ই বি এলে অ্যাকুয়া মাস্টারকার্ড নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা
নমস্কার,
প্রকৃতির নিয়ম মেনে দিন কেটে যাচ্ছে রোজ। সকাল হলেই রাত। রাত হলেই ধুম করে ভোর। মাঝে ঘটে যাচ্ছে নানান অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আমাদের জীবন সত্যিই কত বিচিত্রময়। তবু সব কিছু মানিয়েই চলতে হচ্ছে আমাদের।
একটা বিশেষ প্রয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল ডুয়াল কারেন্সি কার্ড এর খুব দরকার পরে যায় খুব জরুরী ভিত্তিতে। কিন্তু কারোর কাছেই পাচ্ছিলাম না। ঢাকা থাকলে হয়তো ম্যানেজ করা যেত কিন্তু বাড়িতে সেই সুযোগ আর কই। তাই সব কিছু বাদ দিয়ে নিজের নামেই করতে গেলাম একটা মাস্টার কার্ড।
ডুয়াল কারেন্সি কার্ড এর ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না । আমার বন্ধু তানজিম এর কাছ থেকে কিছুটা আইডিয়া নেই। বাকিটা ইউটিউবে দেখে নেই। তো সব খানেই সবাই ইস্টার্ন ব্যাংক এর আকোয়া মাস্টার কার্ড এর কথা সবাই বেশি করে বলতে থাকে। তাই ভাবলাম প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে কিছু খোঁজ খবর নেই। পরে একদিন গিয়ে বাকি কাজ সেরে নেব।
তো আমি ব্যাংকে ঢুকলাম। চেয়ারে বসা একজন ভদ্রলোক কে সব টা জিজ্ঞেস করলাম। ওনার নাম ছিল সাদিক হাসান। যাই হোক খুব ভাল ব্যবহার করেছেন। ভালো লেগেছে খুব। আমি ওনাকে ডুয়াল কারেন্সি কার্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আমাকে খুলে বললেন সব টা। দেখলাম বেশি কিছু লাগে না। কিন্তু প্রবলেম হয়ে গেল অন্য জায়গায়। আমার পেশা না ইনকাম নিয়ে তথ্য দিতে হবে। এবার কথা হলো আমি তো কোন জবে নেই এখন। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করি শুধু। আর সত্যি বলতে বাবার পেশা দিয়েও করা যাবে কিন্তু আমি বাবার কাগজ দিয়ে করতে চাইছিলাম না। নিজের কাজ দিয়েই যদি করতে পারতাম।
আমি সাদিক সাহেবকে বললাম আমি এই অনলাইনে কাজ করি। এই দেখুন আমার প্রোফাইল। উনি বেশ ঘেঁটে দেখলেন সব। তারপর কিছু জিজ্ঞাসা করলেন। আমিও যথারীতি উত্তর দিলাম। আসলে ব্লক চেইন বেজড কাজ গুলো সম্পর্কে তেমন কিছু জানতেন না। আমি একটু ধারনা দিলাম। তারপর আমাকে বললেন আমার প্রোফাইলের একটা স্ক্রীন শর্ট দিয়ে সেটা প্রিন্ট করে পেশার কাগজ হিসেবে দিলেই হবে। সাথে আমার জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি আর পাসপোর্ট সাইজের একটা ছবি। আমার মানি ব্যাগে ছবি ছিলই। আর জাতীয় পরিচয় পত্র তো সবার সাথেই থাকে। তাই ভাবলাম মিছেমিছি দেরি না করে আজই সব কাজ সেরে ফেলি।
আমি বাইরে গিয়ে প্রিন্ট করে নিলাম আমার কাগজটা। একটু পরে আবার ব্যাংকে চলে আসলাম। সাদিক সাহেব আমাকে দুটো ফর্ম বের করে বুঝিয়ে দিলেন কোথায় কি পূরণ করতে হবে। আমি ওনার কথা শুনে সব বুঝে শুনে পূরণ করলাম। উনি আবার চেক করে নিলেন সবটা। তারপর আরো কিছু ফর্মালিটি সেরে আমাকে বললেন ফর্ম টা নিয়ে ১১৫০ টাকা ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিতে। মানে এই আকোয়া মাস্টার কার্ড এর মেয়াদ তিন বছর এবং তার জন্য ফি হিসেবে তিন বছরের জন্য ১১৫০ টাকা দিতে হবে। সব কাজ করার পর আমার হাতে একটা কাগজ দিয়ে সাদিক সাহেব বললেন মোটামুটি ১৫ দিনের মধ্যেই কার্ড হয়ে যাবে আশা করি। আমিও শুনে বেশ খুশি হলাম। তারপর ওখান থেকে বেরিয়ে আসলাম।
সত্যি বলতে বেশ ভালো একটা অভিজ্ঞতা ছিল এটা আমার জন্য। আর সব চাইতে বেশি ভালো লেগেছে যেই ব্যাপারটা আমি এই প্ল্যাটফর্মের রেফারেন্স দিয়ে কাজ টা করতে পেরেছি। এটা একটা বড় পাওয়া আমার জন্য।
তবে মজার ব্যাপার যে, আমি ব্যাংকের ভেতর ঢুকে কাজের সময় ছবি তোলার কথা একদম ভুলে গিয়েছিলাম। কাজ সেরে মাথায় হাত। একদম খেয়াল ছিল না। ছবি তুললে পোস্ট টা হয়তো আরো সুন্দর হত। সে যাই হোক এখন আর কি করার। যতটা পারি চেষ্টা করে গেলাম।
ই বি এলে আপনার মাস্টার কার্ড বানানোর গল্প সত্যিই অসাধারণ ছিল। আপনি খুব সুন্দর করে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেছেন। সত্যিই অসাধারণ ছিল আপনার ব্যাংকে কাটানো মুহূর্তগুলো। তবে আপনাকে যথেষ্ট হেল্প করেছে এবং আপনি আমার বাংলা ব্লগ এর প্রোফাইল পিকচার দিয়ে আপনি আপনার মাস্টার কার্ড টা এবং একাউন্ট খুলতে সক্ষম হয়েছে। এটা সত্যিই অনেক বড় একটি পাওয়া। আমাদের সাথে আপনার মনের কথাগুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগলো ভাই এভাবে বিস্তারিত পড়ে নিজের মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আমার বাংলা ব্লগের পরিচয় কি আপনার আকোয়া মাস্টারকার্ড করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার কার্ড করার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এখনো অনেক ব্যাংকগুলোতে ভালো ভালো লোক আছে বিধায় আমাদের এ জীবন এত সহজ হয়েছে। তারা আপনাকে কার্ড দিতে চাই বলে যে কোনো প্রমাণই দিয়েছে। এত সুন্দর ভাবে আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যা আপু এই ভালো লোকদের জন্যই পৃথিবীটা এখনও অনেক সুন্দর। অনেক ভালো থাকবেন।
সাদিক সাহেব নেহাত ভদ্র লোক ছিল বলে কাজটা অতি তাড়াতাড়ি করে ফেলেছেন। একটু কটু টাইপের লোক হলে এত ইজিলি হয়ত ব্যাপারটি নাও হতে পারতো। তবে আমাদের কমিউনিটির কথা বলে কাজটি সহজে হয়ে গিয়েছে শুনে অনেক ভাল লাগলো। আমারও একটি মাস্টার কার্ড দরকার। দেখি ব্যাংক এ যাবো কিছুদিনের মধ্যে। ধন্যবাদ আপনাকে