আইডিবিতে আমাদের ছোটাছুটি
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। হ্যাঁ আমিও মোটামুটি ভালোই আছি। তবে রান্না করে খাওয়াটা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে কয়েকদিন হল। আমাদের রান্নার খালার বোন মারা যাওয়ায় বাড়িতে চলে গিয়েছে। আর সেজন্য খাওয়া দাওয়া নিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে কয়েকদিন হল । নিজেরা নিজেরাই যেটুকু যা পারি তাই দিয়েই চলছে।
কোনরকমে খাওয়া দাওয়া সেরে চোখটা ধরে গিয়েছিল তাই একটু ঘুমিয়ে পরেছিলাম। হঠাৎ করেই তর্পণ ফোন দিয়ে বসলো। জানালো আমার বাড়ির পাশেই আসছে অর্থাৎ আইডিবি ভবনে। যথারীতি আমাকেও সেখানে যেতে হবে। তাই ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে গেলাম আইডিবির দিকে।
আমার বাড়ি থেকে বেশ কাছেই আইডিবি ভবনটা। ১৫ মিনিটের মাঝে পৌঁছে গেলাম। দেখি তর্পণ ওখানে দাড়িয়ে আছে। আইডিবিতে আসার কারণটা জিজ্ঞেস করলে আমাকে জানালো ওর একটা ল্যাপটপ এখানে কিছু সমস্যার জন্য সারাতে দিয়েছে। দুইদিন হয়ে গেছে মাঝে। আজকে ছিল ডেলিভারি ডেট। তাই সেটা নিতেই এখানে আসা।
আইডিবিতে যেতে খারাপ লাগে না আমার। বেশ ভালোই লাগে। আইসিটি রিলেটেড যার যা কিছু প্রয়োজন সবকিছু যেন ওখানে পাওয়া যাবে। আর কম্পিউটার সংক্রান্ত মোটামুটি সব সমস্যার সমাধান সেখানে মিলবেই মিলবে। কয়েকদিন হল আমারও ইচ্ছে ছিল আইডিবিতে আসার। ল্যাপটপের বর্তমান বাজার দর সম্পর্কে কিছুটা আইডিয়া নেওয়ার। আসলে ডেক্সটপ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে আর ভালো লাগেনা। আর বেশ পুরনো হয়ে যাওয়ার জন্য একটা না একটা সমস্যা লেগেই থাকে। বেশ কিছুদিন হল মাথাতে ঘুরপাক খাচ্ছে একটা ল্যাপটপ নেওয়ার ব্যাপারে।
তো কিছু কিছু শোরুমে গিয়ে ল্যাপটপের দাম শুনে আমার চোখ রীতিমতো উল্টে গেল। এতটা দাম বেড়ে গেছে!! আমার কল্পনার বাইরে পুরোটাই। আমি ভেবেছিলাম মোটামুটি ৫০ হাজার টাকার ভেতরেই নিজের পছন্দমত কনফিগারেশনের একটা ল্যাপটপ নিতে পারব। কিন্তু পরে যেটা দেখলাম নিজের মন মত নিতে গেলে প্রায় ৭২ থেকে ৭৩ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। বলা যায় মাথায় হাত পড়ে গেল একরকম। ভেবেছিলাম নিজের টাকা থেকেই কিনবো। কিন্তু এখন তো দেখছি বাড়ি থেকে না নিয়ে আর কোন উপায় নেই। আর স্টিমের দাম টাও বাড়ছে না। গতকাল রাতে ধুম করে আবার দেখলাম মার্কেটটা ধ্বসে গেল। সবকিছু মিলিয়ে একটা বাড়তি প্রেশার যেন চেপে বসলো।
যাইহোক দুজন মিলে বেশ ঘোরাঘুরি করা হলো আইডিবির ভেতরে। আরে সময়ের মাঝে তর্পণ এর ল্যাপটপটাও ঠিক হয়ে গেল। আমরা ল্যাপটপটা নিয়ে বাইরে এসে হাঁটতে হাঁটতে অনেকটা দূরে চলে আসলাম। রাতের দিকটায় রাস্তাটা বেশ ফাঁকা ছিল। তাই গল্প করতে করতে হাঁটতে বেশ ভালোই লাগছিল। কিছু দূর এগোনোর পরে দেখলাম একটা নতুন রেস্টুরেন্ট হয়েছে। সেখানে ঢুকে দুজন মিলে বেশ খাওয়া দাওয়া করলাম। তারপর কফি হাতে বেরিয়ে আবার হাঁটলাম এবং গল্প করলাম। ওই মুহূর্তগুলোর ছবি তুলতে আসলে ভুলে গিয়েছিলাম। আর তারপর যে যার গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়ে দিলাম।
খাবারের ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছেন ভালই হয়েছে। একা একা খাবেন আমাদের তো আর দাওয়াত দিবেন না। যাই হোক ভাইয়া আপনার মেসের খেলা যেহেতু আসছে না তাহলে তো বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। আর প্রত্যেকটি জিনিসের দাম এতটা বেড়ে গেছে যেটা বলার মত নয়। সবগুলো পণ্যের দাম ডাবল দাম হয়ে গেছে।
হিহিহিহি,, মাথায় এত বুদ্ধি আসে কি করে 😀। বাজারের সব কিছুর দাম শুনলে তো আজকাল হার্ট এ্যাটাক হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয় আপু। কিভাবে যে বেচেঁ আছি ঈশ্বর জানেন শুধু।
হঠাৎ করে খালা না আসা কতটা যে প্যারাদায়ক তা খুব ভালোই বুঝি।
আপনারা তাও রান্না করে খাচ্ছেন,আমি রাধতেও পারিনা।বাহিরে খাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকেনা।
ইনশাল্লাহ একটু ধৈর্য্য ধরলেই হয়তো ল্যাপটপ কিনে ফেলতে পারবেন।
কি আর বলি রে ভাই,, প্রয়োজনের সময় এমন এমন বিপদ চলে আসে বলে বোঝানো যায় না। অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।
আপনি খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আর সত্যি কথা খালা না এলে আমরাই ত হিমশিম খেয়ে যাই। আপনার ত আরো বেহাল অবস্থা। যাই হোক কাজ সেরে খাওয়া শেষ করলেন, জেনে ভাল লাগলো। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
দুঃখের কথা আর কি বলবো আপু, কাল পর্যন্ত এভাবেই চলতে হবে। দেখা যাক তারপরেও কালকে আসে কিনা খালা। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন।
স্টিমের দাম কমায় অনেকেরই ভীষণ সমস্যা হয়েছে। আমি তো আসার পর থেকে এখনও কোন টাকা পয়সার মুখ দেখতে পেলাম না। 😃আমআর ল্যাপটপটা যখন কিনেছিলাম ৫৫০০০ পড়েছিলো ২০২০ তে। আপনার এখানে দাম শুনে আমারই চোখ উল্টে গেলো। অন্ততঃ বন্ধুর সাথে যাওয়ায় আপনারও দাম টাম জানা হয়ে গেলো।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন একদম। জানিনা এর শেষ কোথায়। আপাতত মার্কেট টা একটু ভালো হওয়ার অপেক্ষায় আছি।