আমাদের আড্ডা ।। আমাদের গল্প ❤️❤️

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার,,

রাজিবকে আপনারা অনেকেই চিনেন। একটা সময় আমার বাংলা ব্লগের ভীষণ প্রিয় একটা মুখ ছিল। আর সবাইকে গানে গানে মাতিয়ে রাখতো ওর গান দিয়ে। আমার কতটা কাছের রাজিব সেটা হয়তো বলেও শেষ করা সম্ভব নয়। ওর থেকে সিনিয়র হলেও একদম বন্ধুর মত দুজন মিশি।

ঢাকা আসব আর রাজীবের সাথে আড্ডা হবে না , এমন টা কখনোই হতে পারে না। আসার দিন থেকেই আমাদের কথা হচ্ছিল। আসলে আমি কই কখন থাকব সেটার কোন ঠিক থাকে না। রাজীবের কথা হলো, দাদা আপনি যেখানেই থাকেন আমি ঠিক চলে যাব, শুধু ফ্রি হয়ে একটু ফোন দেবেন।

IMG20230520195132.jpg
Location

যাওয়ার পর দিন কথা ছিল আমাদের রাতে দেখা হবে কিন্তু আমি আর সুযোগ করে উঠতে পারি নি। তাই বলেছিলাম পরদিন টিএসসি তে দেখা হবে। আর এটা ওর অফিস থেকেও বেশ কাছে। যথারীতি রাজিব অফিস শেষ করে টিএসসি চলে আসে। কিন্তু আমি এলিফ্যান্ট রোড থেকে কিছু কাজ শেষ করে আসতে আসতে একটু দেরি হয়ে যায়। আমার জন্য অপেক্ষা করে ছিল বেশ কিছু সময় ধরে। তারপর তো আমি পৌঁছে গেলাম। কয়েক মাস দুই ভাইয়ের দেখা। ভালো লাগার কথা গুলো হয়তো লিখে প্রকাশ করাও সম্ভব নয়।

IMG20230520195022.jpg
Location

IMG20230520195013.jpg
Location

সন্ধ্যার সময় ঢাকা ভার্সিটির এই এরিয়াতে বেশ ভিড় থাকে। কোথাও শান্তি মত বসে আড্ডা দেওয়া যায় না। রাজিব আর আমি উদ্যানে গিয়ে বসলাম। সেখানে বসার ভালো জায়গা আছে। আর আলো আঁধারের একটা খেলা আছে বেশ। গল্প করে দারুন এক মজা আছে সেখানে। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। এখানে সবাই এত এত মাদক সেবন করে ধারণার বাইরে। ইউনিভার্সিটির সব ছেলে মেয়ে এসে এক সাথে সবাই নেশা করছে, গান করছে। এটা এক অন্য রকম পরিবেশ।

যাই হোক আমরা নিজেদের মত একটা পাশে বসে আড্ডা দিলাম। আসলে ফোনে ফোনে তো সব কথা বলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই দুজন কত রকমের কথা যে শেয়ার করছিলাম তার শেষ নেই। একের পর এক কথা কোথায় থেকে যেন চলে আসছিল। কিভাবে যে দুই ঘণ্টা সময় কেটে গেল বুঝি নি একদম। তারপর টিএসসি তে এসে গুড়ের চা খেলাম দুজনে। আমার অবশ্য রং চা বা লেবু চা খেতেই বেশি ভালো লাগে।

IMG20230520203243.jpg
Location

IMG20230520203229.jpg
Location

টি এস সি তে এসে কিছু কিছু মেয়ের সিগারেট খাওয়া দেখলে আমার মাঝে মধ্যে আফসোস হয়। ভাবি যে ইস্ আমি ছেলে হয়েও এই সিগারেট টা টানতে পারলাম না । হিহিহিহি। আসলে এই ধোয়া টা আমি একদম সহ্য করতে পারি না। ভার্সিটি লাইফ শেষ করে, এত আড্ডা বাজি করেও আমার যে স্মোক করার অভ্যেস নেই এই জিনিসটা দেখে অনেককে বিশ্বাস করে না একদম। তবে আমার বেশ ভালো লাগে যে, আমি জীবনে এত কঠিন সময় পার করে গিয়েছি তবু নেশার দিকে কখনো ছুটি নি।

