আমাদের ঝটিকা সফর 🤟✌️
নমস্কার,,
বৃহস্পতিবার রাতে আমার বন্ধু অনুপ আসে গাজীপুর থেকে আমার কাছে। আগে আমরা এক সাথেই থাকতাম। কিন্তু এখন চাকরির কারণে গাজীপুর থাকে। সময় সুযোগ পেলেই ঢাকা আমার এখানে চলে আসে। তো গতকাল শুক্রবার সকালের পর হঠাৎ করেই অনুপ বলে বসলো, "সজীব চলো আজ বিকালে গাজীপুর যাই, তোমাদের তো রান্নার খালা আসবে না, রান্না করেই খেতে হচ্ছে, এর থেকে এক রাত আমার ওখান থেকে ঘুরে আসবে চলো, নতুন জায়গা ভালোই লাগবে"।
প্রথমে জ্যাম ঠেলে যেতে রাজি হলাম না একদমই। কিন্তু তারপর অনুপের গুতোগুতি তে না রাজি হয়ে আর উপায় ছিল না। সকাল আর দুপুরের খাওয়া তো একটাই ছিল আমাদের সেই দুপুর তিনটার দিকে। ওটা কোন রকমে খেয়েই বিকালের দিকে অনুপের সাথে বেরিয়ে গেলাম এক ঝটিকা সফরে।
যুবলীগের সম্মেলন ছিল গতকাল ঢাকায়। তাই বাস খুব একটা ফাঁকা পাওয়া যাচ্ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর অবশেষে মহাখালী থেকে গাজীপুর যাওয়ার জন্য বাসে উঠে গেলাম। ভালো সিটও পেয়ে গিয়েছিলাম দুজন এক সাথে। আর এভাবেই আমাদের গন্তব্যের দিকে যাত্রা শুরু হয়ে গেল। দুজনের হাসি ঠাট্টা আর ডিসকর্ডে সবার সাথে আড্ডা দিতে দিতে মোটামুটি আড়াই ঘন্টার মাঝেই পৌঁছে গেলাম আমাদের গন্তব্যে। কেন যেন ভীষণ খিদে পেয়ে গিয়েছিল বাস থেকে নেমেই। জায়গাটার আশেপাশে খুব ভালো রেস্টুরেন্ট বা হোটেল কিছুই পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ করেই চোখে পড়ল কাজী ফার্মের একটা রেস্টুরেন্ট। ওখানে গিয়ে হালকা করে ফ্রাইড রাইস আর চিকেন খেয়ে নিলাম। খাবারের পরিমাণটা অল্প দিলেও স্বাদে বেশ ভাল ছিল। তারপর এদিক-ওদিক একটু ঘোরাফেরা করে অনুপের ফ্ল্যাটের দিকে রওনা দিলাম।
নতুন পরিবেশে নতুন জায়গার মানুষ জনকে দেখে সবসময় আমার বেশ ভালো লাগে। রিকশা নিয়ে যখন যাচ্ছিলাম ভেতরের দিকটায়, রাতের ঠান্ডা বাতাসে প্রথম এবার অনুভব করলাম শীত বোধ হয় এসেই গেছে। অনুপের কোয়ার্টারটা একটু গ্রামের দিকে ছিল। আমি বলে বোঝাতে পারবো না কত চমৎকার জায়গাটা। বাসায় ওঠার আগে দুজন মিলে চা কফি খেলাম। চারপাশের কিছু এরিয়া আমাকে ঘুরিয়ে দেখালো অনুপ। এক কথায় ভালো লেগে গেল। ঢাকার এই যানজট আর ইট পাথরের বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে এসে সবুজের মাঝে থাকার অনুভূতিটা পুরোপুরি আলাদা একদম। দুজন মিলে রাতে অনেক গল্প হল। তারপর তো শেষ রাতের দিকে ঘুমিয়েছি।
অনুপের যেহেতু সকাল সকাল অফিসে যেতে হয় তাই ভোরে উঠতে হয়। আমিও উঠে গেলাম ভোর ছয়টায়। এ বছরে বোধহয় আজকেই প্রথম এত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছি। সাত তলা থেকে যখন বাইরে তাকাচ্ছিলাম, পরিবেশটা কি যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। অনেকদিন পর কুয়াশায় মোড়ানো একটা সুন্দর সকাল দেখলাম। বেলকনিতে খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম একা একা। ভীষণ ভালো লাগছিল।
