পূর্ণতা

নমষ্কার,

20220720_203317.jpg

প্রেম......|| ছোট এই জীবনের ২৭ টা বসন্ত পার করার পর নিজের মত করি যদি বলি তাহলে আমি বলবো,,,,, পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা জিনিসের নাম হলো প্রেম। হ্যাঁ নিতান্তই সস্তা একটা আবেগের নাম প্রেম। যে কোন মুহুর্তে কেউ প্রেম পরতে পারে, যে কারো সাথে প্রেম হতে পারে, যে কোন বয়সে প্রেম হতে পারে। স্থান কাল পাত্র কিছুই মানে না যে আবেগ তাকে সস্তা না বলে উপায় আছে !!!

তবে ভালোবাসা! ,,, ভালোবাসা হয়তো সব কিছুর উর্ধ্বে। সবার সাথে প্রেম করা গেলেও হয়তো ভালোবাসা টা সবার সাথে হয় না। আমার তো মনে হয় প্রেম থেকে নোংরামির জন্ম হয়। কিন্তু ভালোবাসায় থাকে শুদ্ধতম আবেগ আর পবিত্র কিছু অনুভূতি।

মিথ্যে বলবো না, জীবনে অনেক মেয়ের সাথেই কথা বলেছি। রাত ভর ফোনে আড্ডা দিয়েছি। বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে মেয়ে পটানোর প্রোজেক্টও করেছি। হোক সেটা জুনিয়র বা সিনিয়র। ভার্সিটি লাইফের প্রথম বর্ষ পর্যন্ত পুরো মাস্তিতে চলেছি। লেডি কিলার, প্লে বয় অনেক নামে বিশেষায়িত হয়েছি। সত্যি বলতে ওগুলো সব শুধু মজার জন্য ছিল। কখনো কোন কিছুতে সিরিয়াস ছিলাম না একদম। তাই প্রথম প্রেমের যে একটা অনুভূতি মনে আলাদা করে জায়গা করে নেবে সেই রকম কিছু আমার মাথায় আসতোই না। এখন অবশ্য মাথার চুল উঠে টাকলা হয়ে গেছি 😉। কেউ আর পাত্তাই দেবে না। হিহিহি 🤪। তবে হ্যাঁ, এর মাঝেই যে একটা অনুভূতি মনে সারা জীবনের জন্য গেঁথে গেছে মনে। হয়তো জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভুলতে পারবো না সে স্মৃতি। তার কিছু অনুভূতি নিজের সোনালী স্মৃতির খামে লিখে রাখতে কলম ধরেছি আজ।

২০১৬ সালের ২২ জুন, ভোর পাঁচটা অথবা পাঁচটা পনের মিনিট হবে।
নিজের শহর ছেড়ে কয়েকশত কিলোমিটার দূরে কোন এক মেয়েটাকে প্রথম দেখে নিজের অজান্তেই ঈশ্বরকে বলেছিলাম, "হে ভগবান এত দিন এমন একটা মেয়েকে আমার সামনে নিয়ে আসো নি কেন! আর এমন একটা মেয়েকে যদি আমার সামনে আনবেই তাহলে তাকে আবার আত্মীয়ের মাঝে স্থান দিলে কেন ! এখন তো কোন কিছুই সম্ভব নয় আর।"

মেয়েটার ব্রেক ফেল করা কথা, সরলতায় ভরা চঞ্চলতা আমাকে মুগ্ধ করতো বার বার। ছন্নছাড়ার মতো ঘোরাফেরা করে যেদিন শহরটা থেকে ফিরে আসছিলাম বুকে একটা অচেনা যন্ত্রণা যেন বার বার জেগে উঠছিল। কি যেন ফেলে আসছিলাম ঐ শহরে। জীবনে প্রথমবার কারো জন্য এমন অনুভূতি হলো নিজের ভেতরে।