IMG20230520210116.jpg
Location

যাই হোক, রাজিব ওর সাথে যাওয়ার জন্য অনেক বার বলছিল কিন্তু আমার আর যাওয়া হয়ে ওঠে নি। রাজিব পরবর্তিতে শাহবাগের দিকে রওনা দিল। আর আমি বুয়েট ক্যাম্পাসের দিকে রাস্তা নিলাম। কোথাও একটা প্রশান্তির বাতাস যেন বয়ে গেল। সেই ভালো লাগা থেকেই আপন মনে কিছুটা রাস্তা হেঁটে চলে গেলাম।

Sort:  
 last year 

আপনার একটা জিনিস আমার ভালো লাগে আপনি যেখানেই যান সবার সঙ্গে দেখা করেন। শুধু আমাদের এখানে আসলে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে চলে যান। আমার সঙ্গে তো দেখা করেন না। 😚বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া বোঝাই যাচ্ছে আপনারা খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন।

 last year 

আসলে আপু যাদের কে ঘিরে আমার বেচেঁ থাকা তাদের সাথে যদি কিছুটা সময় কাটাতে না পারি, তাহলে হয়তো অনেক কিছুই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আর এবার গোবিন্দগঞ্জ গেলে সবার সাথে আড্ডা দিয়ে আসবো আপু। 🙏

 last year 

আপনি তো দেখছি যেখানেই যান সেখানেই সবার সাথে দেখা করেন। বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলেন আপনারা দেখেই বুঝতে পারছি। আপনাদের মুহূর্তটা খুবই ভালো কেটেছে বোঝা যাচ্ছে। রাজীব আপনার থেকে ছোট হলেও আপনারা দুইজন একেবারে ফ্রেন্ডলি মিসেন এটা জেনে ভালো লাগলো। আসলেই আপনি খুবই মিশুক মানুষ। বেশ ভালোই জমিয়েছিলেন আড্ডাটা। ভালই লাগলো ভাইয়া আপনাদের কাটানো এত সুন্দর একটা মুহূর্তের পোস্ট পড়ে।

 last year (edited)

সত্যি বলতে আপু, আমি যে মানুষ গুলোর সাথে মিশি এরা সবাই খুব মিশুক আর ভালো মনের মানুষ। তাই এদের সাথে দেখা না করলে মনের শান্তি টা আসে না কখনোই। এ জন্যই সবার সাথে কিছুটা হলেও চেষ্টা করি সময় কাটানোর।

রাজিব নামের আপনার এই ছোট ভাই বা বন্ধু যাই বলেন, তাকে মনে হয় আমি কোনদিন কমিউনিটিতে দেখিনি। তাহলে তো অবশ্যই তার গান শুনতে পারতাম।

এখানে সবাই এত এত মাদক সেবন করে ধারণার বাইরে। ইউনিভার্সিটির সব ছেলে মেয়ে এসে এক সাথে সবাই নেশা করছে, গান করছে। এটা এক অন্য রকম পরিবেশ।

এটা এখনকার জেনারেশন এর কাছে আসলে একরকম ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাই এটা নিয়ে আপনি কথা বললে আপনার উপর অনেকে রাগ দেখাবে।

আর আপনি যে নেশা করেন না, সেটা আপনার চেহারা দেখলেই বোঝা যায়। খুব ভালো লাগলো পোস্টটা পড়ে। আর একটা কথা আমিও কিন্তু লেবু চা খেতে খুব পছন্দ করি।

 last year 

রাজিব একদম শুরুর দিকে কাজ করতো ভাই। যে কয়দিন ছিল পুরো মাতিয়ে রেখেছিল সবাইকে। হয়তো আবার ফিরবে খুব শীঘ্রই। আর নেশা টা পেশা হয়ে গেছে এখন সবার কাছে ,,হিহিহিহি। আমাদের নেশা শুধু লাল চা দিয়েই হয়ে যায়। 😅

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64364.24
ETH 3416.30
USDT 1.00
SBD 2.48