এঁকে নিলাম। গ্রামের বাড়ির ঘর গুলো যেমন হয় সাধারণত দেখতে।
ঘরের পাশ দিয়ে একটা তালগাছ বা ডাব গাছ যেটাই বলুন না কেন সেই ছবিটা আকলাম।
বাড়ির আশেপাশে আরো কিছু গাছপালা দিয়ে একটা আঙিনা এঁকে দিলাম।
বাড়ির পাশে একটা ছোট নদী আঁকলাম। এবং তার সাথে একটা বড় গাছ। পাশে কিছু আবাদী জমিও আকলাম। গ্রামের বাড়িতে সাধারণত যেমন দেখা যায়।
এরপর শুরু হলো রং করা। রঙের ক্ষেত্রে ভাগ্নে যা যা বলছিল আমি সেগুলোই দিচ্ছিলাম। হলুদ কাঁঠালি নীল সবুজ টিয়া মেটে সব ধরনের রং দিয়েছি। ওহ হ্যাঁ নদীতে ছোট করে একটা নৌকাও এঁকে দিয়েছি। ভাগ্নের আবদার ছিল ওটা 😊।
ছোটবেলায় এরকম গ্রামের দৃশ্য অনেক আঁকতাম আর মনের মাধুরী মিশিয়ে রং করতাম। অনেকদিন পর ভাগ্নের জন্য আবার সেই পুরনো দিনে ফিরে গেলাম মনে হচ্ছিল। আমি জানি এই আর্ট টা ভীষণ সহজ এবং সাদামাটা। কিন্তু ভাগ্নেকে নিয়ে দুষ্টুমি করতে করতে এই ছবিগুলো আঁকতে আমার ভীষণই মজা লেগেছে সত্যি।







দেখে তো মনে হচ্ছে ভাগ্নের সাথে বসে বেশ আনন্দ সহকারে এই দৃশ্যটি অংকন করেছেন। বেশ মজা করেছেন মনে হচ্ছে। খুবই সুন্দর হয়েছে আপনার এই দৃশ্য অংকন। সত্যিই আপনার পোস্টগুলো আমার কাছে সব সময় ভালো লাগে। আপনি আজকে বেশ দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দুষ্টুমি করতে করতে সব করেছিলাম ভাই। ভালোই মজা হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি বলতে ভাইয়া ভাগ্নে আপনাকে সেই ছোটবেলার ফিরেয়ে দিয়েছি।আজ আপনার ভাগ্নের জন্য হয়তো বা আপনি এতো সুন্দর একটা গ্রামের দৃশ্য এঁকেছেন। বাড়ির পাশে একটা ছোট নদী আঁকাতে দৃশ্যটি অনেক সুন্দর লাগছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
একদম মনের কথা বলেছেন আপু। সত্যিই ঐ দিন ছোট বেলার কথা খুব করে মনে পরছিল। অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। ভালো থাকবেন।
বৃষ্টি ভেজা দিনে ইচ্ছা করে নতুন কিছু করতে। মামা ভাগ্নে মিলে বেশ সুন্দর একটি চিত্র অঙ্কন করেছেন ভাইয়া। গ্রামীন প্রকৃতি ও নদী দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর একটি চিত্র অঙ্কন করে শেয়ার করার জন্য।
আমার তো বৃষ্টির দিন চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে বেশি ভালো লাগে 🥰🥰। কাজ তো দূরের কথা। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমিও বেশ অসুস্থ অবস্থা থেকে উঠলাম,তারপরও ঠান্ডার বেশ কষ্ট পাচ্ছি।
নৌকায় কি আপনি এটা😉😉?যাই হোক ভাগ্নি দেখি ভালোই সাজেশন দিয়েছে😉
অসুখ একবার ধরলে আর পিছু ছাড়তে চায় না যেন। দোয়া করবেন আমরা সবাই যেন সুস্থ থাকি। আর নৌকা নিয়ে অনেক দূর চলে গিয়েছি ,, উকি দিয়েও খুঁজে পাবেন না আর 😀।
অসুস্থ থেকে সুস্থ হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। এই বছর মনে হয় এরকম বৃষ্টি এই প্রথম হলো। বৃষ্টির দিন আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। যদি বাইরে কোন কাজ না থাকে। বাড়িতে গিয়ে ভাগ্নেকে নিয়ে বেশ সুন্দর গ্রামের দৃশ্য এঁকেছেন। আপনার আর্টের হাত কিন্তু ভালো। আপনি চাইলে মাঝেমধ্যে চেষ্টা করতে পারেন । ভাগ্নের কাছ থেকে তো বেশ সুন্দর দৃশ্যের আর্ট শিখেছেন। এরপরে গেলে আরো কিছু আর্ট শিখে আসবেন।
