রবীন্দ্র সরোবরে কাটানো এক সন্ধ্যা ।। আর রিক্সা বিলাস 🥰🥰❤️
নমস্কার,
ভীষণ বৃষ্টি আর জ্যাম সাথে করে নিয়ে কাল বিকেল বেলা ঢাকা ঢুকলাম। মোটামুটি সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিলাম। সন্ধ্যার ঠিক আগের মুহূর্তে ভাবছি কি করা যায়। এক বন্ধুকে ফোন দিলাম একসাথে বসে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য। ওর সাথে দেখা করতে বেরিয়ে পরলাম।
রিক্সা নিয়ে যাচ্ছিলাম। তারপর হঠাৎ করে মনে হল সুমন ভাই দুই দিন আগেই রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন। ভাবলাম সন্ধ্যেবেলা টা রবীন্দ্র সরোবরে কাটালে কেমন হয়। যা ভাবা তাই কাজ। বন্ধু কে সাথে করে নিয়ে চলে গেলাম রবীন্দ্র সরোবর। সন্ধ্যাবেলায় নিয়ন আলো জলছে তখন। চমৎকার একটা মুহূর্ত।
আরেকটা কথা যেটা না বললেই না, কেন যেন খুব ইচ্ছে করছিল রিক্সা করে ঘুরবো অনেকক্ষণ। আর গতকাল করেছি ও তাই। সন্ধ্যা থেকে রাতের সাড়ে দশটা পর্যন্ত বাইরে ছিলাম। যেখানে যেখানে গিয়েছি রিক্সা করে গিয়েছিলাম। বেশ ভালো লাগছিল।
রবীন্দ্র সরোবরে যাওয়ার পরে দেখলাম সেখানে নজরুল জয়ন্তী উৎসব পালন করা হচ্ছে। উৎসুক জনতা বেশ ভিড় করে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে আবার বসেও আছে। আমি দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ সেখানে বক্তৃতা শুনলাম। তারপর চা খেলাম বন্ধুকে নিয়ে। রবীন্দ্র সরোবর এর সেই বিখ্যাত মটকা মালাই চা। ও হ্যাঁ, ছবি তোলার অভ্যেস খুব একটা আমার নেই। তাই অনেক ছবি মিস করে গেছি। যখন যখন মনে হয়েছে একটা পোস্ট সাজাবো আজকের সন্ধ্যা টা নিয়ে ঠিক সেই মুহূর্তেই ছবিগুলো তুলেছিলাম।
দুই বন্ধু গল্প করতে করতে হাঁটতে শুরু করলাম। বেশ নিরিবিলি রাস্তাটা ছিল। বৃষ্টি হয়েছিল তাই জন্য একটু ভেজা ছিল। সুন্দর বাতাস গায়ে লাগছিল। অন্য রকম একটা অনুভূতি সবমিলিয়ে। কোথাও গানের আসর বসেছে গিটার নিয়ে। আর প্রেমিক-প্রেমিকাদের আড্ডা নিয়ে নাইবা বললাম। মেয়েদের খোপায় পড়ার মতো সুন্দর মালা বিক্রি করছিল। প্রতিটা মালা বিশ টাকা করে। খুব সুন্দর গন্ধ।
বেশ অনেকটা সময় হাটাহাটির পর খিদে পেয়ে গেল। রিক্সা করে আবার চলে আসলাম আড়ং মাঠে। সেখানকার দই ফুচকা আমার বন্ধুর অত্যন্ত প্রিয়। যদিও আমি ফুচকা অতটা পছন্দ করিনা, বন্ধু জোর করলো তাই শুধুমাত্র এক পিস খেয়েছিলাম। বেশ মজার ছিল। মাঠের ভেতর খুব একটা আলো ছিল না। তাই ছবিও তোলা হয়নি একটাও। সেখানে আরেক বন্ধুকে নিয়ে ভালো একটা আড্ডা হল। ঘড়ির কাটায় সময় তখন রাত নয় টা। আমার বেশ খিদেও পেল। রিক্সা নিয়ে আবার চলে আসলাম ছোট্ট একটা রেস্টুরেন্টে। ভারী কিছু খাব না। হালকা কিছু অর্ডার করলো আমার বন্ধু নিজেই। আসলে ওর সাথে অনেকদিন পরে দেখা তাই খাওয়ার ট্রিটটা ও নিজেই দিল।
যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এর নাম আমি নিজেও জানিনা। কারণ অর্ডার করেছিল আমার বন্ধু। বিলের কাগজ টা আমাকে একবারও দেখতে দেয়নি। তাই খাবারের নামটা মনে নেই। তিন ধরনের খাবার নিয়েছিল। কোল্ড কফি সহ। বেশ ভালো একটা মুহূর্ত কেটেছে। বন্ধুর সাথে যে ছবিগুলো তুলেছি সেগুলো পাবলিক করতে মানা করেছে। তাই আর দেওয়া হলো না। গল্প করতে করতে রাত দশটা বেজে গেল। খাওয়ার পর্বটা শেষ করে আবার রিক্সা করে রওনা দিলাম দুজন মিলে। বন্ধুকে নামিয়ে দিলাম এবং সেখানেও কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম দুজন মিলে। রাত সাড়ে দশটা যখন বেজে গেল তখন আমিও বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
সত্যি কথা বলতে অনেক দিন পরে বেশ ভালো একটা সময় কেটেছে। অনেক গল্প হয়েছে। অনেক মস্তি হয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা রিকশা বিলাস হয়েছে 🤪। কিছুদিন আগে @rex-sumon ভাই ঢাকা শহরে রাতের বেলায় রিক্সা নিয়ে ঘুরছিল, তার কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন। তখন থেকে আমারও ভিশন ইচ্ছেটা জেগে বসে এবার ঢাকা গিয়ে রিক্সা করে ঘুরবো। মজার কথা হল গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত ৩৪০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়েছি☹️😉। এক মাসে আর রিকশাতে উঠবো না 🤪🤪। তবে সব কিছু মিলিয়ে অনেক ভালো কিছু মুহূর্ত পেয়েছি গতকাল। নিজেকে ভালো রাখতে ভীষণ প্রয়োজন ছিল যেটা। হয়তো আবার কোন একদিন এভাবেই ঘুরে বেড়াবো পরিচিত শহরের বুকে। 🥰❤️
কি আর বলবো ভাই। ঢাকাতে রিকশাভাড়া অনেক বেশি। অল্প একটু পথ চলতে অনেক বেশি টাকা গুনতে হয়।
কলিজা ফেটে যায় ভাই,, একে তো ইনকাম নেই একদম এখন, তারপর আবার এমন। ☹️☹️
প্রতি সপ্তাহে আমাদের ৩৫০ টাকা রিক্সা ভাড়া বরাদ্দ থাকে।শুধু মাত্র চোখের দৃষ্টিকে সচল রাখার জন্য। যদিও ভাগে । হি হি। আজকেও গেছে। রিক্সায় চড়ার মজাই আলাদা তবে আমাদের এখানে মটর চালিত ঢাকাতে ওটার পারমিশন দিয়েছে কিন কে জানি না। এই খাবার টা আমার কাছে মনে হচ্ছে গ্লাভস্ স্যান্ডউইচ এর মতন। তবে অন্য কোন নাম হতে পারে। মূহুর্ত গুলো ভাল ছিল। ধন্যবাদা ভাই ভাল থাকবে। মাঝে মাঝে রিক্সায় ঘুড়বে। হা হা।
বেকার অবস্থায় ঢাকাতে রিকশাতে ঘোরা মহাপাপ দাদা 😅😅। ঢাকাতেও কিছু কিছু এলাকাতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলে। মিরপুর 11 তে দেখেছি আমি। আর দাদা খাবারের নাম যেটাই হোক, খেতে বেশ ছিল 🥰
রবীন্দ্র সরোবরে মাঝে মাঝেই এমন চমৎকার অনুষ্ঠান হয়। নজরুল জয়ন্তীর অনুষ্ঠান ভালই উপভোগ করেছেন মনে হয়। আর তাছাড়া সরোবরে ঘুরতে ভালই লাগে। আমিও যাই মাঝে মাঝে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে দাদা শেয়ার করার জন্য। ভালবাসা রইল
পরিবেশ টা বেশ ভালো লাগে। মাঝে মাঝেই যাই তাই।