বুয়েটের শহীদ স্মৃতি হলে কাটানো একটা দুপুর
নমষ্কার,,
সকাল সকাল মনটা খুব একটা ভালো ছিল না। একা লাগছিল খুব। অনেকক্ষণ চুপ করে বসে ছিলাম। হঠাৎ বন্ধু তানজিম আমাকে ফোন করে। ওকে বললাম ভালো লাগছে না একা একা। মুড টা অফ। আমাকে সাথে সাথে বলল তানজীম এখনই বেরিয়ে পরো। বুয়েটে চলে আসো। এক সাথে আড্ডা দিলে ভালো লাগবে। ওখানে আরো অনেকেই আছে। তানজিম মাস্টার্স করছে বুয়েটে।
তো আমিও আর দেরি না করে স্নান করেই বেড়িয়ে পরি। এক ঘণ্টার মাঝেই পৌঁছে গেলাম। জ্যাম ছিল না খুব একটা। তানজিম আমার জন্য হলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল। আমাকে নিয়ে গেল প্ৰথমে ওদের আড্ডা দেওয়ার রুমে। দেখি টেবিল টেনিস রাখা আছে। আবার এক পাশে সোফা সেট সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা। কেউ নেই। তো আমি বললাম অনেক দিন খেলি নি টেবিল টেনিস। চলো একটু চেষ্টা করি। খানিকক্ষণ খেললাম। বেশ ভালো লাগলো। তারপর সোফায় বসে আড্ডা শুরু হলো দুই জনের। অনেক গল্প হলো।
ধুম করে দেখি দুপুর দুইটা বেজে গেছে। খাবার সময় হয়েই গেছে। ভাবলাম খাওয়া দাওয়া সেরে তারপর রুমে গিয়ে রেস্ট নেই। চলে গেলাম ক্যান্টিন। মুরগীর রোস্ট আর ডাল দিয়ে ভাত খেলাম। অসম্ভব মজার ছিল রান্না টা। তারপর চলে গেলাম রুমে। নানান কথা শুরু হলো। সেটা আর থামার না। বুয়েট হলে এটাই প্রথমবার যাওয়া ছিল আমার। তাই পরিবেশ টা বেশ ভালই লাগছিল। আসে পাশে সুন্দর বাগান। নিরিবিলি একটা পরিবেশ।
বিকেল বেলা বেড়িয়ে আবার গেলাম ক্যান্টিন। দেখলাম জিলাপী, সমুচা, সিঙ্গারা, নুডুলস, আরো কি কি যেন পকোড়া সব রেডি আর একদম গরম। দুই বন্ধু বসে ধূমিয়ে খেলাম। তারপর একটা কোক হাতে নিয়ে নিরিবিলি রাস্তায় হাঁটছিলাম। আর চারপাশের পরিবেশ টা উপভোগ করছিলাম। আরো কিছু বন্ধুর সাথে দেখা হলো আড্ডা দিলাম । সত্যি বলতে ঢাকার মাঝে এমন সবুজে ঘেরা চারপাশ ঢাকা ভার্সিটির ক্যাম্পাস আর বুয়েটের মাঝেই হয়তো দেখা যায়। আমার তো খুব ভালো লাগে ঘুরতে। এইসব করে সন্ধ্যার দিকে আমার বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আসার সময় ভালই জ্যাম ছিল। দুই ঘন্টা লেগেই গিয়েছিল। অনেক টায়ার্ড একদম আজ। লিখতেই ইচ্ছে করছিল না কিছু। কিন্তু না পোস্ট করলে কি যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল একদম। তাই মাঝ রাতে বসে পোস্ট টা করছি।
বাকি কথা কাল হবে কেমন। সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
মন যখন ভালো থাকেনা তখন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েই মন ভালো করা যায়। আপনার বন্ধু তানজিম একদম ঠিক সময় আপনাকে ফোন করেছে। বুয়েট ক্যাম্পাসের ভেতরে দুই বন্ধু মিলে ভালোই আড্ডা দিলেন।
বুয়েট এর ভেতরে কখনো যায়নি আমি। বুয়েটের পরিবেশ টা দেখছি আসলেই অনেক সুন্দর।
হ্যা আপু,, মন ভালো করে দেওয়ার মত একটা পরিবেশ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ খুব ভালো বন্ধু তো আপনার। মন খারাপ শুনেই আসার জন্য ইনভাইট করলো। সত্যি বলতে কি বন্ধু-বান্ধব সাথে থাকলে মন খারাপের কোন চান্স থাকে না। দারুন লাগলো আপনার বন্ধুর সঙ্গে কিছু সময়ের অভিজ্ঞতা।
একদম,,, দিনশেষে এই মানুষ গুলোর জন্যই হয়তো বেঁচে থাকা। ভালো থাকা। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
মন খারাপের সময় প্রিয় বন্ধুর সঙ্গ পেলে মন ভাল হতে আর কিছুই লাগে না ।
শহীদ স্মৃতি হলের পরিবেশটাও আমার কাছে সুন্দর লেগেছে । গোছানো ছিমছাম পরিবেশ । বোঝায় যাচ্ছে কতটা ভাল সময় পার করেছেন । আপনার অনুভুতিগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
যেমন সুন্দর পরিবেশ তেমন ভালো খাবার দাবার ছিল ভাই। বেশ ভালো লেগেছে আমার। অনেক ধন্যবাদ ।
আমি বলেছিলাম না যখন মন খারাপ থাকবে তখন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিবেন মন ভালো হয়ে যাবে। আমার কথা কাজে দিয়েছে তাহলে । খুব ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন বন্ধুর সঙ্গে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে আপনার জিলাপি সিঙ্গারার ছবিটি দেখে তো মনে হচ্ছে এখনই ঝাপিয়ে পড়ি।
হ্যাঁ আপু,,, জীবনের কঠিন সময় গুলোতে আপনাদেরকে এভাবে পাশে পাওয়াটা আমার সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। হয়তো এভাবেই এগিয়ে যাব। নিজেকে খুঁজে পাব আবার একদিন। অনেক ধন্যবাদ আপু। ❤️
বুয়েটের শহীদ স্মৃতি হলে কাটানো মুহূর্তগুলি ছিল অসাধারণ। আপনি আপনার অনুভূতি গুলোর পাশাপাশি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সত্যি অসাধারন ছিল আপনার কাটানো মুহূর্তগুলি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই। পাশেই থাকবেন।
বুয়েটের হলে কি সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন আর আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ। টেবিল টেনিস খেলাটা অত্যন্ত মজার।। আমিও আমার ক্যাম্পাসের হলে গিয়ে মাঝে মাঝে খেলি। আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা থাকলো ভাই।
বেশ মজা লাগে টেবিল টেনিস খেলতে। পারি না যদিও 😉। হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ ভাই।