একটু লেখালিখি : তাসের ঘর
নমস্কার,
আজকের সকালটা বড্ড বেরসিক ছিল। সূর্যটা একটু আগেভাগেই উঠে পড়েছিল। জানালার পর্দা ভেদ করে মুখের উপরে আলোটা পড়তেই আচমকা জায়গা পেয়ে গেলাম। ঘুমের ঘোরে নিরুদ্দেশে পাড়ি জমানো স্বপ্নবাজ ছেলেটা আবার বাস্তবে ফিরে আসলো। বড্ড শুষ্ক এই বাস্তব আর বাস্তবতা।
অনেক গানে শুনেছি জীবনটা নাকি পদ্ম পাতার জল। ব্যাপারটা আমি ঠিক বুঝতাম না আগে। এত শত পাতা থাকতে সব সময় পদ্মপাতার কথাই কেন বলতে হবে। বেশ কয়েক বছর আগে মামার বাড়িতে যখন যাই বিলের পাশ থেকে একটা পদ্ম পাতা তুলে নিয়ে আসি। আর তারপরে পুকুর পাড়ে বসে পাতার ওপরে কয়েক ফোঁটা জল দিয়ে দেই। কিছুক্ষণের জন্য কি ঘটছিল সেটা অনুভব করার চেষ্টা করলাম। অবুঝ মন হয়তো তখনও ঠিকমত কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। জলটা একবার এদিকে আরেকবার ওদিকে গড়িয়ে চলে যাচ্ছিল। ভাবতাম এতে আহামরি এমন কি আছে। জলের ধর্মই তো নিচু দিকে গড়িয়ে যাওয়া। তাহলে সবাই জীবনকে পদ্ম পাতার উপরে জলের সাথে তুলনা করে কেন! হিহিহিহি।
বয়সের ভার টা যত বাড়তে থাকল, ধীরে ধীরে নিজের অবচেতন মনে জেগে ওঠা প্রশ্নগুলোর উত্তর নিজেই পেতে শুরু করলাম। সত্যি বলতে সময় আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রকৃত বন্ধু। কারণ একমাত্র সময়ই পারে সঠিক সময়ে সঠিক উপলব্ধি করাতে। আমাদের জীবনের সেই উপযুক্ত মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হল এই সকল প্রশ্নের উত্তর সামনে চলে আসবে। তার এক সেকেন্ড আগেও কিছু বোঝা যাবে না। এটাই পৃথিবীর চক্র।
জীবনটা এখন মাঝে মাঝে তাসের ঘরের মতো মনে হয়। মাঝে মাঝে নিজেই ভাবি সারা জীবনে পড়াশোনা করে যা কিছু শিখেছি তার ভেতর সব থেকে মূল্যবান ছিল এই বাগধারা টা শেখা। তাসের ঘর। ছোট ছোট দুটো শব্দ। কিন্তু তাদের বিশালতা অনেক বৃহৎ। ঘুম থেকে উঠেই আবোল-তাবোল অনেক চিন্তা-ভাবনা হতে হতে কয়েকটা কথা লিখে ফেললাম নোটপ্যাডে। ভাবলাম কথাগুলো এই পরিবারের সকল সদস্যের সাথে ভাগ করে নেয়া যায়। কারণ পৃথিবীতে সব থেকে কাছের মানুষ এখন আপনারাই। ভালো-মন্দ এর বিচার আমার জানা নেই। যা মনে এসেছে তাই লিখেছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন।
তাসের ঘর
ক্লান্তিগুলো কে হাতের মুঠোয় নিয়ে
ছুটে যাব পথ নিরন্তর
চেনা পথ হয় অচেনা
দূরত্ব আসে বাঁকে বাঁকে
তবুও পাই হৃদস্পন্দন
কিসের নেশায় কান পাতি
বর্তমান তুই বড্ড কঠিন
ভুলে গেছিস কাকে কার কতটা দরকার
উঁকি দেই আকাশ পানে
একই বৃত্তে ঘুরছি এখনো
স্তব্ধ প্রয়োজনে
ভেতর বাহির সব খানেতেই না, না আর না।
আজ এখানেই রাখছি। আবার যদি ঘুমের ঘোরে নিরুদ্দেশে যাত্রা করি সেদিন না হয় আরেকটা বার আবোল তাবোল গল্প নিয়ে হাজির হব।
সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। সেই সাথে অন্যদেরকেও ভালো রাখার চেষ্টা করবেন।
জাগতিক বাস্তব চিত্র নিয়ে আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে একসময় নিজের জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেছিলাম। আসলে আমাদের প্রত্যেকের জীবনের সঙ্গে কথা গুলো মিলে যায়। আমাদের জীবন পদ্ম পাতার মতই আর তাসের ঘর আর সে তো আমাদের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি যেকোনো মুহূর্তে দমকা হাওয়া এসে ভেঙে দিতে পারে। কবিতার লাইনগুলো খুব ভাল ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ্ অনেক চমৎকার করে সবটা বলেছেন ভাই। মন ভরে গেল একদম। অনেক ভালো থাকবেন।
তাসের ঘর নিয়ে লেখা কবিতাটি ভাল ছিল ভাই। আমাদের জীবন আসলেই তাসের ঘরের মতো ক্ষনস্থায়ী। দমকা বাতাস এলেই ভেঙ্গে যায়। অনেক ভাল লেগেছে আপনার লেখা। ভালবাসা নিবেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সব সময় এমন ভাবেই পাশে থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।
অসাধারণ ভাই আপনার কবিতাটি পড়ে সত্যি আমি খুব মুগ্ধ হলাম। কবিতার প্রতিটি লাইন খুব চমৎকার ভাবে লিখেছেন । আসলে কবিতাটি পড়ে আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেল । বিশেষ করে এই লাইন গুলো খুব ভালো লেগেছে আমার।
এত চমৎকার পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
একটুও যদি ভালো লাগে ভাই এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া ভাই। ভালোবাসা রইলো।