এলোমেলো ছবি তুলে কাটানো এক বিকেল
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি ঈশ্বরের আশীর্বাদের সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। হ্যাঁ আমার দিন আগেও যেমন ছিল, ঠিক এখনো তেমনটাই যাচ্ছে। ভালো আর খারাপের মাঝামাঝি একটা অবস্থা। আর তার সাথে আবহাওয়াটাও কেমন যেন খেলছে প্রতিনিয়ত। টানা তিন দিন হলো সারাদিন মারাত্মক রকমের গরম থাকে, সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আকাশে মেঘ করে ভীষণ বাতাস শুরু হয়, বৃষ্টি হবে হবে করেও যেন হয় না। সন্ধ্যা থেকে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে কয়েকদিন হল। কিন্তু বৃষ্টির দেখা আর পাচ্ছি না।
আজ কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি। সত্যি বলতে এগুলোকে ফটোগ্রাফি বললে ভুল হবে। কারণ আমাদের এই কমিউনিটিতে অনেকে অনেক চমৎকার সব ফটোগ্রাফি করে থাকেন। সেই তুলনায় আমার তো কিছুই নেই। তবু সেদিন বন্ধুর ক্যামেরাটা নিয়ে কয়েকটি ছবি তোলার চেষ্টা করেছিলাম। আজ সেগুলোই সবার সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।
উপরে যে ছবিটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আমাদের সবার অতি সুপরিচিত একটি প্রাণী , গরু। সেদিন ছবি তোলার মতো কিছুই পাচ্ছিলাম না সামনে। ফাঁকা মাঠে যখন একটা গরু দেখতে পেলাম সেটা দিয়েই আমার ছবি তোলার উদ্বোধন করেছিলাম। হিহিহিহি।
উপরে যে দুটো ছবি দেখা যাচ্ছে এগুলো বটগাছের ছবি। হালকা বৃষ্টির পর যখন গ্রামে গিয়েছিলাম, দূর থেকে অসাধারণ লাগছিল এই গাছ দুটিকে। তাই দ্রুত ক্যামেরা বন্দি করার চেষ্টা করি।
সময়টা তখন প্রায় সন্ধ্যা লেগে গেছে। আশেপাশে কিছুই পাচ্ছি না ছবি তোলার মতো। হঠাৎ করেই দেখি একটা ভ্যান বোঝাই করে কাঠ নিয়ে যাচ্ছে। আমার বেশ ভালো লাগছিল দূর থেকে দেখতে। সাথে সাথে একটা ক্লিক করে নেই।
ভ্যানটা অতিক্রম করার পর ফাঁকা রাস্তাটার ছবি নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সত্যি বলতে আমার বন্ধু সৌরভ আমাকে শিখিয়ে দিচ্ছিল কিভাবে ফোকাস করে ছবিগুলো তুলতে হয়। ঠিক এমন সময় দূর থেকে একজন মহিলা গ্রামের ওই পিচ ঢালা পথ দিয়ে হেঁটে আসছিলেন। বেশ ভালো লাগছিল আমার কাছে দেখতে। তাই ফটাফট ক্লিক করে নেই।
একদম উপরে যে দুটি ছবি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো আমার ছাদ গাছের আম এবং পেয়ারার ছবি। আসলে নতুন নতুন ছবি তোলার শখ হলে যা হয়। চোখের সামনে যেটাই আসে সেটাই তুলতে ইচ্ছা করে। আমার অবস্থা টাও সেদিন তাই হয়েছিল।
আজকে যে ছবিগুলো পোস্ট করেছি সেগুলো সব আমার বন্ধুর ক্যামেরা দিয়ে তোলা। বন্ধু সৌরভের কাছ থেকে ছবি তোলার ব্যাপারে একটু দীক্ষা নিয়েছি বলা যায়। তবে এটা যে আমার কোন কাজে আসবে না এটা নিশ্চিত। কারণ এই ব্যাপারগুলো অভ্যাসের উপর নির্ভর করে। আর আমার একদমই ফটোগ্রাফি করার অভ্যাস নেই। সেদিন কই থেকে যে উটকো শখ এসে আমার মনে হাজির হয়েছিল সেটা ঈশ্বরই জানেন, আর সেজন্যই এই কয়েকটা ছবির আবির্ভাব হল আজকে।
আপনার বন্ধু সৌরভ আপনাকে বেশ সাহায্য করেছে। আসলে ফটোগ্রাফি করার জন্য অনেক রুলস এর প্রয়োজন আছে। আমরা তো সেগুলো একবারও মেনে চলি না। শুধু ফটোগ্রাফি করলেই হয় না। ফটোগ্রাফির প্রতি অনেক যত্নশীল হতে হয়। ভাইয়া আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে।
সত্যি বলতে আপু সব কিছুই যত্ন নিয়ে করলে অনেক সুন্দর হয়। আমরা আলসেমি করে কিছু করতে চাই না। আর যারা করে তাদের টা দূর্দান্ত হয়। অনেক ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনাদের দিকে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকলেও বৃষ্টি হচ্ছে না। আর আমাদের দিকে বৃষ্টি হবার পরও গরম কমছে না। যাইহোক ভাই আপনি নতুন ফটোগ্রাফার হলেও ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার বন্ধুর ক্যামেরা দিয়ে এতো মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করে, আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গরম আমাদের স্থায়ী অভিশাপ দিয়েছে ভাই। এটা আর কমবে না 😊😊। খুব ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে।