নিজের ঠিকানায় ফেরার পরে জানতে পারি মেয়েটার মনেও আমার প্রতি আলাদা একটা ভালো লাগা জন্ম নিয়েছে। আমাদের যোগাযোগ টা বাড়তেই থাকলো। একটা সময় মেয়েটা নিজেই রোজ রাতে ঘুমানোর আগে I Love you বলে ম্যাসেজ করতে শুরু করে। আমি জানতাম আমাদের এই সম্পর্ক কখনোই সম্ভব না, কেউ মেনে নেবে না। তাই এগোতাম না । কিন্তু একটা সময় পাগলের মতো শুরু করে কথা বলার জন্য। মেসেজে উত্তর না দিলে বার বার ফোন। প্রচন্ড রকমের বিরক্ত হয়ে ওর নম্বরটা আমার ফোনে Disturb লিখে সেভ করে রাখলাম। মাঝে মাঝে ফোন অফ করে রাখতাম। কিন্তু তাতেও মুক্তি নেই। ফোন অন করতেই আবার ফোন। আমিও খুব বেশি এড়িয়ে চলতে পারতাম না। এভাবে মাঝে মধ্যে কথা, ওর বাবার ফোন দিয়ে একটু ভিডিও কলিং বেশ হতো। আমাকে অনেক বলতো একবার I love you বলার জন্য। আমি বলতাম না একদমই।

তার ঠিক ৫ থেকে ৬ মাস পর রাতে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে ঘুরতে মজার ছলে বলেছিলাম I love you too. ধীরে ধীরে গভীরতা যেন বাড়তে থাকে। আমরা তখন নিজেরা বলতাম আমাদের এই সম্পর্কটা যদি কেউ মেনে না নেয় তবে পরের জন্মে আমরা ঠিক দুজন দুজনার হব। এরপর ২০১৭ সালে আমাদের আবার দেখা হয়। দুজন যেন দুজনের অনেক কাছে চলে আসি। আর ফেরার সময় ঠাকুর ঘরে দাড়িয়ে ওকে কথা দেই শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। যত যাই হোক। ঠিক তখন থেকে আমি সম্পর্কটার প্রতি সিরিয়াস হই। নিজে নিজে প্রতিজ্ঞা করি এই মেয়েকে আমি কখনো ঠকাবো না।

ভালোবাসার নতুন অধ্যায় যেন শুরু হলো জীবনে। লং ডিসটেন্স রিলেশনশিপের ফাঁদে পা দিয়েই দিলাম। চাইলেও কেউ কারো সাথে দেখা করতে পারতাম না। স্পর্শ করতে পারতাম না। দুজনে দুজনকে কাছে পাওয়ার তীব্র আলকুলতা যেন সারাক্ষণ দাপিয়ে মারতো। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মুখটা দেখতে হবে। শুয়ে দেখতে হবে। কেউ কাউকে ছেড়ে যেন এক মুহুর্ত থাকতে পারতাম না। কত শত কথা। কত মান অভিমান। নিজেদের মতো করে এক অপরকে যেন তৈরি করে নিতাম।

রাতে ঘুমানোর সময় কানে হেড ফোন লাগিয়ে এক অপরের নিশ্বাস শুনে ঘুমাতাম রোজ। আমি শুতে আসতে বেশি লেট করলে ওর রাগের শেষ থাকতো না। জীবনে প্রথমবারের জন্য অনুভব করেছি আমি যেন সত্যি কোন মেঁয়ের সাথে ঘুমিয়ে আছি।

জীবনে প্রথম বারের জন্য ভালোবেসে কোন মেয়েকে নিয়ে লিখেছি কবিতা। লিখেছি গান, রাজকুমারী। মেয়েটাও লিখত গান কবিতা। মজার ব্যাপার হলো, রাগ অভিমান হলে তো সামনে গিয়ে কেউ কাউকে ভোলাতে পারতাম না তাই ছোট ছোট দুষ্টুমির ছড়া লিখে একে অপরের মান ভাঙ্গাতাম। সত্যি বলতে আমার দ্বারাও যে গান কবিতা কিছু লেখা সম্ভব এটা হয়তো মেয়েটা আমার জীবনে না আসলে কখনো কল্পনাই করতে পারতাম না।

সম্পর্ক টা যখন আরো গভীর থেকে গভীরে যাচ্ছিল তখন আমি প্রথম বুঝি আসলে মেয়ে মানুষ কতটা হিংসুটে হয়। আমাকে কোন মেয়ের পাশে দেখতে পেত না। হোক সে সিনিয়ার অথবা ব্যাচমেট। কারো পাশে দাড়িয়ে ছবি তুললে যেন মাথায় আগুন লেগে যেত ওর। আর আমিও ছিলাম তেমন, ইচ্ছে করে সারাদিন পেছনে লাগতাম। রাগিয়ে দিতাম। ভালোবাসার মানুষকে রাগিয়ে দিয়ে যে কতটা মজা পাওয়া যায় এটা যে ভালোবাসে সেই বোঝে শুধু।

