দীর্ঘদিন পর গ্রামে যাওয়া
নমষ্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি অবশ্য আমার মতোই চলছি। এ বছরের শুরু থেকেই ছোটাছুটির ওপরই আছি। শরীর টাও কেমন একটা থাকে সে জন্য। আজ লিখছি নিজের গ্রাম নিয়ে। গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম অনেক লম্বা সময় পরে। আমাদের গ্রামের বাড়ি টা অবশ্য আর নেই। ওটা কিছু বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছে। গ্রামের কিছু পরিচিত মানুষ জনের যখন কোন অনুষ্ঠান হয় সেটার নিমন্ত্রণেই যাওয়া হয় গ্রামের দিকে। এছাড়া খুব একটা যাওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠে না। তবে মা বাবা মাঝে মাঝেই যায় গ্রামের দিকে।
সেদিন মূলত একটা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। না যেয়ে না যেয়ে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে আমাকে কেউই তেমন চিনতে পারে না আর। আসলে আমি যখন একদম ছোট অর্থাৎ চার বছর বয়স ঠিক তখনই গ্রাম থেকে আমাদের চলে আসা। তাই আমিও যেমন কাউকে ঠিক চিনতে পারি না, অন্যদেরও একই অবস্থা। গ্রামের সেই বাড়িটা না থাকলেও গ্রামে আমাদের কিছু আবাদী জমি আছে। আর সব থেকে দুঃখের কথা যে আমি আমার বাবার একটা জমিও চিনি না। বাবা আমাকে অনেক বছর আগে যখন স্কুলে পড়তাম ঐ সময়টায় একবার মাঠে নিয়ে গিয়ে আমাদের জমি গুলো দেখিয়েছিল। কিন্তু আমার তো কিছুই মনে নেই এখন।
গ্রামে গিয়ে আমি চলে গিয়েছিলাম মাঠের মধ্যে। নদীটার করুণ দশা দেখে খুবই খারাপ লাগলো। কত সুন্দর করতোয়া নদী ছিল। আর আজ তার অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ছোট একটা পুকুর বা বিলের মত হয়ে আছে নদী টা। জমির ভেতর দিয়ে দেখলাম মানুষ ফসল আবাদ করছে। কি অদ্ভূত একটা ব্যাপার। আর ফসলি জমির পরিমাণ টাও কমে গেছে। জমির জায়গা দিয়ে মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। আমি রীতিমত অবাক হয়ে সব দেখলাম। তারপর কিছুটা এগিয়ে গেলাম ভেতরের দিকে। দেখলাম সরষের গাছ আর ফুল। অনবদ্য লাগছিল এক কথায়। বাধা কপি ফুল কপির জমিও সামনে আসলো। শুধু মনে হচ্ছিল এদিকেই আমাদের জমিগুলো আছে। কিন্তু কোনটা যে আমার এটাই শুধু চিনছিলাম নাহ্।
খুব অল্প সময়ের জন্য মাঠে ছিলাম। যদিও ঘুরতে মন্দ লাগছিল না একদমই। ইচ্ছে আছে বাবাকে সাথে নিয়ে একদিন আসবো। জমি গুলো চেনা দরকার। এটা এক রকম দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। যাই হোক আজ এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
দীর্ঘদিন পর গ্রামে গেলেন কোন এক অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে।আসলে আসা-যাওয়া না থাকলে যা হয় আর কি।নিজেদের জায়গা জমি চিনেন না এটা সত্যিই ঠিক নয়।ভাইয়া আপনি আংকেলকে নিয়ে যাবেন।আর সবকিছু বুঝে নিবেন।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লেগেছে।ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমিও ব্যাপারটা ফিল করি যে নিজেদের জায়গা জমি গুলো ভালো ভাবে দেখে শুনে রাখা উচিত সব সময়ই। এবার সব বুঝে নেব। দোয়া করবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাই অনেকদিন পরে শহর থেকে গ্রামে আসলে এরকমটাই হয়।আপনি কাউকে চিনেন না নয়তো তারা আপনাকে চিনবে না। আপনি যেহেতু গ্রামের বাইরে থাকেন তাই আপনার বাবার জমিগুলো চিনেন না এটা অস্বাভাবিক কিছু না, আমি গ্রামে থেকে আমার বাবার চাষাবাদের জমি কোথায় কোথায় আছে সেটাই তো জানিনা 🤦
আপনার আর আমার অবস্থা তো দেখছি একদম মিলে গেছে, হিহিহিহি। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
দীর্ঘদিন পরে গ্রামে গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন বুঝতে পারতেছি। যদিও এমনিতে যাওয়া হয়না, তবে কোন অনুষ্ঠানে যাওয়া হয় জেনে ভালো লাগলো। যে অনেক আগে জমিগুলো আপনার আব্বু দেখিয়েছিল, তাই আপনি এতদিনে ভুলে গিয়েছিলেন। আশা করছি পরবর্তীতে কখনো আপনার আব্বুকে নিয়ে আসলে, আপনার আব্বু জমিগুলো চিনিয়ে দিবে আপনাকে। যাইহোক ভালোই লাগলো আপনার আজকের এই পোস্টটা।
একদিন বাবার সাথে যাব হয়তো জমিগুলো দেখতে। আমার বিশ্বাস এবার আর ভুলবো না তাহলে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি ছোটবেলা থেকেই শহরের মধ্যে থাকার কারণে গ্ৰামের মানুষ কে আপনি তেমন একটা চিনতে পারেন না এবং তারাও আপনাকে চিনে না। এছাড়া ও আপনি আপনার বাবার আবাদি জমি ও চিনতে পারেন না। আসলে দীর্ঘ দিন পর কোথাও গেলে এরকম টা হবে এটা স্বাভাবিক।
হ্যাঁ অনেক দিন যাওয়া আসা করা হয় না বলেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আবার সব কিছু চিনে যাব। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
গ্রামে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। আর অনেকদিন পরে যদি গ্রামে আসা হয় তাহলে খুব ভালোই লাগে। যেহেতু আপনার অনেক ছোটবেলায় শহরে চলে গিয়েছিলেন, তাই অনেকদিন পরে আসা হয় গ্রামে বুঝতেই পারতেছি। আপনাদের গ্রামের বাড়িটা বিক্রি করলেও জমি তাহলে রয়েছে। যদিও আপনি সেগুলো চেনেন না। তবে আপনার আব্বু আরেকবার দেখিয়ে দিলে অবশ্যই চিনতে পারবেন। এমনিতে না আসা হলেও কোন অনুষ্ঠানে এসে থাকেন জেনে ভালো লাগলো।
জমি গুলো দেখে নিতে হবে খুব তাড়াতাড়িই। এগুলো সত্যিই জরুরী জিনিস। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে সত্যিই। দোয়া করবেন ভাই। অনেক ভালো থাকবেন।