আজ উল্টো রথ যাত্রা 🙏
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। সবাই সকালের অপেক্ষায় আছেন জানি। ভোরের আলো ফুটতেই ঈদের আনন্দ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পরবে। সবাই ভালো করে পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা করি।
আজ ছিল উল্টো রথ যাত্রা। প্রভু জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পালা। আমাদের এই দিকে একটা উৎসব যেন সকাল থেকেই লেগে ছিল। আর আমি প্রথম রথের দিন দড়ি টা ধরতে পারি নি। ভেতরে খুব খারাপ লাগা কাজ করছিল তাই। উল্টো রথ কোন ভাবেই মিস করা যাবে না এজন্য। ছোট বেলা থেকেই রথের সাথে ঘোরা আর তারপর রথের মেলায় ইচ্ছে মত জিনিস কেনার একটা অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে আমার মাঝে। আর একটা ব্যাপার কাজ করে খুব সেটা হলো নিজের পাড়া ছাড়া অন্য কোথাও যেন এই মজা নেই। অন্য কোথাও তাই জন্য থাকিও না। গতকাল অনেক দিন পর মামার বাড়ি গিয়েছিলাম। অনেক জড়াজড়ি করেছে থাকার জন্য। কিন্তু আমি শুধু রথ যাত্রায় অংশগ্রহণ করবো বলে চলে এসেছি।
সকাল থেকে রোদ খুব একটা না উঠলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের তীব্রতাও যেন বাড়তে শুরু করলো। অন্য পাড়া থেকে রথ টেনে আনতে যাব এমনটাই স্থির করে রেখেছি। স্নান করে বেরোতে বেরোতেই শুনি রথ আজ সকাল সকাল বেরিয়ে পরেছে। আমাদের পাড়ার ভেতর ঢুকে পরেছে। তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলাম। এই বছরে রথ যাত্রায় প্রথম জগন্নাথ দেবকে দর্শন করলাম। এ এক অন্যরকম ভালোলাগা। নিজেকে যেন ধন্য মনে হলো খুব। দুই বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে গেল। ওদের সাথেই হাটতে লাগলাম।
কিছুদূর যাওয়ার পরেই রোদের তাপে যেন আর হাঁটতে পারছিলাম না। খালি পায়ে হাঁটছিলাম। পা যেন পুড়ে যাচ্ছিল। তারপরেও বেশ আনন্দ হচ্ছিল। বছরের এই একটা দিনেই খালি পায়ে জগন্নাথ দেব কে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটি। খানিকক্ষণ হাঁটার পর আমরা জগন্নাথ মন্দির পৌঁছে যাই। ওখানেই প্রসাদ খাওয়ার আয়োজন করা হয়। ভ্যাপসা গরম তারপরও সবাই অধীর অপেক্ষায় ছিল প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য। আমরাও সব বন্ধু মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। মাঝে একটু মেলার মাঝে ঢোকার চেষ্টা করি। কিন্তু এত রোদ দুই দোকান ঘুরতেই ফিরে আসি আবার। থাকতে পারছিলাম না গরমে। মেলার জিলাপি, কটকটি , নাড়ু এসবের প্রতি ছোট বেলা থেকেই একটা অন্য রকমের ভালোবাসা কাজ করে আমার। আজ সবাই মিলে আড্ডা দিতে দিতে খেলাম। ভাগ্নের জন্য একটা ঢোল কিনলাম। ভীষণ খুশি হয়েছে ভাগ্নে। পরশু হয়তো যাব ভাগ্নের কাছে।
সত্যি বলতে অত্যাধিক গরম ছিল সারা দিন। ঘেমে শেষ হয়ে গেছি প্রতি সেকেন্ডে। কিন্তু তারপরেও একটা তৃপ্তি ছিল আজকের দিন টায়। একটা ভালো লাগা ছিল কোথায় যেন। হয়তো এটা জগন্নাথ দেবের কৃপা। প্রভু আমাদের সকলকে ভালো রাখুক। ভালো কাজে মন দিয়ে যেন সবাই যে যার অবস্থান থেকে দাড়াতে পারি এটাই ছিল প্রার্থনা 🙏।
রথ যাএা সম্পর্কে আমার ধারণা একেবারেই কম। তবে বেশ দারুণ লাগল আপনার ভেতরের অনূভুতি টা জানতে পেরে। ছোটবেলা থেকেই আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল রথযাএা। এবং সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন খাবারও আছে দেখছি। যাইহোক দারুণ ছিল পোস্ট টা।
আমাদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। এক এক উৎসবের এক এক রকম মজা। 😊😊। ভালোবাসা রইলো।