শুধু যে রাগ অভিমান ছিল তাই নয়। দুজন দুজনকে যখন মারাত্মক মিস করতাম পাগলের মত যেন কাদতাম। নিজেরা যেন আরো শক্ত হয়ে উঠতাম। ভালোবাসার যে একটা শক্তি ছিল আমরা যেন খুব অনুভব করতাম।

আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ জন্মদিন যেন তার সাথেই কাটাতে থাকি একের পর এক। দূর থেকে কত কি আয়োজন করতো পাগলী মেয়েটা। মন্দিরে গিয়ে পূজা দেওয়া। মানত করা। আরো কত কি। আমিও চেষ্টা করতাম যতটা পারি ওকে সারপ্রাইজ দিতে। ওইটুকু তেই যেন আমরা মহাখুশি। আর প্ল্যানিং করতাম আমরা যখন এক সাথে থাকবো তখন কিভাবে কিভাবে আমাদের জন্মদিন সেলিব্রেট করবো। ছোট ছোট হাজারো ইচ্ছেগুলো যেন জমতে জমতে এভারেস্টের চূড়ায় গিয়ে পৌঁছত।

একটা সংসার ছিল যেন আমাদের। নিজেদের সব কেমন কি হবে তার একটা নকশা যেন রোজ একটু একটু করে একে চলতাম। স্বপ্ন গুলো যেন আকাশ ছুয়ে যেত রোজ। হয়তো এই জোর টা থেকেই বন্ধন টা আরো বেড়ে যেত একটু একটু করে।

আমরা বিশ্বাস করতাম আমরা যদি দুজন এক থাকি তাহলে আমাদের আলাদা করা এই যুগে অসম্ভব। পরিবারকে যদি রাজি করাতে পারি তাহলে দূরত্ব কোন বাঁধা নয়।

একটা সময় অনুভব করতে পারলাম সত্যি সত্যিই হয়তো মেয়ে টাকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। ওকে দূরে রেখে হয়তো কোনদিনও সুখে থাকতে পারবো না। আর তাই নিজের গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর শত ইচ্ছে আর সুযোগ থাকা সত্বেও শুধুমাত্র মেয়েটার কথা শুনে হায়ার স্টাডিজ এর জন্য দেশের বাইরে যাওয়া ক্যান্সেল করে দিলাম। কারণ এমনিতেই আমাদের মাঝে দূরত্বটা অনেক বেশি। এরপর যদি আমি আরো দূর দেশে চলে যাই তাহলে হয়তো এই সম্পর্কটাই আর থাকবে না। ভালোবাসার মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের ইচ্ছে কে বলি দিয়ে নিজের দেশে থেকেই কিছু করার চেষ্টা করে গেলাম। মেয়েটা আমার খারাপ সময় গুলোতে প্রচন্ড পরিমাণে আস্থার জায়গা হয়ে ছিল।

আমাকে বুঝতে পারতো খুব। আর সব কিছুতে আমাকে সামলে নিতে ওর যেন তুলনা ছিল না। অনেক আদরে রাখতো। ঠিক যেন ছোট বাচ্চা। এই চঞ্চল মেয়েটাও আবার ওর শরীর খারাপের দিন গুলোতে আমার কাছে এসে চুপটি করে শান্ত হয়ে থাকতো।

সম্পর্কে যে শুধু ভালো সময় কেটেছে এমন নয়। অনেক বাজে মুহূর্ত এসেছে। ছাড়াছাড়ির পর্যায়ে পর্যন্ত গেছে। শেষ বেলায় মেয়েটা নিজের ভুল বুঝতে পেরে পাগলের মত ছুটে এসেছে। আমার বিশ্বাসের জায়গা গুলোতে ফাটল ধরেছে বারবার। তবুও যাকে ভালোবেসেছি তাকে কখনো ফেলে দিতে পারি নি। আবার নতুন করে চেষ্টা করেছি সবকিছু গুছিয়ে নিতে দুজন মিলেই।

