হঠাৎ করে পাওয়া কিছু মুহূর্ত আমাদের নতুন করে চলতে শেখায়

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমস্কার,,

আমাদের জীবনে কখন কোন মুহূর্ত চলে আসে বলা খুবই মুশকিল। এক কথায় বললে জীবনটা সত্যি অনিশ্চিত। একটা সময় ভাবতাম জীবনে কোন কিছু ঘটতে গেলে অনেক সমীকরণের প্রয়োজন হয় । কিন্তু এখন সেই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছি খুব ভালোভাবেই। আমাদের এই জীবনে যেকোনো সময় যা কিছু হয়ে যেতে পারে। হতে পারে সেটা ভালো কিংবা হতে পারে সেটা খারাপ।

এইতো দুইদিন আগের কথা। সারাটা দিন বাড়ির ভেতরে ছিলাম। কোথাও বের হইনি। নানান ধরনের আজেবাজে চিন্তাভাবনা আমার পুরো শরীরটাকে যেন সেদিন অবশ করে ফেলছিল। রাত যখন নয় টা বাজে তখন আর কিছুতে বাড়িতে থাকতেই পারছিলাম না। মনটা চাইছিল বাইরে গিয়ে একটু নিজেকে খুজেঁ নিয়ে আসি। হারিয়ে গিয়েছি কোথাও একটা।

IMG20221015211307.jpg
Location

বন্ধু সৌরভ কে ফোন দিলাম। বললাম কিছু সময় একসাথে হাঁটাহাঁটি করে আসি চলো। সেও রাজি হয়ে গেল। ১৫ মিনিট পরেই সৌরভ চলে আসলো বাড়ির সামনে। আমাকে দেখতেই হুমড়ি খেয়ে বলছে,,"সজীব, ভালো লাগছে না আজ কিছুই। চলো কোন একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসবো। মন মত খাওয়া দাওয়া করব আর গল্প করবো।" আমি রীতি মতো হেসেই ফেললাম, দুই বন্ধুর একই অবস্থা দেখে। তারপর হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম কাছাকাছি একটা রেস্টুরেন্টে।

IMG20221015210924.jpg
Location

IMG20221015211145.jpg
Location

ভেতরে ঢুকতেই আমি তো একদম অবাক হয়ে গেলাম। বেশ কিছুদিন আগে এসেছিলাম এখানে। এখন ভেতরের ডেকোরেশনটা আরো অনেক সুন্দর করে করেছে। চমৎকার একটা পরিবেশ। মুখে আপনা আপনি হাসি চলে আসলো। ছোট বাচ্চাদের জন্য আলাদা জোন আছে সেখানে। এই ব্যাপারটা আরো বেশি ভালো লাগলো। আমরা গ্রিল আর বাটার নান অর্ডার করলাম।

IMG20221015211625.jpg
Location

খাবার রেডি হয়ে আসতে মোটামুটি ১৫ মিনিটের মত সময় লাগলো। আর এর মাঝে চলছিল আমার আর সৌরভের নানান ধরনের সব গল্প। সত্যি বলতে নিজের কথাগুলো কাছের কারো সাথে শেয়ার করতে পারলে খুব হালকা হওয়া যায়। আর কথাগুলো শেয়ার করতে পেরে আমাদের যে ভালো লাগছিল আমরা সেটা নিজেরাও বুঝতে পারছিলাম। এর মাঝে চলে আসলো আমাদের অর্ডার করা খাবার। খাবারটা একটু স্পাইসি ছিল। তবে খেতে বেশ মজার ছিল। বেশি ফটোসেশন না করে মজা করে দুই বন্ধু মিলে খেয়ে নিলাম। তারপর আবার গল্প করতে করতে পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।

IMG20221015210929.jpg
Location

IMG20221015213347.jpg
Location

রাতে শোয়ার পরে মনে হচ্ছিল আমাদের জীবনটা সত্যিই কত বৈচিত্র্যপূর্ণ। পুরো সন্ধ্যা যেখানে কোথাও একটা হারিয়ে গিয়েছিলাম ধুম করেই যেন, নিজেকে আবার ফিরে পেলাম। তবে এই ভালো লাগাটা ক্ষণিকের ছিল আমি জানি। আমার বর্তমান পরিস্থিতিটা স্বাভাবিক হতে এখনো কত সময় লাগবে সেটা হয়তো ঈশ্বরই জানেন। মাঝে মাঝে খুব হতাশ হয়ে যাই। আবার মনে করি এটা তো জীবনেরই একটা অংশ। তাই ভালো কিছুর প্রত্যাশা নিয়েই না হয়ে এগিয়ে চলি সামনের দিকে।