আর তার কিছুক্ষণ পর দুজন মিলে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে গেলাম। অনুপ অফিসের দিকে আর আমি ঢাকার দিকে। হঠাৎ করেই কোন প্ল্যানিং ছাড়া এরকম ছোটাছুটি গুলোই যেন বেশি ভালো লাগে। নতুন কিছুর সাথে পরিচিত হয়ে আসলাম আরো একটা বার। অল্প সময় হলেও খুব মিষ্টি একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে আমার এই ঝটিকা সফরটি।
সত্যি ভাইয়া আপনার বন্ধু অনুপ সাথে ঝটিকা সফরটি অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এক জায়গায় এরকমের বন্ধী থাকতে থাকতে আর ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে এধরনের সফর হলে ভালোই লাগে।বন্ধুর অনেক দিন পর এভাবে গল্প করলে শেষ রাত কেনো সারা রাতে শেষ হবার নয় হা হা হা। ফ্রাইড রাইস আর চিকেন বেশ ভালোই খেয়েছেন।
দুজনের যে কত কথা শুরু হয়ে গিয়েছিল, সেটা সারা রাতেও শেষ হবার ছিল না আসলে। এমন বন্ধু জীবনের অনেক বড় সম্পদ আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হঠাৎ করেই প্লানিং বাদে এরকম ঘোরাঘুরিতে অনেক আনন্দ হয়ে থাকে আমিও মাঝে মাঝেই গাজীপুর থেকে বসুন্ধরাতে যাই সেখানে আমার দুইটা বন্ধু এবং একটা ভাই থাকে ওদের সাথে আড্ডা দিতে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার দিন অফিস করে চলে যায় এবং শনিবারে এসে আবার অফিস করি।। মাঝে মাঝে জ্যামে পড়লে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।। আপনারা দুই বন্ধু দেখছি অনেক ভালো সময় পার করেছেন সেই সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে সুন্দর খাবার খেয়েছেন।। আমার আবার খুব ভালো লাগে খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে এরকম আবহাওয়া প্রায় দিনই দেখা হয়।। আপনার সাত তলা থেকে করা ফটোগ্রাফি গুলা দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর লাগছে। হালকা কুয়াশা সবুজে মোড়ানোর দৃশ্য এক কথায় অসাধারণ।।
আসলে হঠাৎ আসা এই আনন্দ গুলোই বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। প্ল্যানিং করলেই ভেস্তে যায় সব। আমার ঘুমাতে একটু রাত হয়ে যায় তো ভাই তাই সকালে খুব একটা ওঠা হয় না আর। ভালো লাগলো খুবই আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার বন্ধুর সঙ্গে ঝটিকা সফর টি আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো । সব সময় একই জায়গায় বন্দি থাকতে থাকতে জীবনটা একঘেয়েমিতে চলে আসে । মাঝে মাঝে এরকম জায়গা পরিবর্তন হলে মন্দ হয় না । আপনার সাততলার উপর থেকে তোলা ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে । এরকম কুয়াশায় মোড়ানো শীতের সকাল দেখা হয় না দীর্ঘদিন । আপনিও দীর্ঘদিন পর এরকম সকাল দেখলেন যেনে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ ।
এই বছরে এই প্রথম দেখলাম এমন কুয়াশা মোড়ানো সকাল। আমার তো মনে হচ্ছিল যেন বান্দরবন চলে এসেছি হিহিহিহি। অনেক ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সবসময়।
বন্ধু তো সেটাই যে আনন্দে সুখে দুঃখে সবসময় ছায়ার মতো লাগে থাকে ৷ দুই বন্ধু মিলে তো অনেক সময় একসাথে ছিলেন ৷ ঝাটিকা সফর তাহলে অনেক আনন্দের সাথে কেটেছে ৷