২০১৮, ২০১৯ এ আমাদের দেখা হয়। অনেকদিন পরপর দেখা হলেও আমরা একসাথে অনেক লম্বা সময় ধরে থেকেছি প্রতিবার। আর প্রতিবারই যেন দুজন দুজনের আরও বেশি কাছে এসেছি এবং নতুন করে প্রতিশ্রুতিগুলোকে ঝালাই করে নিয়েছি। আমাকে ওর পছন্দের একটা পায়েল দিয়ে বলেছিল যেখানেই যাবে এটা সাথে রাখবে। তারপর থেকে মোটামুটি চার বছর আমি যেখানে যেখানে গিয়েছি পকেটে ওই পায়েলটা সব সময় থাকতো।

করোনা তে বেশ লম্বা সময় আমাদের দেখা হয় না। তাতেও আস্থা হারায় নি। মনের জোর কে আঁকড়ে ধরে দুজন দুজনের পাশে থেকেছি প্রতিটা ক্ষণে। একটা সময় আমরা অপেক্ষার প্রহর গুনতে শুরু করি। শীঘ্রই সুদিন আসছে। নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে গেলেই এবার হয়তো শুভক্ষণের জন্য তৈরি হবো আমরা। অনেক সুখে ছিলাম আমরা সত্যি। সবাই আমাদের এই সম্পর্ক টা মাথায় করে রাখতো যেন।

কিন্তু বেশি সুখ কারো কপালে সয় না। হঠাৎ করেই শুরু হলো ছন্দপতন। ছয় বছরের আস্থার ঘরে যেন হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। মীরজাফরের লাগানো সেই আগুনটা এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তেই যেন আমার সাজানো সংসার পুড়ে তছনছ হয়ে যায়। হাজার চেষ্টা করেও আমি আগুনটা আর নেভাতে পারিনি। চোখের সামনে দাউ দাউ করে পুড়তে দেখেছি আমার সাজানো স্বপ্ন গুলো। অন্ধ মোহের বশে একের পর এক ভেঙেছে আমাকে দেয়া প্রতিশ্রুতি গুলো।

আমার এখন মনে হয় আমি হয়তো কোন সত্যি কারের ভালবাসার ভিতর কখনোই ছিলাম না।সত্যিকারের ভালোবাসা থাকলে হয়তো সে এই সম্পর্কের মাঝে অন্য কারো বুকে গিয়ে নিজের আশ্রয় খুঁজতে যেতে পারতো না। একটু স্বাধীনতা পেয়ে বন্ধু বন্ধু সুর তুলে অন্য কারো সাথে বাজে ভাবে জড়াতে পারতো না।

চাইলেই অনেক কিছু লেখা যায়। ভালো স্মৃতি গুলোই মনে থাকুক। তবে বর্তমান সমাজের আধুনিক ভালবাসার কাছে আমার সেকেলে ভালোবাসা হার মেনে গেছে। ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতে দেখা করা, জড়িয়ে ধরা, স্পর্শ করা নাকি খুব বেশি প্রয়োজন ছিল।

শেষ বেলায় এসে বুঝতে পারলাম আমি হয়তো মেয়েটার অভ্যাস হয়ে ছিলাম এই ছয়টা বছর। ভালোবাসা নয়। মজার ব্যাপার যে,, যাকে ভুল পথ থেকে ফেরানোর জন্য আমি সব পিছুটান ফেলে ছুটে গিয়েছি, সেই মেয়েই আমার দিকে আঙুল তুলে বলেছে আমি তার সব শেষ করে দিয়ে যাচ্ছি। তার বর্তমান ভালবাসার মানুষের সাথে দুরত্ব বাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছি।

যে আমাকে কাছে টেনে নিয়ে স্বপ্ন দেখালো সারা জীবন পাশে থাকার, যার জন্য নিজের ক্যারিয়ার ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলাম তার কাছে সজীব এখন শুধুই অতীত। সে তার চোখে অন্য কাউকে ভাসতে দেখে।

তাই আমার কাছে ভালোবাসার অনুভূতি টা সত্যি খুব তিক্ত। শেষ বেলায় আমার ভালোবাসার গল্প নাটকের চাইতেও বেশি নাটকীয় হয়ে গেছে। আমি হয়েছিলাম তার এক্সপেরিমেন্টের গিনিপিগ। তবে এটুকু কথা আমি জোর গলায় বলতে পারি যে আমার সাথে যা যা হয়েছে হয়তো সেজন্যই আমি সত্যি সত্যিই অনুভব করতে পেরেছিলাম ভালোবাসার মানুষটা ছেড়ে গেলে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হয়। ভালোবাসার মানুষটিকে ছাড়া কাটানো প্রতিটি নির্ঘুম রাত কতটা যন্ত্রণার হয়। দম আটকে মৃত্যুও যেন তার চাইতে বেশি ভালো।

