ফিরে দেখা ২০২১ ।। নীলফামারী শহরে এবং তিস্তা ব্যারাজে কাটানো কিছু মুহূর্ত
নমষ্কার,
অনেকে বলে অতীতে ফিরে না তাকিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবে বর্তমান কে কাজে লাগাতে। কিন্তু বার বার ভেবে চলি আমি, অতীত কি সত্যি মুছে ফেলা যায়!!! এতই সহজ কি সবটা!! হ্যা এটা ঠিক যে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু যেই অতীতে নিজের সবটা আবেগ জড়িয়ে আছে সেটা কি কখনো ভুলে থাকা যায়! জানি না আসলে উত্তরে কে কি বলবে।
যাই হোক আজ ফোনের গ্যালারিতে ছবি গুলো ঘাটাঘাটি করতে করতে পুরোনো কিছু ছবি চোখে পরে গেল। খুব বেশি পুরনো নয়। ২০২১ সালের মে মাসের ৬ তারিখ ছিল। সবে এক বছর পার হচ্ছে। ভাবলাম আজ ওটা নিয়েই লিখি।
সব ভাই বোন মিলে হঠাৎ প্ল্যান করে চলে গিয়েছিলাম নীলফামরীতে আমাদের আরেক বোনের বাড়ি। সেখান থেকে পরদিন চলে গেলাম তিস্তা ব্যারেজ। ফেরার পথে নীল সাগর হয়ে ঘুরে আসলাম। আজ সেগুলোর কিছু মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছি।
তিস্তা সেচ প্রকল্প বা তিস্তা ব্যারেজ হলো বাংলাদেশের উত্তর বঙ্গে অবস্থিত দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। যার নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে এবং কাজ শেষ হয় ১৯৯০ সালে। ব্যারেজের মোট দৈর্ঘ্য ৬১৫ মিটার এবং সর্বমোট ৫২ টি গেট রয়েছে।
আমরা গাড়ি নিয়ে সকাল সকাল বেরিয়ে যাই সব ভাই বোন মিলে। বেশ গল্প আড্ডা গানে পৌঁছে যাই সেখানে। রাস্তা টা বেশ ফাঁকা ছিল। আর গ্রামের মাঝ দিয়ে এত সুন্দর নিরিবিলি ছিল চারপাশ টা। খুব ভালো লেগেছে পুরো যাত্রা পথ টা।
আমরা তো অফ সিজনে যাই তাই খুব একটা ভিড় ছিল না বললেই চলে। অনেকটা ফাঁকা ছিল। ব্যারেজের ওপর দিয়ে আস্তে আস্তে গাড়ি নিয়ে পুরোটা ঘুরলাম প্রথমে। তারপর গাড়ি পার্ক করে তিস্তা নদীর পাড়ে চলে গেলাম। বোন সব গুলো ছবি তুলতে ব্যাস্ত হয়ে গেল। আমিও ওদের সাথে দুই একটা তুললাম। সত্যি বলতে বেশ দারুন অনুভূতি হচ্ছিল নদীর পাড়ে। এত সুন্দর বাতাস ছিল। পরিবেশ টাই অন্য রকম একদম।
পুরো ব্যারেজ হেঁটে ঘুরলাম সবাই মিলে। দুইটি গেট খোলা ছিল। তার একটা ভিডিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিচ্ছি।
অপর পাশে নদীর তীরে নৌকা বাঁধা ছিল। সেখানে বসলাম। কিছু ছবি তুললাম। জেলেরা মাছ ধরছিল। সেই মাছগুলো দেখেই মনে অদ্ভুত এক শান্তি লাগছিল। তাজা মাছ একদম। বাড়ির জন্য দুই কেজি মাছ নেওয়া হয়েছিল। যা টেষ্ট ছিল 👌👌👌
ফেরার পথে আমরা গাড়ি নিয়ে চলে যাই নীল সাগর দেখতে। নামে সাগর হলেও বাস্তবে বিশাল বড় পুকুর বা দিঘির মত। গোধূলিলগ্নে সেখানে কাটানো প্রতিটি মুহূর্তই ছিল অসাধারণ। বেশ খানিকক্ষণ সবাই মিলে হাটাহাটি করলাম। তখন করোনা বেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। জনসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষেধ থাকলেও আমরা বিশেষ ভাবে অনুমতি নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। খুব বেশি সময় থাকতে পারিনি। এক ঘণ্টার মাঝেই বেড়িয়ে আসতে হয়। তবে ভালো লেগেছিল খুব।
পুরনো এই ছবিগুলো দেখতে দেখতে বেশ ভালো একটা সময় কেটেছে আজকে। আর সবশেষে আপনাদের মাঝে এভাবে শেয়ার করতে পেরেও ভালো লাগছে অনেক। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
সকলে ভালো থাকবেন।
যত্ন করে আগলে রাখলে সব কিছু থেকেই ভালো ফল পাবেন। প্রয়োজন শুধু নিজের মনের একাগ্রতা।
নীলফামারী শহরে এবং তিস্তা ব্যারাজে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। দেখে অনেক ভালো লাগলো। এবার আসলে অবশ্যই বলবেন দাদা। আমার বাসাও নীলফামারী। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আরে তাই ভাই। এবার গেলে অবশ্যই জানবো লিমন ভাই। ❤️
এক বছর হল তো সময় টা বেশি দিন হয়নি। এক বছর আগে এতো সুন্দর ভাবে নিজের বোনদের সাথে ঘুরাঘুরি করবেন বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো। আমি তিস্তা ব্যারেজ এর নাম শুনেছি কিন্তু কখনও যাওয়া হয়নি। আপনার বোনের সাথে এরকম সহ কাটানো মুহূর্ত দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। সবাই খুব সুন্দর ভাবে ছবি তুলেছেন। তাছাড়া জায়গাটা বেশ সুন্দর ছিল।
