এবারের জার্নিটা ভোম্বসের সাথে 😅

নমষ্কার,,

ইচ্ছে ছিল আরো পাঁচ ছয় দিন পর বাড়ি থেকে বের হব। তার আগে আর যাব না কোথাও। নিজের কাজ গুলো নিজের মত করে গুছানোর সুযোগ পাব তাহলে। কিন্তু সুযোগ টা আর আমার কপালে নেই। অস্ট্রিয়ার একটা ইউনিভার্সিটি থেকে ইমেইল এসেছে, সেখানে কিছু ডকুমেন্টস পাঠাতে হবে। তার জন্য ঢাকাতে আসতেই হবে। তার জন্য হাতে একটু সময় আছে অবশ্য। ঝামেলা টা অন্য জায়গায় বাঁধলো। আমার মামাতো বোনকে নিয়ে ঢাকা আসতে হবে। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে একা আসাটা খুব কষ্টকর । কারণ জামাইবাবুর ছুটি নেই। কি আর করা, দুই দিন পরে যেখানে আসতাম, চাপে পরে আগেই রওনা দিতে হলো।

IMG20230111175818.jpg
Location

IMG20230111164811.jpg
Location

বিকাল সাড়ে চারটায় ছিল আমাদের বাস। ছোট বড় মিলিয়ে আমরা মোট পাঁচজন। আমি বসলাম দিদির বড় ছেলে স্নিগ্ধর সাথে। ওকে আমি আদর করে ভোম্বস বলে ডাকি 😅। খুব মজার একটা ছেলে। ভম্বস পাশে থাকলে সময়টা বেশ মজা করে কেটে যায়। দুই মামা ভাগ্নে নানান মজা করতে করতে আসছিলাম। অন্যদিকে দিদি ওর ছোট ছেলেকে সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলো। বলা যায় পুরো বাস কাপিয়ে দিচ্ছিল একাই 😅। যা দুষ্টুমি করছিল। বাপরে বাপ।

IMG20230111165756.jpg
Location

IMG20230111175713.jpg
Location

আমি ঢাকা রাতের দিকে খুব কম যাই। কিন্তু পরন্ত বিকেলের সূর্যটা চোখে পরার পর থেকে দারুন লাগছিল। আজ অনেকদিন পর রাতের বেলায় বেশ ভালই লাগছিল। সন্ধ্যার পর থেকে বাস জুড়ে একটা অদ্ভূত নিরবতা চলে আসলো। হুন্দাই বাস গুলোর এই একটা মজা। একটা সময় পর থেকে দেখি পুরো বাসের লোকজন মুখের ওপর মোবাইল ধরে ইচ্ছে মত ব্রাউজিং করছে। ভালোই লাগছিল দৃশ্যটা দেখে।

IMG_20230111_200808.jpg
Location

রাস্তায় জ্যাম ছিল না একদম। তবে রাত দেখে গাড়ির চাপ টা একটু বেশি ছিল। আমাদের ঢাকা পৌঁছাতে মোটামুটি সাড়ে দশটা বেজেই গেল। আবারো পা রাখলাম জ্যামের নগরীতে, দূষণ আর কোলাহলের আঁতুড়ঘরে। না এসেই বা কি করার আছে! আসতে একপ্রকার বাধ্য আমরা। দেখা যাক কতদিন যান্ত্রিকতায় তাল মিলিয়ে চলতে পারি। তবে ইচ্ছে আছে খুব দ্রুত ঘরে ফেরার।

Sort:  
 2 years ago 

ভোম্বস নামটা কিন্তু দারুণ। আপনার ভাগ্নে দেখতেও কিন্তু বেশ মিষ্টি। আসলে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে জার্নি করা সত্যিই অনেক ঝামেলার। আপনি আপনার বোনের সাথে গিয়েছেন ভালই করেছেন। যদিও কয়েকদিন বাসায় থাকার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু কি আর করার প্রয়োজনে তো যেতেই হবে। ভাইয়া আপনি দেশের বাহিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার সব প্রস্তুতি যেন ভালোভাবে সম্পন্ন হয় এবং সফল হন এই প্রত্যাশাই করি। তবে দেশের বাইরে গিয়ে এই বোনটাকে ভুলে যাইয়েন না। টেনেটুনে আমাদের কেউ নিয়ে যাওয়া ব্যবস্থা করিয়েন🤭🤭

সত্যি বলতে কি থেকে কি করছি এখনও বুঝছি না আপু,, দোয়া করবেন যেন সফল হতে পারি। আর ভাই যেতে পারলে বোনেরও একটা গতি হয়ে যাবে আশা করি। হিহিহিহি,,, শুভেচ্ছা রইলো আপু।

 2 years ago 

ছোট বাচ্চাদের নিয়ে জার্নি করা যে কি মুশকিল তা আমার কাছে জিজ্ঞাসা করেন। তারপর যদি হয় একা তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আমিও মাঝেমধ্যে বাবার বাড়িতে যাওয়ার সময় দুই বাচ্চাকে নিয়ে এভাবে একা একা জার্নি করি। তখন বুঝতে পারি যে কতটা কষ্ট। যাই হোক ভাগিনার সাথে ভালই মজা করতে করতে ঢাকায় পৌঁছে গেলেন। রাতের বাসে অন্যরকম একটা নীরবতা কাজ করে। ঠিকই বলেছেন বেশ ভালই লাগে এই নীরবতা। ভালোমত পৌঁছেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

আসলেই খুব মুশকিলের ব্যাপার আপু। আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলাম সেদিন। মায়েদের কত কিছু যে সহ্য করতে হয় !!! মা তো মা ই,,, সেদিন বাসে বসে ওদের দুষ্টুমি দেখে মায়ের কথা মনে পড়ছিল খুব। যাই হোক, ভালো থাকবেন আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 59972.21
ETH 2389.55
USDT 1.00
SBD 2.42