জাতীয় চিড়িয়াখানাতে কাটানো একদিন
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যকে জানাই শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজ মহানবমী। মোটামুটি সবাই পূজার ঘোরাঘুরি নিয়ে ব্যাস্ত। সেসব নিয়ে পোস্ট ও করছেন। কিন্তু আমি তো ঘরে বন্দী। বাইরে যাওয়া নেই। ঘোরাঘুরি ও নেই এবার। তাই সবার পূজার পোস্ট গুলো মন ভরে দেখছি ঘরে বসে।
এমন উৎসবের দিনে অন্যকিছু নিয়ে পোস্ট করতে আসলে ভালো লাগে না। কিন্তু কিছু করার নেই আর আমার। কদিন আগে মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম দিদি ভাগ্নেদের সাথে নিয়ে। আজকে সেই দিনের কিছু ছবি ও নিজের অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।
এর আগেও গিয়েছিলাম আমি চিড়িয়াখানায়। তাই জায়গা টা মোটামুটি আগে থেকেই পরিচিত। ভাগ্নেকে নানান পশুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। ও হ্যাঁ বলে রাখি হাঁটাহাঁটি করতে আমি ভীষণ অলস। আমি জানি অনেক হাঁটতে হবে। তাই দিদি আর জামাইবাবুকে আগেই বলে রেখেছিলাম কিছুক্ষণ হাঁটার পর আমি লেকের পাড়ে বসে থাকব। ওরা সম্পূর্ন ঘোরার পর মেইন গেটে এসে যেন আমাকে ফোন করে।
আসলে মুখে এই কথা বললেও আমারও প্রায় সম্পূর্ন টাই হাটা হয়ে গিয়েছিল। আসলে বাচ্চাদের সাথে দেখতে দেখতে আমারও ভালোই লাগছিল। বানর, পাখি, বাঘ, ভল্লুক, সাপ, শিয়াল, জেব্রা, ঘোরা, জিরাফ,অজগর সহ আরো কত বিচিত্র ধরনের সব প্রাণী ছিল। চিড়িয়াখানার ভেতরটা গাছ পালায় বেশ ঠাণ্ডা একটা আবহাওয়া তৈরি করেছে। পাশে দিয়ে আবার লেক। সব কিছু মিলিয়ে পরিবেশ টা সময় কাটানোর জন্য খুব ভালো। পরিবার নিয়ে ভালো একটা সময় কাটবে।
আমার যেটা মনে হলো এখানে অনেক লম্বা সময় নিয়ে আসতে পারলে বেশি ভালো। সারাদিনের জন্য প্ল্যান করে আসতে হবে। তাহলে বাচ্চারাও ঘুরে ক্লান্ত হবে না। আমার ভাগ্নের মাঝে অবশ্য ক্লান্তি বলে কিছু দেখি নি। অন্যদিকে আমার দিদি জামাইবাবুর অবস্থা টাইট হয়ে গিয়েছিল ওর পিছনে ছুটতে ছুটতে। আমারও বেশ ভালোই লেগেছিল । সবকিছু মিলিয়ে দিনটা বেশ ভালই কেটেছিল।
ভাই আপনার চিড়িয়াখানার পোস্টটি দেখে বেশ ভালো লাগলো । এক বছর আগে আমিও গিয়েছিলাম চিড়িয়াখানায় । পুরানো সেই স্মৃতিগুলো আবার মনে পড়ে গেল । চিড়িয়াখানার ভেতরে লেকটা আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে । আমি লেকের পাড়ে বেশ খানিকটা সময় বসে ছিলাম । আপনি ঠিকই বলেছেন চিড়িয়াখানার ভিতরে হাটাহাটি করতে হয় প্রচুর । আমিও আপনার মত হাটাহাটিতে একটু অলস । হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়েছিল খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম । তারপরও বাচ্চাদের সঙ্গে বেশ ভালোই লেগেছিল । আপনার এ কথাটা ঠিকই চিড়িয়াখানায় বেশ সময় নিয়ে গেলে ভালো হয় । তাহলে ক্লান্ত হতে হয় না ,যদিও বাচ্চারা চিড়িয়াখানায় গেলে এমনিতেই ক্লান্ত হয় না , ঘুরে বেড়াতে তারা বেশ মজা পায় ।ধন্যবাদ আপনাকে ।
বাচ্চাদের জন্যই বানানো জায়গা টা ওরা ক্লান্ত হলে কি আর চলে ! 😅। বেশ নিরিবিলি একটা পরিবেশ। সময় করে আবার কোন এক দিন বেড়াতে আসবেন আপু 🙏
