শেষ মুহূর্তের কাজ সেরে উঠতে ছোটাছুটি চলছে বেশ

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমষ্কার,,

আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। কয়েক দিন ধরে রাতের দিকে বৃষ্টি হচ্ছে রোজ। কিন্তু গরমটা যেন কমছেই না। দিনের বেলা ভ্যাপসা ভাবটা থেকেই যাচ্ছে। আজকেও তাই।

IMG20220719153342.jpg

এর মাঝে বাবা হঠাৎ করেই বাড়ির কিছু কাজ শুরু করেছে। অন্য একটা ছোট ইউনিটের কাজ বাকি ছিল। তো আমি বাড়ি আসাতে যে কদিন থাকি কিছু দরকারি কাজ সেরে নেবে। এর মধ্যে আবার সামনে একটা বিয়ে আছে। বাড়ির পাশেই। এই ইউনিটের কাজ টা কোন মত সারা হয়ে গেলে বিয়েতে যে লোকজন আসবে তাদেরও বেশ সুবিধা হবে।

রান্নাঘর আর বাথরুমের টাইলস টা আগে করে নেই। তারপর কারেন্টের কাজ শুরু করি। বাড়ির এসব কাজ করা যে কতটা ঝামেলার যে করে সেই বোঝে। সারা দিন মিস্ত্রির সাথে থাকতে হয়। নিজের কাজ নিজেকে বুঝে করে নিতে হয়। এরা বেশির ভাগই যেন রাজ্যের ফাঁকি বাজ। যত্ন নিয়ে কাজ ততক্ষণই করে যতক্ষণ চোখের সামনে থাকা যায়। কিছুক্ষণের জন্য আড়াল হলেই একটা না তো একটা ঘাপলা লেগে যাবে।

IMG20220718200933.jpg

IMG20220719154010.jpg

বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের দাম দেখে চোখ কপালে উঠে গেছে আমার। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে এত বাড়তি সব কিছুর দাম যা পুরোপুরি অকল্পনীয়। ভাগ্য ভালো বাবা একটা মাথা গোজার মত জায়গা করে দিয়েছে। তানাহলে বাড়ি করতে বারোটা বেজে যেত আমার। তিন বছর আগের জিনিস পত্রের দামের সাথে বর্তমান মূল্য যেন আকাশ পাতাল পার্থক্য। আবার একটা মিস্ত্রির মুজুরীও কম না। মধ্যবিত্ত একটা পরিবারের পক্ষে বর্তমান বাজারে ছোট একটা বিল্ডিং তোলা খুব কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার। আমার কাছে তাই তো মনে হয়। আচ্ছা চারপাশে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, সাধারণ মানুষের রোজগার কি সেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে? আমি আসলে ঠিক বুঝতে পারছি না। যদি বৃদ্ধি না পেয়ে থাকে তাহলে সবাই চলছে কি করে।

যাই হোক কাজ করতে নিয়ে ছোটাছুটি করতে করতে এক সপ্তাহে আমার অবস্থা বলা যায় একদম নাজেহাল। দুপুর নেই সকাল নেই বিকেল নেই হঠাৎ করে বলছে এই জিনিসটা আনতে হবে, সাথে সাথে আবার ছুটতে হচ্ছে। লিস্ট করে মালামাল কিনে নিয়ে এসেও কম পরছে । তারপর ছোটাছুটি শুরু। আজকের দিনটাও এভাবেই কেটে গেল। নিজের ব্যক্তিগত কোন কাজ ঠিকভাবে করে উঠতেই পারছি না। দুই-তিন দিনের মাঝেই সব কিছু সামলে ওঠার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কতদূর কি সম্ভব হয়।

Sort:  
 2 years ago 

বাসার কাজ শুরু হলে আর শেষ হতেই চায় না। একটার পর একটা লেগেই থাকে। তবে আপনি বাসার কাজে সাহায্য করছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল ভাইয়া।

বাড়ির কাজের থেকে ঝামেলা পূর্ণ কাজ যেন আর কিছুই নেই। চেষ্টা করেছি যতটা পারি বাবার সাথে থেকে সাহায্য করতে। অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন এই মিস্ত্রিদের সঙ্গে পেরে ওঠা আসলেই খুব মুশকিল। তাছাড়া বাড়ির কাজ করতে গেলে বিভিন্ন ধরনের মিস্ত্রি প্রয়োজন হয়। আর এদেরকে দেখে ঠিকঠাক মতো কাজ করানো আসলেই খুব কষ্টের বিষয়। জিনিসপত্রের দামের সঙ্গে কি আর মানুষের আয় ইনকাম এত দ্রুত বাড়ে। যাই হোক কোন একটি কাজে আপনি ব্যস্ত আছেন দেখে ভালো লাগলো।

হ্যাঁ আপু দশ টা দিন খুব প্রেসার গেল। নিজেই যদি মিস্ত্রি হতে পারতাম 😉,, কত শান্তিই না পেতাম। অনেক ধন্যবাদ আপু। এভাবেই পাশে থাকবেন।

 2 years ago 

আসলে ভাই বাংলাদেশী টাকার মান যে হারে কমছে জিনিসপত্রের দাম যে আকাশ ছোয়া হে এটাই স্বাভাবিক। যাইহোক বেশ ব‍্যস্ততার সঙ্গে কেটেছে আপনার দিনটা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতি জীবনযাত্রার মানকে নামিয়ে দিচ্ছে দিন দিন। এর থেকে কবে যে উদ্ধার পাব ঈশ্বর জানেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 57941.45
ETH 2579.63
USDT 1.00
SBD 2.39