ছবির ভাষা কখনো কখনো নিজের অনুভূতিকেও হার মানিয়ে দেয়
নমস্কার,,
গতকাল ইউনিভার্সিটি গিয়েছিলাম মূল সার্টিফিকেট এবং মিডিয়াম অফ ইন্সট্রাকশন সার্টিফিকেট ওঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে। অনেকদিন পর ঐদিকে যাওয়া হলো। সাথে বন্ধু ছিল। গল্পে গল্পে একসময় টিএসসির দিকে চলে গেলাম। বেশ লম্বা একটা সময় পর টিএসসিতে আসলাম। বাইরে কোথাও না বসে মূল টিএসসি তেই চলে গেলাম। ওখানে গেলে স্বাভাবিক চোখে পরবে বন্ধুদের সব আড্ডা। অথবা প্রেমিক যুগল বিভরে প্রেম করছে। আমারও দুই বন্ধু এক পাশে বসে গেলাম খানিক ক্ষণের জন্য।
একটা সময় পর হাঁটাহাঁটি করতে করতে হঠাৎ চোখে পরলো কিছু ছবি। আর্ট করে ওখানে লাগিয়ে রেখেছে। দেরি না করে একদম কাছে চলে গেলাম। আমি রীতিমত অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম ছবিগুলোর দিকে। কি চমৎকার এক একটা ছবি। ছবির ভাষা যেন মুখের ভাষা কেও হার মানিয়ে দেয়। সব গুলো ছবি দেখলাম আর ছবি তুললাম।
মানুষের সৃজনশীলতা এত চমৎকার হতে পারে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মত না। ছবি গুলো যেন এক একটা বিপ্লবকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল। আমি অবশ্য একটু বোকা ধরনের ছেলে। অনেক কিছু বুঝতে পারলেও প্রকাশ করতে পারি না। ছবি গুলো তাকিয়ে দেখছি আর কথা বলছি নিজেই নিজের সাথে কিন্তু কি কথা বলছি সেটা নিজেই জানি না। বড্ড অদ্ভূত নাহ্ !!!
তবে এই সৃজনশীল মানুষগুলোর প্রতি সবসময় আমার আলাদা একটা শ্রদ্ধাবোধ কাজ করে। আমার মনে হয় এই প্রতিভা গুলো জন্মগত হয়ে থাকে। চাইলেও কেউ এত গভীরে ঢুকতে পারবে না। সবার জন্য এই সকল কাজ নয়। এই কাজ গুলো দেখি আর মনে মনে ভাবি আমিও যদি এমন করে আঁকতে পারতাম!! মনের না বলা কথাগুলো ছবির মাধ্যমে যদি প্রকাশ করতে পারতাম!! ভেতরের তীব্র যন্ত্রণা যদি অন্য কোন মাধ্যমে প্রকাশ করে নিজেকে একটু হালকা করতে পারতাম!! হয়তো অনেক ভালো থাকতাম। নিজেকে খুঁজে পেতাম। নিজের কদর টা নিজে করতে পারতাম।
ঘন্টা খানিক সময় টিএসসি তে কাটিয়ে আবার ভার্সিটির ভেতরে চলে গেলাম। নিজের প্রয়োজনীয় কাজ সেরে নিলাম। আজ আর লিখছি না। এখানেই শেষ করছি। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে ছবি গুলো। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।











আসলেই ঠিক বলেছেন, এই ধরনের কাজগুলো দেখে সত্যিই মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কিভাবে যে শিল্পীরা মনের ভাষাকে হাতে এঁকে রূপান্তর করে বুঝি না। আসলেই মনের ভাষাগুলো যদি এইভাবে রং তুলিতে উপস্থাপন করা যেত সত্যি সব দুঃখ ভুলে জেতাম। আপনার কথায় আমি একদম সহমত পোষণ করছি।
আপনার তো এই দক্ষতা আছে ,, অনেক চমৎকার ছবি আঁকেন। আমার বিশ্বাস আপনি এই কাজের সাথে লেগে থাকলে অনেক ভালো কিছু হবে।
দাদা নমস্কার
দাদা এক সময় যে জায়গা গুলো তে প্রতিনিয়ত থাকতাম৷কিন্তু একটা সময় যখন আর যাওয়া হয় না ৷তখন কোনো একদিন হঠাৎ করে বেড়াতে গেলে শুধু মনে পড়ে ৷ঘটে যাওয়া সৃতি গুলো ৷
যাই হোক দাদা
আপনি অনেক দিন পর ইউনিভার্সিটি গিয়েছিলেন মূল সার্টিফিকেট নিতে ৷ টিএসসিতে গিয়ে কি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন ৷এতো সুন্দর সুন্দর চিত্র ৷সত্যি মানুষের সৃজনশীলতা কোনো কমতি নেই ৷
দিন শেষে স্মৃতি নিয়েই বেঁচে থাকা ভাই,,, এটাই হয়তো জীবন। আর এই সৃজনশীল মানুষ গুলো আছে বলেই আমরা ভালো কিছুর আভাস পাই। ভালো কিছুর প্রত্যাশায় বাঁচতে শিখি।