আপাতত এটুকু শান্তি নিয়েই থাকি,, পরের টা পরে বুঝে নেব 😊

নমস্কার,,

যতদূর মনে পরছে মোটামুটি বছর দুয়েক আগে আমাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর ঠিক ঐ দিনই আমার জীবনের প্রথম চাকরির ইন্টারভিউ হয়েছিল। সেজন্য উপস্থিত থাকতে পারেনি অনুষ্ঠানে। প্রভিশনাল সার্টিফিকেট দিয়েই কাজ চালিয়েছি এই কয়েক বছর ধরে। কিন্তু এবার ব্যক্তিগত অনেক কারণেই মূল সার্টিফিকেটটা তুলতে হবে। তার সাথে সাথে মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন সার্টিফিকেট টাও তুলতে হবে। আমার কাছে এই ব্যাপারটা খুব অবাক লাগে যে চার বছর ইংরেজি দিয়ে পড়াশোনা করে এবং পরীক্ষা দিয়েও পরবর্তীতে মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন যে ইংরেজিতে সেই সার্টিফিকেটটা আলাদা করে তুলতে হয়।

IMG_20220907_152824.jpg
Location

IMG20220907105558.jpg
Location

যাই হোক মোটামুটি সাত দিন আগেই আমি অনলাইনে সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে রেখেছিলাম। ভাগ্নের জন্মদিনের জন্য বাড়িতে গিয়েছিলাম তাই আর কাগজপত্রগুলো অফিসে জমা দিতে পারিনি। সেজন্য এবার বাড়ি থেকে ফিরে আর দেরি না করে আজকেই সকাল সকাল বেরিয়ে গিয়েছিলাম ইউনিভার্সিটির দিকে সব ডকুমেন্টস জমা দিয়ে সার্টিফিকেট তুলব বলে। যাওয়ার সময় একটা ব্যাপারে বেশ অবাক হয়ে গিয়েছি। মাত্র ২০ মিনিটের ভেতরই শ্যামলী থেকে নীলক্ষেত পৌঁছে গিয়েছি কোন জ্যাম ছাড়াই। অন্যান্য সময় যেখানে প্রায় ঘন্টা দেড়েক লেগে যায় এইটুকু রাস্তা পার হতে।

IMG20220907110005.jpg
Location

IMG20220907115539.jpg
Location

অন্য কোন দিকে সময় নষ্ট না করে সোজাসুজি চলে যাই রেজিস্টার বিল্ডিং এর তিন তলায় ৩১০ নম্বর রুমে। মোটামুটি বেশ ভালই ভিড় ছিল দেখলাম। ২০ মিনিটের ভেতরে আমার সিরিয়াল এসে গেল। অনলাইনে আবেদন করা কাগজ এবং আমার এডমিট কার্ড সবকিছু জমা দিলাম। তারপর আমাকে বলল কয়েকদিন পর অনলাইন স্ট্যাটাস চেক করে মূল সার্টিফিকেটটা নিয়ে যাওয়ার জন্য। কাজটা শেষ হতেই চলে গেলাম ৩৩২ নম্বর রুমে মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন সার্টিফিকেট তোলার জন্য। ওই রুমে বসে থাকা দেখতে মিষ্টি একটা আপু আমাকে হাতে একটা ফর্ম ধরিয়ে দিয়ে বলল এটা ফিলাপ করে জনতা ব্যাংকে পঞ্চাশ টাকা জমা দিয়ে পুনরায় কাগজটা তাদের কাছে আবার জমা দিতে।

IMG20220907120238.jpg
Location

IMG20220907122342.jpg
Location

টিএসসিতে অবস্থিত জনতা ব্যাংকের শাখায় ৫০ টাকা জমা দেয়ার জন্য যাওয়া আসা মিলিয়ে ৬০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিতে হয়। এই ব্যাপারটা আমার বেশ অদ্ভুত লাগে। এর আগেও এরকম ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে বেশ কয়েকবার। যাই হোক সব কাজ সেরে আবার ৩৩২ নাম্বার রুমে সবকিছু জমা দিলাম এবং সেখান থেকে আপুটা আমাকে জানিয়ে দিলেন সামনের সপ্তাহে রবিবার এসে সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার জন্য।

IMG20220907124415.jpg
Location

IMG20220907140938.jpg
Location

IMG20220907130542.jpg
Location

সাথে আমার বন্ধু তানজিম ছিল। সব কাজ শেষ করার পর ভার্সিটির ভেতরে একটা গাছের নিচে বসে অনেকক্ষণ ধরে আড্ডা দিলাম দুই বন্ধু। বেশ ভালো কিছু সময় কাটালাম। সত্যি বলতে ঢাকা ভার্সিটির ভেতরের এই পরিবেশটা সবসময় অনেক ভালো লাগে। চারপাশে গাছপালা দিয়ে ভরা। বেশ ঠান্ডা একটা আবহাওয়া বিরাজ করে সব সময়। দুজনের গল্প যেন থামছিল না। কিন্তু বন্ধুর মাস্টার্সের ক্লাস সাড়ে তিনটার দিকে শুরু হওয়ার কথা। তাই বিকাল তিনটার কিছু পরপরই তানজিম বুয়েটের দিকে চলে গেল আর আমিও বাড়ির দিকে ফিরে আসলাম। আশা করি সামনের সপ্তাহে দুইটা সার্টিফিকেটই কোনরকম ঝামেলা ছাড়া পেয়ে যাব। আপাতত এইটুকু শান্তি নিয়েই থাকি, পরের টা পরে বুঝে নেব 😊🙏।

Sort:  
 2 years ago 

সার্টিফিকেট তুলতে গিয়ে আপনাকে দেখি বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। তারপরেও সব ঝামেলা মিটে গেছে এটাই অনেক বড় পাওয়া। আশা করছি এখন অনেকটা স্বস্তিতে আছেন। যাই হোক হয়তো খুব শীঘ্রই সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন। নিজের জীবনে সফলতা অর্জন করুন এই প্রত্যাশা করি ভাইয়া।

এদিক সেদিক একটু দৌড়তে হয় এটাই যা,, এখন যত তাড়াতাড়ি পাব সব কিছু ততই ভালো। দোয়া করবেন আপু। আর ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

কলেজ বা ইউনিভারসিটির এই কাজগুলো আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগতো। কলেজ শাখা থেকে সব কাজ শেষ করে আবার ব্যাংকে দৌড়াতে হতো টাকা জমা দেওয়ার জন্য। আর সেখানে গিয়ে বিশাল লাইনে দাঁড়াতে হতো। যাই হোক সব ঝামেলা শেষ করে করতে পেরেছেন এখন শুধু অপেক্ষার পালা। আশা করি সার্টিফিকেট ভালোভাবেই হাতে পেয়ে যাবেন।

আমার মনে হয় সব কাজ যদি অনলাইন হতো তাহলে কত ভালো হত! অবশ্য আগের থেকে ঝামেলা অনেক কমছে। অনেক কিছু দেখলাম অনলাইন হয়ে গেছে। আশা করি বাকি কাজ গুলোও হয়ে যাবে। ভালো থাকবেন আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59484.75
ETH 2614.53
USDT 1.00
SBD 2.41