সময়টা শুধু আমাদের নিয়েই
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সবাই ভালো আছেন। বাড়িতে আসার পর থেকে লোড শেডিং এ অতিষ্ট হয়ে গেলাম যেন। প্রথম দুদিন ভালই ছিল। কিন্তু আজ সারাদিন একদম ছিলই না কারেন্ট। এভাবে থাকা সত্যিই খুব কষ্টের। এই সমস্যা থেকে পুরো দেশ কবে যে মুক্তি পাবে এটাই এখন ভাবনার বিষয়।
ব্যাক্তিগত কিছু কারণে বেশ কয়েক মাস ঠিক মত বাড়িতে থাকতে পারি নি। প্রয়োজনের সময় এসেছি। আবার কাজ শেষ হলেই ফিরে গিয়েছি। আমার মা বাবাও বেশ চিন্তায় থাকতেন সব সময় আমাকে নিয়ে। তো মা বাবাকে তো এভাবে চিন্তার মাঝে রাখা যায় না। নিজের কাছেও ভালো লাগে না। তাই বাড়ি আসার পর থেকেই এবার ইচ্ছে ছিল বাবা মা কে নিয়ে একটু হৈ হুল্লোর করে কিছুটা সময় কাটাবো।
গতকাল ভাগ্নের জন্মদিন ছিল। একটাই ভাগ্নে আমার। কতটা আদরের সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। দিদিরাও আমাদের এখানে বেড়াতে এসেছে। তাই ভাবলাম সন্ধ্যার দিকে একটু আনন্দ ফুর্তি করে যদি সময়টা কাটানো যায়। ভাগ্নে অভ্র একটু অসুস্থ। তাই আমার মায়ের ইচ্ছে ছিল না বড় করে কিছু করা। আমি তখন বললাম বড় কিছু করব না, আমরা নিজেরাই যেটুকু পারি একটু আনন্দ করি। সবারই ভালো লাগবে।
অভ্র আগে থেকেই আমাকে বলেছিল এইবার জন্মদিনে লাভ কেক কাটবে। কেক নিয়ে আরেক কান্ড। আমি নেট থেকে একটা ছবি নিয়ে বলেছিলাম এরকম ধরনের লাভ কেক রেড ভেলভেট বানিয়ে দিতে হবে। বোকা লোক গুলো ঠিক যেন তার উল্টো টাই করে দিয়েছে। কি আর করার ওভাবেই নিয়ে বাড়িতে চলে আসি।
মা দিদি সন্ধ্যার আগে থেকেই টুকটাক রান্না শুরু করে। লুচি পায়েস চিকেন বিরিয়ানি ডাল ডিম এসব ছিল রান্নার আইটেমে। অল্পতে যেন কাজ শেষ হয় তেমন একটা ব্যাপার। সব কিছু রেডি হয়ে গেলে সন্ধ্যার পর মোটামুটি গুছিয়ে কেক কাটার আয়োজন করি। তার আগে সবাই মিলে একটু ছবি তুলি অভ্র কে নিয়ে। পাশের বাড়ির বড়মা চলে এসেছিল উলুধ্বনি শুনে। বেশ ভালই হয়েছিল। হাসি ঠাট্টায় সবাই মেতে উঠেছিল ক্ষণিকের জন্য। আসলে ছবি তোলার মানুষ তেমন কেউ ছিল না। আর মনেও ছিল না। তাই অনেক মজার মুহূর্তের ছবি ওঠানো মিস হয়ে গিয়েছে।
যাই হোক অনেক দিন পর পরিবারের সকল সদস্য এক সাথে হয়ে ভালো একটা সময় কাটলো। ভাগ্নে ও খুশি খুব। পাঁচ বছর পূর্ণ হলো অভ্রর। বেশ কথা শিখেছে। কখন কি বলতে হবে সব যেন রেডি থাকে। তবে দুষ্টুর শিরোমণি। একটা কথা শোনে না। ওর মায়ের মাথা পাগল হওয়ার অবস্থা। আরো কিছুদিন এভাবেই চলবে। আরেকটু বড় হলে হয়তো আরেকটু শান্ত হবে। ঈশ্বর যেন সব সময় ভালো রাখে ছেলেটাকে এটাই প্রার্থনা। আমার মা বাবার মুখেও যেন এই হাসি সব সময় লেগে থাকে। দিন শেষে এরাই আমার পৃথিবী। এরাই আমার আপনজন।
ভাগিনা কে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি যেন ভাগিনা তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠুক আর দীর্ঘজীবী হোক।
হ্যাঁ ভাই আমরাও চাই তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠুক ছেলেটা। অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে জানাই আপনার ভাগ্নেকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে একসাথে মিলিত হওয়ার আনন্দ টা অন্য রকম। ভাগ্নের জন্মদিনে পরিবারের সবার সাথে অনেক ভালো সময় পার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই তাই পরিবারই সব। পরিবারের মানুষ গুলো নিয়ে একসাথে আনন্দ করাটা যেন ভাগ্যের ব্যাপার। অনেক ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
আপনার ভাগিনার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই
শুভ জন্মদিন।
আসলে জন্মদিনে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। এত চমৎকার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।