রমনার বটমূলে কথা হবে প্রাণ খুলে 😊
নমস্কার,,
গরমের সীমা সহ্যের বাইরে চলে গেছে। ফ্যানের বাতাসে গরম ভাব বের হয় যেন। আকাশের দিকে তাকালে মনে হয় যেন নীল আকাশ গরমে ঘেমে কালচে রূপ নিয়েছে। তবু মেঘ বলে কিছু নেই। আর গাছের একটা পাতাও নড়ছে না। অক্সিজেন টা যে কই থেকে আসছে এটা ঈশ্বরই জানেন শুধু। আজ দুপুরের পর থেকে ফ্যানের বাতাসেও বসে থাকতে পারছি না। এত বাজে আবহাওয়া। বিরক্ত লাগছে সব কিছুই।
দুই দিন ধরে পোস্ট করি না। আসলে মন লাগে না কেন যেন, তাই আলসেমি থেকেই পোস্ট করা হয় না আর। ফোনের গ্যালারি তে গিয়ে দেখি রমনা পার্কের কিছু ছবি আছে যেগুলো পোস্ট করা হয় নি এখনো। তাই ভাবলাম ওগুলো দিয়েই একটা পোস্ট করে ফেলি আজ।
সেদিনটা ছিল শুক্রবার। বেশ ভালো রকমের গরম ছিল ঐ দিনও। মূলত তানিয়া আপু এবং তৌহিদা আপুর সাথে দেখা করতেই গিয়েছিলাম রমনা পার্কে। আপুরা আসার আগে আমি কিছুটা সময় একা একা পুরো পার্কের ভেতরে ঘোরাঘুরি করি এবং নিজের মত করে কয়েকটা ছবি তুলে রাখি। সত্যি বলতে বিকেল যত ঘনিয়ে আসছিল, পার্কে মানুষের সংখ্যা এতই বেড়ে যাচ্ছিল যে ছবি তুলতে নিজের কাছেই অনেকটা বিব্রতিকর লাগছিল। কারণ চারপাশে মেয়ে মানুষের সংখ্যাটাই বেশি ছিল। কখন কে এসে ধরে বসে তার নেই কোন ঠিক। তাই যে কয়টা ছবি তুলেছি বেশ ভয়ে ভয়েই তুলেছি।
রমনা পার্কের ভেতরে পরিবেশটা নিঃসন্দেহে অসাধারণ। তবে মানুষের ভিড়টা যখন অতিরিক্ত হয়ে যায় তখন একদম ভালো লাগেনা। পার্কের মাঝে চারিদিকে সবুজে ভরা একদম। অনেক রকমের গাছপালা রয়েছে সেখানে। সব থেকে ভালো লাগছিল কিছু দূর পরপর একটা করে কৃষ্ণচূড়া গাছ। ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্যও সুব্যবস্থা আছে। আবার প্রতিদিন সকালবেলা যারা হাঁটাহাঁটি করেন বা ব্যায়াম করেন তাদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রাখা আছে পার্কের ভেতরে। কোথাও আবার গানের আসর বসেছিল।
সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল পার্কের মাঝে ছোট লেকের অংশটুকু। লেকের দুই পাশ দিয়ে ব্রিজের মতো করে দেওয়া। দূর থেকে দেখতে অসাধারণ লাগে এই অংশটুকু। আপুদের আসতে দেরি হচ্ছিল যখন আমি বেশ লম্বা সময় এখানে দাঁড়িয়ে কাটাই। বেশিরভাগ ছেলে মেয়েই নিজেদের ছবি শুট করতে ব্যস্ত এখানে। কেউবা আবার টিকটক করছে। সত্যি বলতে এক একজনের কীর্তিকলাপ দেখে না হেসে উপায় ছিল না যেনো।
ক্লান্ত হয়ে কিছুক্ষণের জন্য এক জায়গায় বসে ছিলাম। পাশে ছিল জামগাছ। একটু পরে দেখি সেখানে কেউ গাছে উঠে ডাল ধরে ঝাকুনি দিচ্ছে, আর নিচে জামগুলো বৃষ্টির মতো পড়ছে। সব বয়সের ছেলেমেয়েরাই খুব মজা করে জাম খুটছিল মাটিতে। আমার বেশ মজা লাগছিল সেগুলো বসে বসে দেখতে।
এভাবেই উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাফেরা করতে করতে প্রায় এক ঘন্টার বেশি সময় কাটিয়েছিলাম ঐদিন। গরমে আমার অবস্থা পুরো নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। তারপর তো আপুরা চলেই আসলো। সেসব নিয়ে পোস্ট করেছি বেশ কিছুদিন আগে। সেটা আপনারা অনেকেই দেখেছেন হয়তো। রমনা পার্কে এর আগেও আমি ঘুরতে গিয়েছি বেশ কয়েকবার। তবে এত লম্বা সময় কখনোই থাকা হয়নি। এরপর কখনো আবার যদি যাই তাহলে ছুটির দিনে অবশ্যই সেখানে আর যাব না। কারণ এত মানুষের ভিড় পরিবেশটাকে দূষিত করে তোলে একরকম। মানুষকেও দোষ দিয়ে লাভ নেই। ঢাকা শহরে বিনোদনের জন্য এরকম সবুজে ঘেরা পার্ক খুবই কম আছে। তাই ছুটির দিনগুলোতে মানুষজনের ভিড়টা একটু বেশি হবে বিনোদনের জন্য এটাই স্বাভাবিক।
