গল্প আড্ডায় কাটানো কিছু প্রিয় মুহূর্ত
নমস্কার,,
আগে থেকেই বেশ আড্ডাবাজ আমি। আর ক্যাম্পাস লাইফে কিছু জুনিয়র এবং সিনিয়রও পেয়েছি এমন। এই মানুষ গুলোকে কাছে পেলে মুহূর্তেই অন্য জগতে হারিয়ে যাই। তৌহিদা আপুর বাসায় থাকা অবস্থাতেই বার বার ফোন আসছিল তেমন কয়েক জন প্রিয় মানুষের। একজনের নাম রাজিব আর এক জনের নাম রাকেশ। রাজিব কে অনেকেই চিনেন এখানে। দারুন গান করতো। এখন আর অ্যাক্টিভ নেই বেশ কিছুদিন হলো। যাই হোক আপুর বাসার পাশেই রাজীবের অফিস। আমি দশ মিনিটের মাঝেই সেখানে পৌঁছে গেলাম। কিন্তু ওখানে যে আমার জন্য আরো সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছে একদমই জানতাম না আমি। গিয়ে দেখি আমার সিনিয়র রেজুয়ান ভাই একই অফিসে জয়েন করেছেন। আমাকে দেখেই ভাই জোড়ে নাম ধরে ডেকে জড়িয়ে ধরলো। কত বছর পর দেখা! এতো এতো আড্ডা দিয়েছি, দুষ্টামি করেছি এই মানুষটার সাথে! কত পরিবর্তন হয়ে গেছে ভাই।
ভাইয়া আমাকে আর রাজীব কে নিয়ে নিচে নেমে আসলো। একসাথে বার্গার খেলাম আর আড্ডা দিলাম। ক্ষণিকের জন্য আমার ভার্সিটি লাইফে ফিরে গিয়েছিলাম আমরা সবাই। ঘন্টা খানেক সময় সেখানে থাকার পর রাজিব ওর নতুন বাড়ীতে নিয়ে গেল। পাশেই একদম। রাজিব একটু ফ্রেশ হয়ে নিলে আমরা দুজনে রওনা দিলাম টি এস সি এর দিকে। ওখানে রাকেশ এসে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল। সত্যি বলতে আমরা জুনিয়র সিনিয়র হলেও একদম বন্ধুর মত মিশি আগে থেকেই। একদম যেন আপন ভাই। আর অনেক দিন পর দেখা হলে কতোটা ভালো সময় কাটে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না একদমই।
একটু নিরিবিলিতে আড্ডা দিতে চলে গেলাম উদ্যানে। ঢাকাতে যারা থাকেন তাদের সবারই ভালো ধারণা আছে উদ্যান নিয়ে। হাহাহাহাহা। যার যা মন চাইছে সে তাই করছে সেখানে। তবে দারুন বাতাস আছে এই জায়গায়। তাই বসে কথা বলার জন্য আমাদের মত বয়সী ছেলেদের জন্য উত্তম একটা জায়গা এটা। তবে বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারি নি বসে। একটু পরেই বেরসিক বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেল। আমরাও বেরিয়ে পরলাম।
জীবনে চলার পথে খুব বেশি বন্ধুর যে প্রয়োজন এমন না কখনোই। বন্ধুর মতো বন্ধু বা কাছের মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন হলেই যথেষ্ঠ। আমার কাছে এই মানুষ গুলো এমনই। চোখ বুজে এদের আমি বিশ্বাস করতে পারি। আমি আস্থা রাখতে পারি। এটাই অনেক বড় তৃপ্তির ঢেঁকুর আমার জন্য। ঈশ্বর আমাদের সবাইকে ভালো রাখুন, হাসিখুশি রাখুন, এটাই প্রার্থনা করি সব সময়।
আমারও আসলে সেটাই মনে হয়, জীবন চলার পথে খুব বেশি একটা বন্ধুর প্রয়োজন নেই যারা আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের নিয়ে থাকলেই হল। আর সিনিয়র জুনিয়র এর খেলা কিন্তু আমরাও প্রচন্ড খেলেছি। তবে জুনিয়রদের সাথে কখনোই আমি খুব বেশি একটা মিশতাম না। বেশিরভাগ সময় সিনিয়রদের সাথে থাকতাম। আর ভালো সময় কাটিয়েছেন সেটা তো আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম।
আমি তো গান বাজনা নিয়ে থাকতাম, তাই সবার সাথেই আমার বেশ একটা ভালো সম্পর্ক হয়ে যেত। আর আমিও খুব ইনজয় করি ব্যাপার গুলো। সত্যি বলতে এই ছেলেগুলো জুনিয়র হলেও কখনো বেয়াদবি করে না, সব সময় একটা রেসপেক্ট রেখে চলে। এটা একটা অন্য রকম ভালোবাসা।
নিরিবিলিতে আড্ডা দিতে চলে গেলাম উদ্যানে বাহ্ দারুন দাদা। আব্বা দিতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যদি হয় খুব কাছের মানুষ গুলো। একদমই ঠিক বলেছেন। জীবনে চলার পথে বেশি মানুষের প্রয়োজন হয় না। মনের মতো তিন চার জন হলেই যথেষ্ট। আপনাদের সবাইকে একসাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনাদের সবার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আড্ডা হবে তো ভাই, 🤪🤪। আর সত্যি বলতে আমি ভীষন মজা ভাই সবার সাথে হৈ হুল্লোর করে সময় কাটিয়ে। অনেক ধন্যবাদ লিমন ভাই।
আসলে একটা মানুষ তার জীবনে বেশি কিছু চায় না, মনের মত বন্ধু অথবা প্রিয় মানুষ পেলেই হয়। অনেকদিন পরে যেহেতু দেখা হয়েছে তাই মুহূর্তটা বেশ ভালোভাবে কেটেছিল বুঝতেই পারছি। খাওয়া দাওয়া আড্ডা দেওয়া সবকিছুই ভালোভাবে করেছেন। আমাদের জীবনে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ থাকলেই যথেষ্ট হয় জীবনের পথ চলাতে এগিয়ে যেতে। আপনাদের সম্পর্ক যেন এরকম থাকে এটাই দোয়া করি।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। খুব ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর গোছানো মন্তব্য পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন আপু।
কাছের মানুষদের সাথে আড্ডা দিতে অনেক ভালো লাগে। যারা আমাদের পাশে সব সময় থাকে তাদের সাথে সময় কাটাতেও খুব ভালো লাগে এবং কি তারা আমাদের অনেক আপন হয়। আপনাদেরকে দেখে খুব ভালো লেগেছে। আসলে সিনিয়র জুনিয়র হলেও বন্ধুত্ব সব থেকে অন্যরকম হয়। সিনিয়র জুনিয়র এর সাথেও কিন্তু বন্ধুত্ব হয়। আপনাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কটা যেন এরকম ভাবে থাকে দোয়া করি।
আমরা সিনিয়র জুনিয়র হলেও ভীষণ ফ্রেন্ডলী আর একে অপরের প্রতি সব সময় একটা রেসপেক্ট রেখে চলি। এজন্যই হয়তো সম্পর্ক টা এতো ভালো আছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।