হঠাৎ গ্রামে যাওয়া ।। কাক ভেজা হয়ে বাড়ি ফেরা
নমষ্কার,,
আশার করি আমার এই প্রিয় পরিবারের সকল সদস্য ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সারাদিনের তাপদাহ বেশ ভালো রকমের প্রভাব ফেলছে আমাদের শরীরের উপরে। ঘামের কারণে অনেকের ঠান্ডা জ্বর হচ্ছে। কিছু দিন আগে আমি নিজেও ভুগেছি। এখন ঈশ্বরের আশীর্বাদ অনেকটাই ভালো।
গতকালকের পোষ্টে লিখেছিলাম হালকা বৃষ্টি হয়েছিল সন্ধ্যার আগে। আজ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভীষণ গরম আর রোদের তাপ ছিল। আর আজ যখন এই পোস্টটা আমি লিখছি রাতের বেলা এখন মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের এখানে।
সারাদিন গরমের জন্য কোন কাজ করে একদম শান্তি পাওয়া যায় না। ফ্যানের নিচে থেকে একটু বেরিয়ে গেলেই যেন স্নান করে উঠি। বিকালে নিজের কাজ করছিলাম নিজেই হাতে ফোন নিয়ে। হঠাৎ করেই আমার এক দাদা বাইক নিয়ে চলে আসে। আমাকে বলল চল কোথাও একটা থেকে ঘুরে আসি। গরমে বাড়িতে বসে থাকার থেকে দাদার সাথে বাইক নিয়ে ঘোরা ভালো। দেরি না করে দুইজন বেরিয়ে পরলাম। চলে গেলাম গ্রামের দিকে। সাত-আট কিলোমিটার দূর হবে । অনেকদিন পর বাইক চালাচ্ছিলাম ফুরফুরে মেজাজে। আর গ্রামের রাস্তায় বাইক চালানোর মজাই আলাদা। বাংলাদেশের বেশিরভাগ গ্রামের রাস্তাগুলো পাকা হয়ে গিয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থার বেশ ভালো উন্নয়ন হয়েছে এদিক থেকে। বাইক নিয়ে ঘুরে বেশ মজাই পাওয়া যায়।
যে গ্রামের দিকে গেলাম ওখানে আমার এক আত্মীয়র বাড়ি আছে। হঠাৎ করেই দুই ভাই গিয়েছি। বেশ চমকে উঠেছে। খুব একটা যাওয়া হয় না। ওখানে আরেক ছোট ভাই আছে আমার। যাওয়ার সাথে সাথে বেশ আড্ডা জমে উঠলো। ছোট ভাই নারকেল কুরে খাচ্ছিল। আমরা একদম যথা সময়ে গিয়েছিলাম। নারকেল আর মুড়ি গবাগোপ খেয়ে দিলাম। দারুন মজা। গ্রামের নির্মল বাতাস গায়ে লাগার সাথে সাথে ভেতরটা যেন শীতল হয়ে যাচ্ছিল। গল্পে গল্পে সন্ধ্যা পার করে দিলাম। আমাদের থাকার জন্য খুব জোরাজোরি করলো। কিন্তু আমাদের থাকা যাবে না। বাড়িতে কিছু কাজ জমে আছে।
দুই ভাই রাতের বেলা ঘোরাফেরা করতে করতে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। কিছুদূর আসার পরেই ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। অর্ধেক ভিজে গেলাম। তারপর একটা দোকানের পাশে উঠে দাঁড়ালাম। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পরেও বৃষ্টি যখন কম ছিলই না তখন দোকান থেকে একটা পলেথিন নিয়ে তাতে ফোন আর মানিব্যাগ ঢুকিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাড়ি চলে আসলাম।। অনেকদিন পর এভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে বেশ ভালই লাগছিল। মা বেশি বকাবকি করল। কারণ আমার অল্পতেই ঠান্ডা লাগার ব্যামো আছে। তাড়াতাড়ি গামছা দিয়ে মাথা মুছে ফ্রেশ হয়ে পোস্টটা লিখে ফেললাম। আশা করি সর্দি লাগবেনা। পরবর্তীতে কি হয় দেখাই যাক না।
Let's take care of our mother 🌎🌍🌏 together.🤝