আমার এক ছোট বোন গায়েত্রী আমাকে বলেছিল,,
"দাদাভাই, আপনি মেয়েটাকে ক্ষমা করে দিন। দেখবেন আপনার কষ্ট অনেক কমে গেছে। হয়তো একদিনে ক্ষমা করতে পারবেন না। তবে চেষ্টা করবেন সবকিছুতে একটু একটু করে ক্ষমা করে দিতে।"

শেষ বার দেখা করার পর মেয়েটাকে ফোন দিয়ে শুধু বলেছিলাম,,

"চলে যাচ্ছি। হয়তো আর কখনো দেখা হবে না। ভালো থেকো। নিজেকে সামলে রেখো। সব বুঝেও ভুল পথে গিয়ে নিজেকে নষ্ট করো না। তোমার ওপর আমার রাগ অভিমান ক্ষোভ কিচ্ছু নেই। আর Thank You so much আমার জীবনে আসার জন্য। এই ছয়টা বছর আমার সাথে থাকার জন্য। ভালোবাসা জিনিসটা আসলে কি হতে পারে এটা অনুভব করানোর জন্য। আসছি।"

এই লেখাটা যখন লিখছি তখন ঘড়ির কাটায় রাত দুইটা। হঠাৎ করেই যেন বুকের ভেতরে ছয় বছরে জমে থাকা ভালো খারাপ অনুভূতি গুলো ভূমিকম্পের মত আমাকে নাড়িয়ে দিয়ে গেল। এই কম্পন টা সহ্য করা সত্যিই অনেক কঠিন। তবে এই মাঝরাতে আমি একটা কথা অবশ্যই বলব, শত শত কিলোমিটার দূরে থাকা আমার ভালোবাসা পূর্ণতা না পেলেও আমার অনুভূতি গুলো ঠিকই পূর্ণতা পেয়েছে। ভালোবাসায় আমি আজ পরিপূর্ণ।

ভালোবাসা যেন কখনোই ভ্রাম্যমাণ না হয়। পৃথিবীর সব ভালোবাসার মানুষ গুলোর সাথে আমার ভালোবাসাটাও যেন ভালো থাকে। আধুনিক ভালবাসার পরশ দিয়ে তার প্রেমিকের ঘর আলো করে সজীবতায় ভরিয়ে দিক সারাটা জীবন।

Sort:  
 2 years ago 

আহ্ ভালোবাসা। কি লিখবো বুঝতে পারছি না। সত্যি বুঝতে পারছি না। ভালো থাকুক সবাই।

এটাই আধুনিক ভালোবাসা সুমন ভাই,,, এখানে বন্ধু বন্ধু গুঞ্জন তুলে একটু আড়ালে গিয়ে নিজের সব কিছু দিয়ে ভালোবাসা যায়। আমার আপনার বোঝার ক্ষমতা কই এত !

 2 years ago 

দাদা আপনার এই পোস্টটা আমি ভোর চারটের সময় পড়েছিলাম।সত্যি বলতে পুরো পোস্টটা পড়ে চোখে জল এসে গিয়েছিল। প্রত্যেক ভালোবাসাতেই একটা ভালো সময় খারাপ সময় থাকে, আপনি শুধু সুন্দর স্মৃতি গুলোকে মনের মধ্যে রেখে দিন। আর যেটা হয়নি সেটার কথা না ভেবে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যান।ভালো থাকুন।

শেষ রাতে এত ধৈর্য নিয়ে আমার লেখাটা যে পড়েছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি। যদি পারতাম তাহলে ভালো মন্দ সব স্মৃতি জীবন থেকে মুছে ফেলতাম। আমার সাথে পুরোপুরি নোংরা একটা গেম খেলা হয়েছে। কোন বেঈমানের স্মৃতি জীবনে না থাকাই ভালো। কষ্টটা এখানেই চাইলেও মুছে ফেলতে পারব না।

 2 years ago 

শেষ বেলায় এসে বুঝতে পারলাম আমি হয়তো মেয়েটার অভ্যাস হয়ে ছিলাম এই ছয়টা বছর। ভালোবাসা নয়।

ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে আপনাকে কিভাবে সান্ত্বনা দিব বুঝতে পারছি না। তবে এতোটুকুই বলতে পারি সে যদি সত্যিকারের ভালোবাসতো তাহলে অবশ্যই এভাবে কষ্ট দিতে পারত না। আসলে হয়তো আপনার অনেকটা কষ্ট হয়েছে। তবে আরো যত সময় পার হয়ে যেত কষ্টের পরিমাণ আরো বেশি বেড়ে যেত। নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করুন। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আপনাকে আরো ভালো কিছু উপহার দিবে।

ছয়টা বছর পর আমার নিজের সমস্ত আত্মবিশ্বাস যেন ভেঙ্গেচুরে ছারখার হয়ে গেছে। যখন যেভাবে ইচ্ছে শুধু আমাকে ব্যবহার করেছে। দোয়া করবেন আপু আর একটা বার যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি।

 2 years ago 

ভালবাসা মোরে করেছে ভিখারী তোমারে করেছে রানী।

ভাল লেগেছে মূলত মন্তব্য করার কিছু নেই। এগুলো আসলে নিয়তির পরিহাস বলা যায়। তারপরও অনুভূতি গুলো রয়ে যাবে চিরজীবন। ধন্যবাদ।

মানুষ যে কতটা নোংরা হয়ে রূপ বদলাতে পারে হাড়ে হাড়ে টের পেলাম জীবনে এমন বেঈমান আর বিশ্বাসঘাতক এর সাথে পরিচয় হয়ে।

 2 years ago 

দাদা 😭! চোখের কোণে এক ফোটাঁ জল চলে এলো। কতো সুন্দর ছিল আপনাদের অনুভূতিগুলো। সেটা হঠাৎ করেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল 😞।

আসলে ভাই যেটা হওয়ার ছিল সেটাই হয়ে গেছে। দুই দিন আগে আর পরে এই যা। দোয়া করবেন। এটাই বলার। ভালোবাসা রইলো।

 2 years ago 

হয়তো সৃষ্টিকর্তা আপনাকে তার জন্য বা তাকে আপনার জন্য সৃষ্টি করেনি। এই ভেবেই বাঁচুন যে আপনার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে।

একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। খুব চমৎকার করে দুটো লাইন বলেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো।

 2 years ago 

কনটেস্ট শেষ অনেক আগেই। আজ পড়লাম। অসাধারণ লাগল দাদা। আপনার স্টোরি সম্পর্কে কিছু বলব না হয়তো অতোটা জ্ঞান আমার নেই। তবে ছয় বছরের সম্পর্কে নিমিষেই শেষ ভাবতেই কেমন লাগছে😩।।

যেটা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে আর ভাবি না ভাই,, হয়তো এটাই হওয়ার ছিল। আমার জীবনের অনেক বড় একটা শিক্ষা ছিল এটা। আমরা সবাই যেন ভালো থাকি এটাই চাওয়া এখন ভাই।

 2 years ago 

আমার দেখা বেস্ট কাপল দের মধ্যে একটি ছিল আপনার জুটি, সবসময় ভেবেছিলাম আমার নিজের ভালোবাসার গল্প হয় তো বেশি নাটকীয়, আজ সত্যি আমার থেকে আপনার গল্পটা বেশি গভীরতা ছিল,

কাউকে এতটা ভালোবাসা ঠিক নয়, যাতে করে দ্বিতীয়বার ভালবাসতে ভয় হয়, ভয় হয় ভালোবাসা নামক শব্দটি শুনলে, জানিনা কি ভাষায় আপনাকে সান্ত্বনা দেব, শুধু এতটুকু বলব ভালবাসা একতরফা ও হয়, থাকনা ভালো দূরে কোথাও , ভালোবাসা রয়ে যাবে নিরবে।

ভাই আমাদের জীবনে কখন কি হয়ে যায় এটা কেউ জানে না। সময় অনেক কিছু পরিবর্তন যেমন করে তেমন ভাবে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। আমি পুরোপুরি চুপ হয়ে গেছি সব কিছু থেকে। এবার একটু নিজের জন্য বাঁচতে চাই শুধু।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 62836.52
ETH 2558.21
USDT 1.00
SBD 2.72