খুব ভালো লাগলো আপু আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।
তিস্তা ব্যারেজ আসলে বৃহত্তম সেচ প্রকল্প হলেও এই প্রকল্পটি কয়েকটি জেলার মধ্যে ঠিক যেন একটা বন্ধন তৈরি করে দিয়েছে। আমি কয়েকবার গিয়েছিলাম লোকেশন টা দেখতে অনেক চমৎকার। তিস্তা ব্যারেজ এর উপর দিয়ে হাঁটতে খুব ভালো লাগে। আমি যে সময় গিয়েছিলাম সবগুলো গেটের মধ্যে মাত্র তিনটা গেট খোলা ছিল। যার কারণে একদিকে পানি অনেক উঁচু হয়ে আছে আরেকদিকে অনেক কম। সেই তিনটি গেট দিয়ে পানির এত প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছিল যে সেই দৃশ্যটি অসাধারণ লাগছিল আমার কাছে। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার নিজেরও অনেক ভালো লেগেছে। উপভোগ করেছি চারপাশটা। অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে কিন্তু একচের সুন্দর লাগছে দাদা 🤭💝2021 সালের স্মৃতিগুলো আবারো দেখতে পেয়ে বেশ আনন্দিত। বাড়ির জন্য আবারও 2 কেজি মাছ ও আনলেন বাহ বাহ।আপনি বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ছবিগুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। শেয়ার করতে পেরেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমরা দেখে মজা পেলাম শুভেচ্ছা রইল।
এত সুন্দর মন্তব্য পেলে মনটা ভীষণ খুশি হয়ে যায় ভাই। অনেক ভালোবাসা নিও।
খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাই । দেখে খুবই ভালো লাগলো। তিস্তা নদীর সেচ প্রকল্প খুব সুন্দর ভাবে অবলোপন করেছেন। এত অসাধারণ স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই।
তিস্তা ব্যারেজ আসলেই অনেক সুন্দর একটি জায়গা ভাইয়া। আমি একবার আমার ভাইয়াও বোনের সাথে গিয়েছিলাম। আপনি আপনার বোনেদের সাথে তিস্তা ব্যারেজ এ অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ২০২১ সালের কিছু ছবি দেখতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া বোনেদের সাথে কাটানো এত সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
চারপাশটা ভীষণ সুন্দর তিস্তা ব্যারেজের। এরকম জায়গায় বারবার যেতে ইচ্ছে করবে। অনেক ভালো থাকবেন আপু।
আপনি আপনার বোনদের সাথে বেশ সুন্দর ও আনন্দময় কিছু মূহুর্ত কাটিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমিও বেশ কয়েক বছর আগে নীল সাগর ঘুরতে গিয়েছি ৷ অনেক বড় পুকুরটি দেখতে আমার কাছে ভালোই লেগেছে ৷ আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
যারা আসলে একবার ঘুরে এসেছে তাদেরকে এর সৌন্দর্য বর্ণনা করার কোন প্রয়োজনই নেই 😊। অনেক ধন্যবাদ ভাই
নীলফামারী শহর ও তিস্তা ব্যারেজ আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন পরিবারকে নিয়ে। সুন্দর একটি দিন মুহূর্ত আপনার জীবনে অতিবাহিত হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজ আমি অনেক কয়েকবার গিয়েছি আমার অনেক ভালো লেগেছে। তিস্তা ব্যারেজ কাটানো সময় গুলো এখনো মনে পড়ে। তিস্তা ব্যারাজের কাটানো সময়গুলো আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন এবং আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর লাগছে সবাইকে অনেক ভাল লাগছে দেখে একসাথে হাসিখুশি। এত সুন্দর অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো আপু আমার এই পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ ।
আসলের অতীতকে কখনো মুছে ফেলা যায় না।তারপর বর্তমান নিয়ে চলতে হয়।যাই হোক ছবি গুলো বেশ সুন্দর। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর করে অতীতের কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনি আপনার বোনদের সাথে বেশ সুন্দর ও আনন্দময় একটি মূহুর্ত কাটিয়েছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়ে ভাইয়া। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।