সত্যি বলেছেন ভাইয়া মীরপুর চিড়িয়াখানা দেখতে গেলে অনেক লম্বা সময় নিয়ে যেতে হবে, তাহলে ভালো করে ঘুরে দেখা যাবে।আমি মীরপুর চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম অনেক আগে, এখন কেমন হয়েছে জানা নেই। তবে আপনার ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে আগের থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। আপনি আপনার ভাগ্নেকে অনেক পশু পাখির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন জেনে ভালো লাগল। যেমন বানর, পাখি, বাঘ, ভল্লুক, সাপ, শিয়াল, জেব্রা, ঘোরা, জিরাফ,অজগর সহ আরো কত বিচিত্র ধরনের সব প্রাণী ছিল। সত্যি চিড়িয়াখানার ভেতরটা গাছ পালায় বেশ ঠাণ্ডা একটা আবহাওয়া। আসলে উৎসবের সময় ঘরে বন্দী থাকা অনেক কষ্টের। আপনি তারাতাড়ি সম্পন্ন সুস্থ হয়ে উঠেন এই কামনা করি।
আমি এই নিয়ে দুই বার গেলাম। খুব একটা পরিবর্তন চোখে পরে নি অবশ্য। তবে ভালো লাগার এতটুকু কমতি ছিল না। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
সবাই পুজোর আনন্দ করছে আর আপনি ঘরে বন্দী হয়ে আছেন জেনে সত্যি খারাপ লাগলো। আসলে এই সময় ঘরে বন্দি থাকতে কারোরই ভালো লাগেনা। চারিদিকে উৎসবমুখর পরিবেশ আর আপনি তাতে শামিল হতে পারছেন না বিষয়টি সত্যি অনেক দুঃখজনক। তবে যাই হোক সৃষ্টিকর্তা আপনাকে আগের থেকে অনেকটা সুস্থ করে তুলেছেন এটাই অনেক। চিড়িয়াখানার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি আপনার ভাগ্নের সাথে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। শুভকামনা রইল ভাইয়া।
সময় আর ভাগ্য কখন কোন দিকে যে আমাদের নিয়ে যায় বলা মুশকিল আপু। এবছর এমন ভাবে পূজা কাটাবো স্বপ্নেও ভাবিনি। তবু মেনে নিয়েই চলছি। অনেক ভালো থাকবেন আপু
বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করেছেন আপাত দুলাভাই আর ভাগ্নের সাথে অবশ্যই সুন্দর সময় পার করেছেন সেই সাথে আরো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দিলেন।।
আজ থেকে প্রায় দু বছর আগে আমি চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম খুবই ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম বন্ধুরা মিলে।।
আপনি ঠিকই বলেছেন ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এমন জায়গায় হাঁটাহাঁটি করলে কখন যে সময় পার হয়ে যায় সেটা বোঝাই মুশকিল।।
যাহোক সুন্দর সময় অতিবাহিত করে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।।
বাচ্চাদের সাথে নিজেকেও বেশ বাচ্চা বাচ্চা লাগছিল 😅। তাই জন্যই সময়টা এত ভালো কেটেছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই সময় আপনি ঘর বন্দী হয়ে আছেন শুনে অনেক খারাপ লাগলো ভাইয়া। দোয়া করি আপনার সমস্যা গুলো যেনো তারাতাড়ি ঠিক হয়ে যায়। আপনার কথা শুনে ইচ্ছে করছে মীরপুর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যেতে। আমি আগে কখনো যায়নি এই চিড়িয়াখানা। মীরপুর চিড়িয়াখানায় পরিবেশ টি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