আপুদের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে প্রায় ঘন্টা খানেক রমনা পার্কে কাটালেন।বেশকিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখতে দারুন লাগলো। গরমে আপনার অবস্থা নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল।এরপর আপুরা এলো, কথা হলো, আচার নিলেন। খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
সর্বনাশ এইসব জায়গাতেও পৌঁছে গেছে এরা।
যাইহোক রমনা পার্কের কথা অনেক শুনেছি, তবে আপনাদের দু একটা পোস্ট দেখে মোটামুটি একটা আইডিয়া করতে পারছি আর কি। আর গরমের কথা বললেন না, আমাদের এদিকেও এত গরম যে জীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় যে জলের গামলার ভিতর গিয়ে সারারাত বসে থাকি।
ভাই এসব জায়গাতেই আরো বেশি টিকটক টিকটিক করে 🤪। এক জনের কান্ড দেখে নিজেকেই পাগল পাগল লাগে। আর গরমের কথা যত কম বলবো ততোই মঙ্গল 😅😅
সত্যিই প্রচন্ড গরমে কোন কিছুই করতে ভালো লাগছে না। সবকিছুই অসহ্য হয়ে উঠেছে। গত দুইদিন ধরে বিরক্ত তার কারণে পোস্ট না করা হলেও ,আজ কিন্তু ফোনের গ্যালারি ঘেঁটে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রমনা পার্কের প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর হয়েছে।
হা হা হা.........
সত্যিই পার্কের মধ্যের লেকের দৃশ্যটা অসাধারণ। আর এই যে হয়েছে টিকটক, এমনিতেই প্রচণ্ড মানুষের ভিড় হয়ে গেলে কোথাও ভালো লাগে না, তারপর আবার হঠাৎ করে কেউ ভিডিও করতে শুরু করলে মনে হয় এই মনে হয় ভিডিওর মধ্যে চলে আসলাম ।কি অশান্তি !!একটু ভালো করে ঘোরাও যায় না।
গরমের মা বাপ কিছুই নেই গো বোন,, যা ভোগাচ্ছে,, মনের সব রাগ ওর ওপর ঝারলেও শান্তি হবে না। মাঝে মাঝে মনে হয় , ভগবান আমাদের পাপের ফল গুলো বোধ হয় এভাবেই দিচ্ছে। আর টিকটক তো আরেক পাপের ফল যেন আমাদের জন্য। দুনিয়া উচ্ছুন্নে গেল একবারে।
রমনা পার্কের এরিয়াটা বেশ সুন্দর বলতে হয় তবে ঢাকা যখন গিয়েছিলাম তখন বিকেল বেলায় একটু করে প্রবেশ করেছিলাম তবে কিছুক্ষণ থেকে চলে আসি। সন্ধ্যার পর যখন হল তখন জোড়া জোড়া লোকজন দেখছিলাম কিন্তু একটু রাত বেশি হওয়ার কারণে পুলিশ ঢুকে জোড়া জোড়া বের করার জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন চলছিল😛🤗🤭। ভাবলাম অন্ধকারের মধ্যে এগুলো না দেখেই আরেকদিন আসলে দিনের বেলায় এসে পরিবেশটা উপভোগ করবো। তবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে খুব সৌন্দর্য দেখতে পেলাম ভালো লাগলো।
হাহাহাহা,, বেশ হাসলাম আপু আপনার মন্তব্য পেয়ে। আসলে পরিবেশ যত দিন যাচ্ছে ততই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে একদম। কি আর করার । মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই কোন।
দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। পার্কের ভিতর ছোট ছোট লেকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে। রমনা পার্কের পরিবেশটা অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে। আসলে এরকম সুন্দর পার্কে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সবসময়।