কনসার্টে কাটানো এক রাত
নমস্কার,,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। ভ্যাপসা গরমের ভাবটা যাচ্ছে না একদম। মেঘ করছে তবু বৃষ্টি নেই। আর একদিন পরেই ঈদ। সবাই প্রিয়জনের সাথে ঈদ করবে বলে বাড়ি যাচ্ছে। চার দিকে একটা উৎসবের আমেজ। রাস্তায় বেরোলেই বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল। আমার বেশ লাগে এই দৃশ্যগুলো দেখতে। একটা সময় গিয়ে অপেক্ষার অবসান হয় প্রিয় মুখ গুলো দেখে। ভাবতেই ভেতরে কেমন একটা অনুভূতি কাজ করে।
কিছুদিন আগে কলকাতা থেকে ফেরার পর মনটা কেমন যেন হয়ে ছিল। বন্ধু বুয়েটে থাকে। ফোন দিয়ে বললো বিকালে চলে আসতে। এক সাথে সবাই আড্ডা দেওয়া যাবে। দেরি না করে দুপুরের আগেই রওনা দিলাম যাতে করে ওখানে গিয়ে ক্যান্টিনে খেতে পারি। আসলে ওখান কার ক্যান্টিনের রান্না বেশ মজার হয়। খাবারের দাম টাও বেশ কম। তো মুরগীর রোস্ট দিয়ে জম্পেশ একটা খাওয়া হলো।
তারপর হঠাৎ শুনি যে রাতে কনসার্ট আছে একটা ক্যাম্পাসেই। লোকাল অনেক ব্যান্ড আসবে। মোটামুটি দুই বছর পরে এমন খোলা কনসার্ট হবে বুয়েট ক্যাম্পাসে। সবাই আমাকে জোর করে ধরলো যেন না যাই। আমারও মনে হলো অনেক দিন পর একটু অন্যভাবে রাত্রি যাপন করেই যাই।
রাত এগাোটায় যখন ড্রামে বিট পরা শুরু হলো ভেতরে কি এক অদ্ভূত অনুভূতি হতে শুরু করলো। কত দিন পর এমন একটা রাত। ক্যাম্পাসে লাইফে এমন রাত কত কাটিয়েছি। দিনগুলো মনে হলে আজও শিউরে উঠি। ব্যান্ড ভোকালের সাথে গলা ছেড়ে চিৎকার , আলো আঁধারের খেলায় নিজেকে হারিয়ে ফেলা , উফ কি রোমাঞ্চকর ছিল রাত গুলো। অন্য এক পৃথিবীতে যেন হারিয়ে যেতাম। আবেগের গভীরতা ছিল অন্য লেবেলে পুরো। একটা সত্যি কথা স্বীকার করতেই হবে যে যেই বয়সে যেই কাজ করার জন্য উপযুক্ত সময় তখনই সেটা বেশি ভালো লাগে। পরবর্তিতে ঐ একই অনুভূতি পাওয়া যায় না। আমি পুরো কনসার্ট টা উপভোগ করছিলাম ঠিকই কিন্তু একটু পর পর কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম।
গল্প আড্ডা খাওয়া দাওয়ায় কখন যে ভোর হয়ে আসলো বুঝতেই পারলাম না। নিজেকে একটু হলেও যেন খুঁজে পেলাম। বড্ড খারাপ সময় পার করছিলাম। একঘেয়েমি হয়ে গেছিলাম রোজকার জীবন যাত্রার উপর। এই বিনোদন গুলো সত্যিই ভীষণ দরকার জীবনকে উপভোগ করার জন্য। বন্ধুরা সেদিন জোর করে আটকে না রাখলে হয়তো জীবন থেকে এই মুহূর্ত টাও হারিয়ে ফেলতাম। আর দিনশেষে এই বন্ধু গুলোই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যে কোন পরিস্থিতিতে এরাই থাকবে পাশে। এই মানুষ গুলো ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ থেকে যেতাম আজীবন।
আপনাদের ওদিকে তো মেঘ করেছে। আমাদের এইদিকে তো মেঘ ও নেই। গরমে সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। আসলেই সব কিছুর একটা বয়স থাকে। এই যে আগে ঈদের জন্য কি একটা আনন্দ কাজ করত। আর এখনকার ঈদে কিছুই মনে হয় না। যাই হোক অনেক দিন পর কনসার্টে বন্ধুদের সাথে ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। দোয়া করি বেশিদিন যেন এই মাঝে মাঝে হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি না থাকে।
আজ তো আরো গরম আপু। কাল ঈদের দিন যে কি হয় এটাই দেখার। অনেক ভালো লাগে আপু আপনার মন্তব্য পেয়ে। মন দিয়ে যে সব লেখা পড়েন এবং সব কিছু বুঝে ফেলেন এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই অনেক কষ্টের। সেদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান। অনেক ভালো থাকবেন আপু ❤️
কনসার্টে দারুন ভাবে কাটানো সময় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হঠাৎ করে বাইরে যাওয়ার কথা শুনলে আমার বেশ ভালো লাগে ভাই। যাই হোক বন্ধুর সাথে কনসার্টে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। সেই সাথে এই সুন্দর মুহূর্ত কে আমাদের মাঝে গণনা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাই। ভালোবাসা রইলো।
আমিও কয়েকদিন নিয়মিত বুয়েটের ক্যান্টিনে খেয়েছিলাম। আমার চাচাতো ভাই ওখানে পড়ত। সত্যি ওদের খাবারগুলো অনেক সুস্বাদু এবং কম দামে পাওয়া যায়। এবং এক কাজে গিয়ে অন্য কাজ মানে কনসার্ট। কনসার্ট টাও দারুণ উপভোগ করেছেন ভাই। দারুণ একটা সময় কাটিয়েছেন।।
ওখানে খাওয়ার লোভেই আরো বেশি যাই আজকাল। হিহিহিহি। অনেক ভালো থাকবেন ভাই ❤️
💕❤💕