দীর্ঘ দিন পর বৈশাখী মেলার আয়োজন
নমস্কার,,
আমার বাংলা সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলেই ঈশ্বরের আশীর্বাদে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। তীব্র গরমে ভালো থাকাটা সত্যি অনেক কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও সবকিছু মানিয়ে নিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলছে ২-১ দিনের ভেতরেই নাকি বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে। এই অপেক্ষাতেই দিন কাটছে এখন সবার।
কয়েকদিন আগে বাড়িতে গিয়েছিলাম। মাত্র দুই রাত থেকেছি। এত অল্প সময়ে ইচ্ছে থাকলেও অনেক আবদার পূরণ করা হয়নি। তবে এবার অন্যরকম এক মজা নিয়ে ফিরেছি বাড়ি থেকে। আজ থেকে ১০-১২ বছর আগেও বাংলাদেশের প্রায় সবখানে বৈশাখী মেলার দারুন একটা প্রচলন ছিল। প্রায় সবখানেই বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হতো। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে বৈশাখী মেলার আমেজটাও যেমন কমছে, তার সাথে মেলার সংখ্যাটাও কমছে। আর সব থেকে মজার ব্যাপার হলো প্রায় ১৪ বছর পর আমাদের এলাকাতে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে এই বছর।
বাড়ির পাশে মেলা হচ্ছে আর মেলাতে যাব না এমনটা তো কখনো হতে পারে না। বন্ধুকে নিয়ে পরপর দুইদিন মেলাতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ যখন ঘুরছিলাম আমি যেন আমার হারানো শৈশবটাকেই বারবার খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম। প্রায় সব রকমের স্টল বসেছে মেলাতে। মেয়েদের সাজগোজের জিনিসই বেশি ছিল। তবে ছোট বাচ্চাদের জন্য রয়েছিল স্পেশাল কিছু আয়োজন। নাগরদোলা, চরকি, খেলনা ট্রেন থেকে শুরু করে আরো বেশ কয়েক রকমের রাইটস। বড় ছোট সবাই নাগরতলা তে উঠছিল। আমি আর আমার বন্ধু অনেকদিন পর সুযোগ পেয়ে সেই লোভটা সামলাতে পারিনি আর। আমরাও ছোটদের সাথে উঠে গিয়েছিলাম নাগর দোলায়। কি যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না!
প্রতি রাতেই মেলাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তবে আমি সব থেকে বেশি মিস করছিলাম লটারির ব্যাপারটা। ছোটবেলায় মেলাতে গিয়ে একটা করে লটারি কিনে আনতাম আর বড় মুখ করে সেই ড্রর জন্য বসে থাকতাম। এটা এক অন্যরকম অনুভূতি ছিল। যদিও আজ অবধি কখনো লটারিতে কোন পুরস্কার আমি পাইনি। হিহিহিহি। তবে মেলাতে সব বয়সী লোকজনের সমাগম দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগছিল। আমাদের বাঙালির ঐতিহ্য গুলো প্রতিবছর যদি এভাবে ধরে রাখার আয়োজন করা হয় তাহলে মন্দ হয় না ব্যাপারটা।
দীর্ঘ দিন আগে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জায়গার মধ্যেই বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হতো। কিন্তু কালক্রমে সেই আমেজটি কমিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মন থেকে বৈশাখীর আনন্দ উঠে যাচ্ছে। যাইহোক, দীর্ঘ দিন পর আপনাদের এলাকার মধ্যে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে, দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি মেলার মধ্যে বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছেন।
ভাইয়া বলেন কি। আমার খালাদের গ্রামের মেলা বসলে আমি খালা বাড়ি সকাল সকাল পৌঁছে যায়। এরপর খালাতো বোনদের সাথে মেলা ভ্রমণ করে। আর আপনি বাড়ির পাশে মেলা হচ্ছে না গেলে তো বড় আকারে মিস হয়ে যাবে। এই যে মেলা ভ্রমণ করেছেন অনেক কিছু আয়োজন সেখানে ছিল ফটোগ্রাফি করেছেন তাই আমাদেরও দেখার সুযোগ হল। ভুল করে কখনো যেন এমন সুন্দর আয়োজন মিস করবেন না। ভালো লাগলো ভাইয়া অনেক সুন্দর বৈশাখী মেলার আয়োজন দেখে।
আপনার অপেক্ষার প্রহর কালকে শেষ হয়েছে নিশ্চয়ই। রাতে তো বেশ ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেও গরম যায়নি, কিছুটা কমেছে বটে। ঠিকই বলেছেন আগে বৈশাখী মেলা হত এখন বিভিন্ন ধরনের মেলা হওয়ার কারণে পুরনো এই মেলাগুলো উঠে যাচ্ছে। অনেক বছর পরে তাহলে আবার মেলা শুরু হয়েছে। এর পরের বার বউ নিয়ে মেলায় ঘুরতে যেতে পারবেন।
অনেক বছর পরে দেখছি আপনাদের এলাকায় মেলার অনুষ্ঠান হয়েছে। মেলায় ঘুরতে যেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কয়েকদিন আগেও গিয়েছিলাম ফেনীতে মেলায়। মেলায় ঘোরাঘুরি করলে মনটা একেবারেই ভালো হয়ে যায়। তাই আমি যখনই মেলার কথা শুনি, তখনই যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি অনেক বেশি। আপনি তো দেখছি খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন মেলায় গিয়ে। আপনার কাটানো মুহূর্তটা ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। মুহূর্তটি ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
রাতে ঢাকা তে বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আমাদের দিকে বৃষ্টির কোন দেখা নেই এখনও। আমার এলাকার আশপাশ মিলিয়েও এখন বছরে দুইটা মেলা হয় না। সব একেবারে কমে গেছে। বৈশাখী মেলায় গিয়ে সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন ভাই। সুন্দর আলোকসজ্জা আগের মতোই মানুষের সমাগম সব স্টল। শুধু লটারি নেই সাথ নেই ছোটবেলার সেই অনূভুতি।
এই সময় কিন্তু মেলা হচ্ছে অনেক জায়গায়, বিশেষ করে বৈশাখী মেলা হয়েছে বিভিন্ন জায়গা গুলোতে। আপনি অনেক সুন্দর করে বৈশাখী মেলায় গিয়ে কাটানো মুহূর্তটা আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন, যেটা উপভোগ করতে পারলাম আপনার পুরো রিভিউ পোস্ট পড়ে। মেলার আয়োজনটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। অনেক কিছুই দেখলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। মেলায় গেলে আলাদা রকম একটা অনুভূতি কাজ করে, তখন খুবই ভালো লাগে আমার কাছে।