একবার সামনে থেকে এসে ঘুরে দেখবেন আপু। অনেক ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ।
আপনার চিড়িয়াখানায়া ঘুরতে যাওয়া দেখে খুব ভালো লাগছে।লাস্ট চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম ২০১০। এবার ঢাকায় গিয়ে মেয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য যাওয়া হয়নি।চিড়িয়াখানায় খুব সুন্দর সময় পার করেছেন দেখছি।অনেক ভালো থাকবেন ভাইয়া।
অনেক দিন আগে গিয়েছিলেন দেখি,,, এবার ঢাকা আসলে মিস করবেন না আর কেমন,, বেশ ভালো লাগবে ভেতর টা ঘুরতে।
সেদিন তো শুনলাম পরিবারের সবাই খুব অসুস্থ। এখন কেমন আছেন সবাই? এসব জায়গায় ছোট বাচ্চারা খুব আনন্দ পায়। কারণ তারা প্রাণী গুলোকে একদম সামনাসামনি দেখে। আর এসব জায়গায় একটু সময় নিয়েই যেতে হয়। না হলে পুরো জায়গাটা ঘুরা সম্ভব হয় না। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া
আপু আপনাদের দোয়াতে সবাই মোটামুটি ভালো আছি এখন। তবে সম্পূর্ন সুস্থ্ নই এখনও। রেস্টে আছি। সময় লাগবে এখনও বেশ কিছুদিন।
আপনার অবস্থা তো দেখছি আমার মত ভাইয়া আমারও হাটাহাটি করতে একদম ভালো লাগে না। বেশ কিছুদিন আগে আমিও একবার জাতীয় চিড়িয়াখানাতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। যদিও সব পশুপাখি দেখে ভালো লাগছিল কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল।
হাহাহাহা এত বড় এরিয়া,,, সবটা হেঁটে দেখতে গেলে জীবন শেষ পুরো। অনেক ভালো থাকবেন ভাই।
আপনার ঘর বন্দী হওয়ার কারণ কি তা তো জানিনা ভাইয়া, জানাবেন অবশ্যই। তবে অসুস্থ থাকলে আপনার সুস্থতা কামনা করি। আজকে আপনি যে পোস্ট করেছেন তা দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। যদিও আমি জাতীয় চিড়িয়াখানায় যাই নি।সেখানে না গেলেও চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমি সারাটা দিন দেখেছি।পাশেই ছিল ফয়েজ লেক, সেখানেও কিছুক্ষণ ঘুরে ছিলাম। আমার কাছে সেই সময়টার কথাই মনে পড়ে গেল। এত সুন্দর সুন্দর পশুপাখি, না দেখলে জানাই হতো না।দেখার জন্য হলেও একবার যাওয়া উচিত।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলাম আপু। ওটা নিয়েই ভুগছি এখনও। তাই ঘর বন্দী থাকতে হচ্ছে। সম্পূর্ন বেড রেস্ট। আর হ্যাঁ ভাইয়াকে নিয়ে অবশ্যই একবার মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরে যাবেন। অনেক ভালো লাগবে সামনে থেকে দেখে।
আপনার সুস্থতা কামনা করি আশা করি খুব শীঘ্রই আপনি সুস্থ হয়ে ফিরবেন ধন্যবাদ
বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর ঘুরে দেখেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। জাদুঘরে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর লাগছে। আসলে আপনি আগে থেকে একটু সুস্থ হয়ে উঠেছেন জেনে খুব ভালো লাগছে। আপনি পুরো সুস্থ হয়ে উঠেনে এই আশাবাদ সৃষ্টিকর্তা কাছে ব্যর্থ করি। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সব সময় এভাবে পাশে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন।