রবিবারের আড্ডায় কিছু সময়
নমষ্কার,,
কিছু অনুভূতি নাকি লিখে বা বলে প্রকাশ করা যায় না। ভেতরের না বলা কথাগুলো হয়তো ভেতরেই থেকে যায়। আমার বেলাতেও হয়তো এমন টাই ঘটেছে। মনে মনে অনেক কিছুই ভেবেছিলাম যেগুলো গতকালের রবিবারের আড্ডাতে বলবো। কিন্তু এতোটাই এক্সসাইটেড ছিলাম যে সব গুলিয়ে ফেলেছিলাম। আসলে এমন ধারার অভিজ্ঞতা এর আগে কখনো তো হয় নি। মন থেকে যদি বলতে হয় তাহলে বলবো, গতকালের আড্ডায় অতিথি হতে পেরে আমার যে ভালো লাগা তার ভাগ হবে না কখনোই।
এর আগে যখন আমাকে রবিবারের আড্ডায় অতিথি হিসেবে থাকতে বলা হয়, আমি কিছুক্ষণ চুপ করে বসে ভাবছিলাম যে আমি কি এত মানুষের মাঝে আদেও কথা বলতে পারবো! আমার তো কাপাকাপি শুরু হয়ে যাবে। পরে ভাবলাম যা হবার হবে, আমরা আমরাই তো। পরিবারের মানুষদের কাছে এত সংকোচ নিয়ে থাকলে চলবে না। হিহিহিহি।
আড্ডায় মেতে থাকতে সব সময় অনেক ভালো লাগে। তবে এধরনের অনুষ্ঠানে ফরমাল ভাবে কথা বলতে হয় একটু। যেটা আমার সাথে একবারেই যায় না। আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভীষণ ক্যাজুয়াল থাকার চেষ্টা করেছি। গলা শুকিয়ে আসছিল বেশ। হাফ লিটার পানি শেষ করেছি। আসলে অভ্যাস নেই যে। তাই একটু নার্ভাস লাগছিল। তবে সময় বাড়ার সাথে সাথে বেশ ইজি লাগছিল।
সব থেকে মজা পেয়েছি দর্শকদের থেকে আসা প্রশ্ন গুলোতে। সত্যি বলতে আমি মজা করেই সব গুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সিরিয়াস ছিলাম না কোন কিছুতে একদমই। তবে হ্যাঁ কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রশ্ন বুঝতে একটু প্রবলেম হয়েছিল, তাই উত্তর গুলো ঠিক দিতে পারি নি। আসলে একবার শুনে মাঝে মাঝে সব প্রশ্ন বুঝতে পারাটাও বেশ মুশকিলের। আমি নিজেও কিছু সময় বেশ ভয় পেয়ে যাচ্ছিলাম। আসলে গুছিয়ে কথা তো বলতে পারি না। কি বলতে কি বলে ফেলি!
আর শেষ বেলায় দুই দাদাকে একসাথে পেয়ে রবিবারের আড্ডাটা যেন পূর্ণরূপ পেয়ে যায়। আমি কৃতজ্ঞ আমার বাংলা ব্লগের প্রতি। জীবনের কঠিন সময়গুলোতে সব সময় ছায়া হয়ে পাশে থেকেছে এই পরিবারের প্রতিটা মানুষ। নিশ্চয় পূর্ব জন্মের কোন পুণ্যের ফল এটা। ভালোবাসার এই পরিবার সব সময় ভালো থাকুক। আরো অনেক দূর যাওয়া এখনও বাকি। অটুট থাকুক এই সম্প্রীতি, আর ভালোবাসার বন্ধন।
আমারও তো একই অবস্থা ভাইয়া এরকম পরিস্থিতিতে ডাকার কথা শুনলেই কাপাকাপি শুরু হয়ে যায়। সেই ভয়ে তো আসতে চাই না। আপনি তো তারপরেও সাহস করে এসেছেন আবার হাফ লিটার পানিও শেষ করেছেন তারপরও তো খুব সুন্দর করে উত্তর দিয়েছেন আমি হলে তো এটুকু পারবো না। ঠিকই বলেছেন শেষে দুই দাদা আসার কারণে অনুষ্ঠানটা আসলেই পূর্ণতা পেয়েছিল । ভালো লেগেছিল কালকের রবিবারে আড্ডাটা।
কথা বলতে নিয়ে থথমত খেয়ে যাচ্ছিলাম আপু,, প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পর মনে হচ্ছিল যে , এটা এমন ভাবে বললেও হতো, ওটা অমন হলেও হতো! হিহহিহি। বেশ মজার একটা অভিজ্ঞতা ছিল আমার জন্য।
সত্যি ভাইয়া কালকের আড্ডাটা বেশ চমৎকার ছিল । আপনি গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না কে বলেছে দারুন কথা বলেছেন আপনি । বেশ ভালো লেগেছিল আপনার কথাগুলো । বেশ গুছিয়ে গুছিয়ে খুব সুন্দর করে উত্তরগুলো দিয়েছিলেন । নার্ভাস ছিলেন একদমই কথায় তা প্রকাশ পাওয়া যাচ্ছিল না । আসলে অনেক কিছুই আগে থেকে ঠিক করে থাকলেও নার্ভাসের কারণে সবকিছু বলা হয়ে ওঠে না । কবে যে আমার দিন আসবে সেদিন যে আমার কি হবে সেই চিন্তাই করে যাচ্ছি । ধন্যবাদ । ভালো ছিল আপনার লেখাটি ।
তবে আপু আড্ডা গুলো সবার সামনে হলে আরো বেশি জমজমাট লাগতো,, এভাবে একা একা যখন কথা বলছিলাম, তখন বার বার মনে হচ্ছিল কার যে কেমন লাগছে! ঠিক বলছি নাকি ভুল বলছি কিছুই তো বুঝছি না। অপেক্ষায় আছি আপু কবে আপনার পালা আসবে। আশা করি খুব তারাতারিই দিন আসতে চলেছে 😊।