গোধূলি বিকেল প্রকৃতির সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। পড়ন্ত বিকেলে প্রকৃতির সাথে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো সত্যি খুব অসাধারণ। আসলে আপনি বিকেল বেলায় খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আম টি দেখে খুবই সুমিষ্ট মনে হচ্ছে। বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। এত চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ওরে বাপরে দারুণ দারুণ শব্দ দিয়ে সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করেছেন দেখছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ভাইয়া আপনাদের মত আমাদেরও একই অবস্থা প্রতিদিন আকাশে মেঘের বেশ গর্জন শুনি কিন্তু বৃষ্টিরদেখা পাই না ।ভীষণ গরম থাকে ।সন্ধ্যার পরে একটু গরম কমে কিন্তু বৃষ্টি হয় না ।যাইহোক আপনার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু চমৎকার হয়েছে ।বন্ধুর সাহায্য নিয়ে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন । দীক্ষা নিয়েছেন পরবর্তীতে এভাবেই ফটোগ্রাফি করবেন আশা করছি ।ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃষ্টি নামার জিনিস গুলো কেমন যেন আপু। কথা দিয়ে কথা রাখে না 😉😉। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঠিক বলেছেন, আবহাওয়াটা যেন প্রতিনিয়ত খেলছে। এমন একটা ভাব নিয়ে আসে, যেন এই বৃষ্টি হল বলে, কিন্তু আর হয় না🙂। বন্ধুর ক্যামেরা নিয়ে তাহলে এই ফটোগুলোই তুলেছিলেন, বুঝলাম। গরুটিকে কিন্তু খুব সুন্দর দেখাচ্ছে, হি হি হি। আপনাদের বাড়ীর ছাদ থেকে তোলা আম এবং পেয়ারার ছবিটিও অসাধারণ লাগছে দেখতে। রাস্তা দিয়ে যাওয়া মহিলাটি এবং কাঠ বোঝাই করা ফটোটিও খুব সুন্দর তুলেছেন।
বৃষ্টি নামের সব কিছুই এমন ছলনা করে সব সময় 😉। আর ম্যাডাম আমাদের গাছের আম এবং পেয়ারার স্বাদ কিন্তু অতুলনীয়। 😊
তাহলে তো ,আপনাদের গাছের আম আর পেয়ারা খেয়ে দেখতে হচ্ছে একবার।🤓
মন্দ বলেন নি,, আমি আসছি কয়েকের মাঝেই ,, যাওয়ার সময় সাথে করে নিয়ে যাব নি 😉
ঠিক আছে , আমিও আম খেতে দেখা করতে যাব নি 🤭🤭🤭🤭।
ইদানিং গরম একটু কমেছে আমাদের এদিকে। সপ্তাহখানেক আগে তো এখানে গরমে টেকা মুশকিল হয়ে পড়েছিল। তবে দু-তিন হল দেখছি বৃষ্টি পড়ছে বেশ ভালই। যাইহোক আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখেছি এবং নিচের লেখাগুলো পড়েছি। আপনি যথেষ্ট ভালো ফটোগ্রাফি করেন।
নিচের ফটোটাও কি বটগাছের...?
ভাই বিশ্বাস করেন আমি গাছ খুব একটা চিনি না,, অন্ধকার হয়ে আসছিল তখন প্রায়। বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম ওটা কি গাছ, আমাকে বলে ওটাও বট গাছের ছোট ভাই 😀। আর কাছেও যেতে পারি নি। জঙ্গল ছিল বেশ। দূর থেকে জুম করে তুলেছিলাম ।
আমাদের এদিকে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়াতে পরিবেশ অনেকটা ঠান্ডা এখন। তাছাড়া বৃষ্টি হবে হবে করেও যদি না হয় তখন বেশি খারাপ লাগে। যাই হোক ভাইয়া আপনার ফটোগ্রাফিগুলো আজকে খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে গাছ দুটির ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফির বেশ ভালই দীক্ষা নিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
আপু বৃষ্টি নামের সব কিছুই কেমন যেন ,, একটু ফাঁকিবাজ টাইপের 😀। আর আমার ঐ দীক্ষা এক দিনেই শেষ। অভ্যাস না থাকলে সব হারিয়ে যাবে। দোয়া করবেন আপু। অনেক ধন্যবাদ।