দূরে কোথাও প্রকৃতির কোলে নির্বাসনে গেলে কেমন হতো জীবন টা?
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন সুস্থ আছেন। সবাই উৎসবে মেতে আছেন জানি। গরম টাও পিছু ছাড়ছে না একদম। আমি বুঝিনা এমন কেন হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে মেঘ করে, ভাবি আজ বুঝি একটু ঠান্ডা আবহাওয়া পাব। একটু বুঝি বৃষ্টি হবে। কিন্তু সকাল এগারোটা বাজতেই একদম ফাটানো রোদ শুরু হয়ে যায়। আষাঢ় মাস যে এমন খরাতে কাটবে কেউ হয়তো কোনদিন ভাবে নি আগে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব খুব ভালভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে দিন দিন।
কদিন আগে যখন বাড়ি ফিরছিলাম চোখ বুঝে ছিলাম অনেক্ষণ গাড়িতে। হঠাৎ চোখ খুলতেই দেখি যমুনা ব্রিজে এসে গেছি। প্রথম যেদিন যমুনা ব্রিজ দিয়ে পার হচ্ছিলাম সিট থেকে উঠে দাড়িয়ে হা করে দেখছিলাম চারপাশ। আজ থেকে ১২ বছর আগের কথা হবে হয়তো। ভেবেই মুচকি মুচকি হাসলাম নিজেই। আর এখন নদী দিয়ে পার হওয়ার সময় নানান কথা উকি দেয় মনে। মোটামুটি ৭ থেকে ১০ মিনিট লাগে সেতু পার হতে। ওইটুকু সময় যেন নদী আর আকাশের মিতালী দেখতে দেখতেই হারিয়ে যাই।
চারদিকে অথৈ জল। ওপরে নীল আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। যতদূর চোখ যায় জনশূন্য একটা পরিবেশ। মাঝে মাঝে দুই একটা ছোট নৌকা চোখে পরে। আচ্ছা কখনো কি কেউ ভেবে দেখেছেন ঐ লোকালয় শূন্য একটা জায়গাতে শুধু একা যদি থাকা যেত তাহলে কেমন লাগতো? হ্যাঁ অবশ্যই কোন হিংস্র প্রাণীর ভয় থাকা যাবে না। আমি শুধু ভাবছিলাম এমন ভাবে ভাবা তো অনেক সহজ। কিন্তু থাকতে গেলে তো অনেক ঝামেলায় পরে যাব। তবে কখনো যদি এমন ভাবে থাকা যেত তাহলে কি হত এটাই বড় প্রশ্ন!
আমার কাছে মনে হয় নির্জনে একা থাকলে সবচেয়ে বেশি ভালো যেটা হবে আমাদের আশে পাশে ভদ্র মানুষের মুখোশ পরে যে সকল অসভ্য মানুষ লুকিয়ে আছে যারা মিষ্টি কথার আড়ালে প্রতিনিয়ত ছোবল দিয়ে শেষ করে দিচ্ছে আমাদের অস্তিত্বকে তাদের হাত থেকে খুব করে রক্ষা পাব। এই ধরনের মানুষগুলো সমাজে স্লো পয়জনিং করে সুস্থ্ প্রকৃতির মানুষ গুলোকে নষ্ট করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। সবাইতো এদের বিষের জ্বালা সহ্য করতে পারে না। ধুকে ধুকে মরতে হয় সারা জীবন।
আর যেটা মনে হয় নিজের মত একটা জীবন হবে। যেখানে কোন পিছুটান থাকবে না। নির্মল বাতাসে কাটানো যাবে সারাটা জীবন। সুস্থ্ একটা ফুসফুস থাকবে। মানুষ হিসেবে নিজের একটা অহংকার থাকবে। কখনো কোন বাজে চিন্তা যেমন মনে আসবে না তেমন কারো বাজে চক্রান্তের শিকার হতে হবে না। নিজের সৃজশীলতায় বাঁচবো নিজেকে নিয়ে। থাকবে না কোন পরিবারের বন্ধন।
ঠিক এই কথা গুলোই দশ মিনিট ধরে ভেবে ভেবে সেদিন ব্রীজ টা পার হলাম। এগুলো নিছক কল্পনা মাত্র। বাস্তবে কি আদেও সম্ভব কখনো! হয়তো বা না। আবার হয়তো বা সম্ভব। সবই নির্ভর করছে নিজের চাহিদা আর ইচ্ছা শক্তির ওপর।