Sort:  
 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া মানুষের জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই, হঠাৎ করে যেকোনো সময় যে কোন কিছু ঘটে যেতে পারে ভালো কি মন্দ। আপনি সারাদিন ঘরের ভিতরে বন্দী না থেকে বাইরে গিয়েছেন এটা শুনে ভালো লাগলো। একদম আমার মনের কথাগুলো বলেছেন আমারও যখন ভালো লাগে না তখন মন চায় যে বাইরে গিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছু খেয়ে আসি। খাবারটা একটু স্পাইসি ছিল সেটা শুনে তো আমার জিভে পানি চলে আসলো। এমনি এটা আমার প্রিয় খাবার তারপর আবার স্পাইসি। একা একাই খান আমি কিন্তু নজর দিয়ে দিলাম।আপনার অবস্থাটা যে আস্তে আস্তে ভালো হচ্ছে এটাই তার বড় প্রমান রেস্টুরেন্টে গিয়ে গ্রিল আর নান রুটি খেতে পেরেছেন।

 2 years ago 

হিহিহিহি,, বোন নজর দিলে কোন প্রবলেম নেই 😊। আমার স্পাইসি খেলেই গ্যাস্ট্রিক এর প্রবলেম হয় আপু। খেতে মজা লাগলেও খেতে খুব ভয় পাই । হ্যাঁ আপু আগের থেকে অনেকটা সুস্থ্ আমি। শুধু হাঁটাহাঁটি করলে একটু প্রবলেম হয়।

 2 years ago 

ছোড়দা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আমাদের জীবনের কোন নিশ্চিয়তা নেই কখন কি হবে আমরা কেউ বলতে পারিনা। বেঁচে আছি চলাফেরা করছি এটাই আশ্চর্যজনক ব্যাপার, একদিন হুট করেই থেমে যাবে জীবন নামক ঘড়ির কাঁটা এটাই হলো বাস্তবতা। এসব ভাবলে জীবনের কোন মানে খুঁজে পাইনা তাই এসব নিয়ে আর বেশি ভাবি না। আপনিও এসব নিয়ে বেশি ভাববেন না যত ভাববেন ততই বেশি ভেঙ্গে পড়বেন। সৌরভ দার সাথে বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন তা আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মাঝে এভাবে ঘরতে বেড়িয়ে পড়বেন তাহলে দেখবেন অনেকটা ভালো লাগবে। সবসময় ঈশ্বরের উপর ভরসা রাখুন সব সমস্যার সমাধান তিনিই করবেন। সবসময় ভালো থাকবেন ছোড়দা।

 2 years ago 

অনেক চমৎকার করে গুছিয়ে মন্তব্যটা করেছেন বড়দি। একটা শান্তি পেলাম যেন পড়ে। এভাবেই ভাইয়ের পাশে সব সময় থাকবেন। অনেক ধন্যবাদ বড়দি। 🙏

 2 years ago 

মাঝে মাঝে খুব হতাশ হয়ে যাই। আবার মনে করি এটা তো জীবনেরই একটা অংশ। তাই ভালো কিছুর প্রত্যাশা নিয়েই না হয়ে এগিয়ে চলি সামনের দিকে।

আসলে আমাদের চিন্তাধারা গুলোর মাঝে হয়তো অনেক মিল আছে। মাঝে মাঝে খুবই হতাশ হয়ে যাই। যখন জীবনের এলোমেলো চিন্তা গুলো এসে ভিড় করে তখন নিজেকে সত্যি অনেক অসহায় মনে হয়। হতাশা হয়তো আমাদের জীবনের অংশ। কিন্তু সবকিছু কে পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন। তাইতো আমরা সবাই যেন নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি এই প্রত্যাশাই করি। ভাইয়া সবসময় নিজের লক্ষ্যে অটল থাকুন এবং নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে নিন এই প্রত্যাশাই করি।

 2 years ago 

ভাই বোন যে আমরা তাই হয়তো মিলে যায় অনেক কিছুই। আর আপু সব কিছুই বুঝি কিন্তু তারপরেও ধুম করে আটকে যাই মাঝে মাঝে। আবার চলতে হয়। আর এভাবেই চলছে।

 2 years ago 

অনেকদিনের পুরোনো রেস্তোরাঁ হুট করে নতুন রঙে রাঙিয়ে গেলে মনটা একদম চনমনে হয়ে ওঠে। আর এটা জানেন তো যে বাঙালীর মন খারাপের ওষুধ কিন্তু কোন অ্যান্টি ডিপ্রেসিয়েন্ট নয়।বরং ভালো খাবার।বেশ ভালো লাগে প্রাণপ্রিয় কোন সঙ্গ, সাথে পছন্দের রেস্টুরেন্টে পছন্দের খাবার। আর কি চাই?

 2 years ago 

হিহিহিহি,, আমরা সত্যিই ভোজন রসিক একটা জাতি। ভালো ভোজন আর আড্ডা পেলে মুহূর্তেই সব উধাও হয়ে যায়। 😊

 2 years ago 

দুই বন্ধুর আড্ডাটা ভালোই ছিল ভাই, ঠিকই বলেছেন রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন টা আসলে অনেক সুন্দর ছিল। আসলে মানুষের জীবনে ভালো-মন্দ মিলেই জীবনটা পরিচালিত হয়, আমরা যদি একটু খেয়াল করি তাহলেই বুঝতে পারবো আমাদের জীবনটা কত বৈচিত্র্যময়। খাবারটি স্পাইসি ছিল এটি না বললেও দেখেই বুঝে গেছি আমি 🥰

 2 years ago 

জীবন নিয়ে কিছু বলতে আর ভাবতে আর ভালই লাগে না ভাই,, কেমন যেন হাপিয়ে উঠেছি। দোয়া করবেন ভাই 🙏

 2 years ago 

দুই বন্ধু মিলে ভালই রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে নিলেন। সত্যি বলেছেন মানুষের জীবনে কোন নিশ্চয়তা নেই। যেকোনো সময় মানুষের ঘড়ির কাঁটা থেমে যায়। বন্ধুত্বের মজাই খুব আলাদা একসাথে কোথাও ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। আপনার বন্ধু ১৫ মিনিট পর আপনাদের বাড়ির সামনে আসলো। এরপর আপনার বন্ধু বলল কোথাও রেস্টুরেন্টে বসে গল্প করবে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে দুই বন্ধু মিলে অনেক মজা করেছেন। আপনার ওয়াটার নাস্তা দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আপনার হয়ে আমি খেয়ে নিয়েছি আপু,, নো টেনশন 🙏। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।

 2 years ago 

এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে মনের মধ্যে একটা অলসতা চলে আসে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। আপনি আপনার বন্ধু সৌরভের সাথে দারুণ কিছু মুহূর্ত রেস্টুরেন্টে অতিবাহিত করেছেন। যদিও মুহূর্তটা ছিল ক্ষনিকের কিন্তু অনুভূতিটা ছিল সারা দিনের ক্লান্তির অবসানের। রেস্টুরেন্টে ডেকোরেশন টা আমার কাছেও দারুন লেগেছে।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাই অলস সময়ের জন্যই আমার ওপর এসব প্রভাব পরছে বেশি। কি ভাবে সব ঠিক হবে কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। দোয়া করবেন ভাই।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া মানুষের জীবন এমনি। যেকোনো সময় যা কিছু হয়ে যেতে পারে। হতে পারে সেটা ভালো কিংবা হতে পারে সেটা খারাপ।হাঁটতে হাঁটতে আপনি ও সজীব চমৎকার একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন।গ্রিল আর বাটার নান খেয়েছেন অনেক মজার খাবার। সত্যি বলতে নিজের কথাগুলো কাছের কারো সাথে শেয়ার করতে পারলে খুব হালকা হওয়া যায়,একদম সত্যি। জীবনটা আসলে বৈচিত্র্যপূর্ণ।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

মানুষের মন বড়ই বিচিত্র। এই মন খারাপ হতেও সময় লাগে না। আবার ভালো হতেও সময় লাগে না। আপনজনের সঙ্গে দুঃখের কথা শেয়ার করলে দুঃখ কিছুটা কমে আমারও মনে হয়। আপনার বর্তমান পরিস্থিতি খারাপ যার আরেকটি কারণ হচ্ছে আপনার অলস সময়। যদি কোন একটা কাজে ব্যস্ত থাকতে পারেন তাহলে হয়তো এসব চিন্তা মাথা থেকে দূর হয়ে যাবে। আর বেছে বেছে আমার পছন্দের খাবারই খেলেন। দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে।

 2 years ago 

আপু আমি চেষ্টা করছি কিছু একটা তে ঢোকার জন্য। কিন্তু পারছি না একদম,, বার বার বাধা আসছে। আমি আটকে যাচ্ছে ভীষণ ভাবে। সত্যি বলছি আপু আমি বেরিয়ে আসতে চাই এই স্থান থেকে। কিন্ত আমার সাথেই কিসব যেন হয়ে যাচ্ছে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67807.24
ETH 2423.65
USDT 1.00
SBD 2.33