হঠাৎ ছুটে চলা
নমস্কার,,
অনেক দিন বাদে আবার হরতাল অবরোধ শুরু হয়েছে। নির্বাচন সামনে। হয়তো এই ভয়াবহতা আরো বাড়বে। সাধারণ মানুষের কত যে ভোগান্তি হয় এসবে, এটা যদি রাজনীতির মোড়লরা একটু অনুভব করতে পারতো! দেখার কেউ নেই। বলার কেউ নেই। সবাই সবার মত চলছে।
এই সময়ে বাড়ির বাইরে দূরের জার্নি করতে সব সময় একটু ভয় লাগে আমার। যে কোন সময় মারামারি বা গন্ডগোল লাগার একটা ভয় থেকেই যায়। মনে একটা আতঙ্ক কাজ করে। কিন্তু কখনো কখনো পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করে ঘর থেকে বের হতে।
বিশেষ দরকারেই ঢাকায় আসতে হয়েছিল। তবু আবার রওনা দেওয়ার আগের রাতে জানতে পারি রবি সোম আবার অবরোধ দেশে। এক রকম অস্বস্তি নিয়েই বের হতে হয়েছিল বাড়ি থেকে। বাস কাউন্টারে উপচে পড়া ভীড় ছিল যাত্রীদের। কারণ আগে তিনদিন অবরোধ চলেছে। একটু ফাঁকা পেয়ে মানুষ তার নিজ নিজ প্রয়োজনে আবার বেরিয়ে পরেছে। যাই হোক আমি সকাল সকাল খুব একটা রওনা দেই না। তবে এবার সকাল সাড়ে নয়টায় রওনা দিয়ে দেই বাড়ি থেকে।
মজার ব্যাপার মানুষের চাপ থাকলেও রাস্তায় জ্যাম ছিল না একদমই। খুব দ্রুত চলে এসেছিলাম ঢাকায়। তবে হেমায়েতপুরে এসে আরেক ঝামেলা বাঁধে পুলিশের সাথে। আমাদের গাড়ির ড্রাইভারের থেকে সব কাগজ নিয়ে চলে যায় পুলিশ। পরে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে গাড়ি ছাড়াতে হয়েছে। আমি রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম যে এস আর ট্রাভেলসের গাড়ি আটকিয়ে দিয়েছে। আজ অবধি কোনদিন এমনটা দেখি নি। পুরো উত্তরবঙ্গে এক চেটিয়া ব্যবসা করে এস আর ট্রাভেলস। আসলে এই গাড়ির মালিক বর্তমান বিরোধী দলের একজন সাংসদ। তাই হয়তো শেষ সময়ে এসে এমন করেছে।
সে যাই হোক, খুব একটা ঝামেলা ছাড়াই পৌছে যাই আমার গন্তব্যে। মারাত্মক খিদে ছিল পেটে। স্নান সেরেই খেয়ে একটু রেস্ট নেই। তারপর ঘন্টা খানেক রেস্ট নিয়ে আবার নিজের কাজে বেরিয়ে যাই। সে কথা পরে হবে একদিন। আজ এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন এবং সাবধানে থাকবেন।
নির্বাচনের পূর্বে এই কয় মাস দেশ একেবারে উওাল থাকবে। হরতাল অবরোধ অনাকাঙ্খিত ঘটনা চলতেই থাকবে। কিন্তু কিছু করার নেই ভাই। মানুষের সংখ্যা বেশি হলেও রাস্তায় ভীড় ছিল না এটা একেবারে পজেটিভ একটা দিক। তবে পুলিশের টাকা নেওয়ার ব্যাপার টা আমাকে খুব একটা অবাক করেনি হা হা। এটা যেন ওদের অধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাহাহাহা,, সবাই এখন দেশের মালিক হয়ে গেছে ভাই। আমাদের সবকিছু মেনে নেওয়া ছাড়া কোন বুদ্ধি নাই আর। অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
দেশের অবস্থা খুব খারাপ।সাধারন মানুষ এই আমরা ভোগান্তির স্বীকার। কারো কিছু করার নেই।এ সময়ে বাড়ির বাইরে না আসাই ভালো। তারপরেও কাজে আসতে হলো ঢাকায়।পথ-ঘাট একদম ফাঁকা। মানুষের জীবনের মায়া টুকু তো আছে।তাই কাজ ছাড়া কেউ বের হয়না।এজন্যই ফাঁকা পেয়ে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেলেন।যাই হোক সাবধানে থাকবেন আশাকরি।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতিগুলো শেয়ার করার জন্য।
সত্যি বলতে প্রয়োজন ছাড়া এসময় কেউ বের হয় না আর। জীবন হাতে নিয়ে চলতে হয় প্রতিটা মানুষের। অনেক ধন্যবাদ আপু সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।