বৃষ্টিও খুব ফাঁকিবাজি শুরু করে দিয়েছে। সময় মত দেখা দেয় না একদম। আসলে আমি মারাত্মক রকমের অলস আপু। কোন কাজে বসলে অনেক সময় লাগিয়ে ফেলি তাই করতে বসতেই ভয় লাগে। তবে চেষ্টা করব অবশ্যই মাঝে মাঝে। অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে মামা ভাগ্নের আঁকিবুকি আর্ট অসাধারণ করেছেন। মনে হয় ভাগ্নেরে নিয়ে অনেক মজা করেছেন। তবে আপনার আর্ট খুব অসাধারণ লাগলো আমার কাছে। খুব অসাধারণ ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
এটা খুবই সাদামাটা একটা ছবি এঁকেছি আপু। আপনাদের ছবি আঁকা দেখেই মাঝে মধ্যে ইচ্ছে জাগে। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যে করে উৎসাহিত করার জন্য।
এখনকার ওয়েদারটাই খুব খারাপ। কম বেশি সবারই জ্বর, সর্দি, কাশি হচ্ছে। বিশেষ করে পুজো আসার আগে আগেই এই সমস্যাটা হয়। যাইহোক একটু সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। তবে আপনি সুস্থ হয়েছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। তবে মজার বিষয় হলো মামা ভাগ্নে মিলে তো ভালোই চিত্র অঙ্কন করেছেন। ছোটবেলায় গ্রামের দৃশ্যগুলো আমি নিজেও আঁকতাম এবং আমার খুব পছন্দের একটা টপিকস এটা। খুব ভালো লাগলো দেখে।
আর আমার তো অটো ঠান্ডা লাগে রে ভাই সব সময়। একটু ফ্যানের বাতাসেও অবস্থা টাইট হয়ে যায় মাঝে মাঝে। এই ছবিটা ভাগ্নের সাথে আঁকার সময় ছোট বেলার কথা খুব মনে পরছিল। কত মজা করে কত কি আঁকাতাম! ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে ঠান্ডার সময় এই ধরনের কাশি প্রতিটি মানুষের লেগেই থাকে তারপরও ভালো লাগলো যে আপনি সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। বৃষ্টির দিনে মামা ভাগ্নে একত্রিত হয়ে দারুন একটা আঁকি-বুকি করেছেন। আপনার অংকন করা এই চিত্রটির মাধ্যমে গ্রামীণ পরিবেশের চিত্র খুব সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে।
সিজন পরিবর্তনের সময় এই সমস্যা গুলো খুব করে দেখা দেয়। আপনাদের দোয়াতে এখন মোটামুটি ভালো আছি। অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দাদা আপনার মতো আমরাও একি অবস্থা ৷ কয়েক দিন ধরে আমারও খুব আলশি লাগছে ৷ কাল একটা পোস্ট করতে চেয়েও করতে পারলাম নাহ ৷যাই হোক মামা ভাগ্নে মিলে অনেক সুন্দর একটি ছবি একেছেন দাদা ৷ অসাধারণ হয়েছে আপনার আর্ট ছবিটি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি আর্ট শেয়ার করার জন্য ৷
আলসেমি করে করে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলছি রে ভাই। বোকামো হয়ে যাচ্ছে সব। অনেক ভালো থাকবেন ভাই।
ভাইয়া কি আর বলবো বৃষ্টির দিন মানেই যেন আলসেমের একটা উপযুক্ত সময় কিছুই ভালো লাগেনা শুধু আলসেমি আর আলসেমি বেডের উপরে শুয়ে এপাশ থেকে গুড়িয়ে ওপাশ ওপাশ থেকে গড়িয়ে এ পাস হাহাহা। তবে আপনি এই সময়টা কাজে লাগিয়েছেন, চমৎকার একটি অংকন আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো কালার কম্বিনেশন অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল।
ছবিটা বেশ কয়েকদিন আগের আঁকা ভাই। বৃষ্টির দিনে অটো আলসেমি চলে আসে 😊😉। ঘুম ছাড়া অন্য কিছু ভাবতেই ইচ্ছে করে না একদম । হিহিহিহি,, ভালো থাকবেন ভাই।