আজকের সারাদিন
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের কৃপায় সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। শীতের তীব্রতা কয়েকদিন হল বেশ বেড়েছে। সূর্যের দেখা পাওয়া অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে। আমার তো অল্পতেই ঠান্ডা লাগার একটা ব্যমো আছে। তাই একটু একটু ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। আর এই দিনে বাইরে কোথাও বেরোতে ইচ্ছে করেনা একদমই। কিন্তু তারপরও আজকে দিদির বাড়ি যেতে হয়েছিল। অনেকটা বাধ্য হয়েই যাওয়া। এক মাত্র ভাই হলে যা হয়। কোন কিছু এভয়েড করা খুব মুশকিল।
মোটামুটি ঘণ্টা খানেকের মাঝেই যাওয়া যায় দিদির বাড়ি। খুব একটা দূরে না। আমাকে বলেছিল সকাল দশটার মাঝে যেতে। ঐ দিকে আমি বাড়ি থেকে রওনা দেই দুপুর বারোটায়। আসলে এই শীতের দিনে কিভাবে যে দেরী হয়ে যায় বোঝাই যায় না। ইন্ডিয়া থেকে কিছু জিনিস এনেছিলাম দিদির জন্য। ওগুলোর জন্যই এত তাড়া দিচ্ছিল। সামনে আবার ওর একটা প্রোগ্রাম আছে। যাই হোক দুপুরে দারুন একটা ভুঁড়ি ভোজন করলাম। কিছুক্ষণ রেস্ট নিতে না নিতেই দিদি টেনে নিয়ে গেল মার্কেট এর দিকে। ওর আর ভাগ্নের কিছু শীতের কাপড় নেবে। এ আরেক ঝামেলা। কোন উপায় না পেয়ে দুজনকে নিয়ে ছুটলাম বগুড়া নিউ মার্কেটের দিকে।
নিউ মার্কেটের ভেতর এই সন্ধ্যার সময়টায় দারুণ ভিড় থাকে। মেয়েদের কাপড়ের দোকানগুলোতে তো আরো যাওয়াই যায় না। ওভাবেই কিছুটা ঘুরে দিদির শীতের কাপড় নেওয়া হলো। কিন্তু ভাগ্নের জন্য অন্যদিকে আরেক মার্কেটে গেলাম। সেখান থেকে একটা জ্যাকেট নেওয়ার পর হঠাৎ ভাগ্নের জেদ শুরু হয়ে গেল খেলতে যাওয়ার। আসলে পাশের একটা সুপার শপিং মলে বাচ্চাদের খেলার একটা আলাদা জোন আছে। ত্রিশ টাকা টিকিটে ছোট বাচ্চাদের খেলার খুব সুন্দর ব্যবস্থা আছে সেখানে। কি আর করার। ভাগ্নের কান্না থামানোর জন্য সেখানে নিয়ে গেলাম। কোন ভাবেই খেলা ছেড়ে আসতে চাইছিল না। অনেক কিছু বুঝিয়ে তারপর দিদি আর ভাগ্নে কে বাড়ির দিকে পাঠিয়ে দিলাম।
আমি কিছুক্ষণ এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটি করার পর দেখি বেশ ভালো ঠান্ডা বাতাস লাগছে গায়ে। তাই আর দেরি না করে বাসে উঠে গেলাম আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে। এভাবেই দেখতে দেখতে সারাটাদিন কেটে গেল।