হ্যাঁ বেশ মজা হয়েছে সত্যি। আর অনেক ভালো সময় কেটেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
এভাবে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে বের হয়ে ঘুরে তারপর খাওয়া-দাওয়া করলে অনেক ভালো লাগে।ফ্রাইড রাইস গুলো দেখে আমার পেটে খিদা লেগে গেছে।আপনার বন্ধু অনুপমের সাথে বেশ ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ে অনেক ভালো সময় কাটালেন।
সবার রেসিপি পোস্টের ছবি দেখে আমরা যেমন পেট ভরাই তেমন করে আপনিও পেট টা ভরিয়ে নিন আপু ছবি দেখে। হিহিহিহি। ভালো লাগলো অনেক আপনার মন্তব্য পেয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে
শীতের আবহ তাইলে শুরু হয়েই গেছে।আসলে গ্রামে থাকলে এই শীতের সকালটা বেশি ভালো লাগে,সকালে ঘুম থেকে উঠা আর মায়ের হাতের নাস্তা।আর আসলেই প্ল্যানিং ছাড়া ঘুরাঘুরি গুলো বেশিই জোস।😍
হ্যাঁ প্ল্যান করে আসলে কিছু হয় না। এভাবেই হুটহাট করেই সব কিছু জমে ওঠে বেশি। অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আসলে বন্ধুর সাথে ঘোরাঘুরি করতে ভালোই লাগে। আর শহরের বিল্ডিংয়ে যানজট থেকে গ্রামের দিকে গেলে এমনিতে অনেক ভালো লাগে। শেষে আপনার সাত তলা থেকে তোলা ফটোটা দেখে বুঝতে পারলাম জায়গাটা আসলে অনেক সুন্দর ছিল। আমার কাছে তো দারুন লেগেছে।
ঢাকা শহরে থাকতে তো আরো ভালো লাগে না। বিরক্তিকর একটা জায়গা। তাই গ্রামের এই পরিবেশ গুলো দেখলে মন জুড়িয়ে যায় একদম। ধন্যবাদ ভাই।
দুই বন্ধু মিলে তো ভালোই এক চিলতে সময় কেড়ে নিলেন ব্যস্ত জীবনের মাঝেও।এমন একটা বন্ধুর বড় অভাব যে যখন খুশি চলে যেতে পারবে আমার সাথে। সবারই বাড়ি থেকে ছাড়বে না, সেই ভয়।আমআদের বন্ধুরা একসাথে বেড়োনো মানেই সন্ধ্যের মধ্যে ঘরে ঢুকতে হবে। ☹️
হিংসে হচ্ছে দেখে। যদিও আপনারা ছেলে। আমাদের মেয়েদের নিয়ে পরিবার প্রথমেই নিরাপত্তার কথা ভেবেই আটকে দেয়। তবুও তার মধ্যে অনেকে যায়। বলছি "অল্প" ফ্রাইডরাইস-চিকেন টা কিন্তু সুস্বাদু লাগছিলো! 😁
বলছি যে আমিও কিন্তু বাড়িতে না জানিয়েই চলে গিয়েছিলাম 😀। বাড়িতে জানালে নানান প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো 😉। ছেলেরা বাইরে থাকলে এই এক সুবিধে। আর মজার কথা কি বলুন তো, খাবারের প্লেট গুলো আমাদের সামনে যখনই দিয়ে গেল , আমরা দুজন প্রথমেই মন খুলে একটু হেসে নেই পরিমাণ গুলো দেখে 😅।
কাজের খালা আসবে না খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা এই জন্য চুপ করে বন্ধুর সঙ্গে চলে গেলেন। আর আমি যে ডাকলাম । এর পরে কিন্তু আর বলতে পারবেন না যে আমি ডাকিনি। ঢাকা শহর থেকে বের হয়ে একটু গ্রামের দিকে গেলে আসলেই খুব ভালো লাগে পরিবেশটা দেখতে। তাছাড়া কোয়াটারগুলো আরেকটু গোছানো হয়। আপনি সকালবেলায় উঠে সাত তলা থেকে যে ছবিটি তুলেছেন মনে হচ্ছে যে পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মেঘের ছবি তুলেছেন। এত সুন্দর লাগছে কুয়াশা দেখতে। কয়েকদিন ভালো সময় কাটাবেন মনে হচ্ছে।
সেই সেই 👌 একা একা চলে গিয়ে এখন বড় কথা 😳। আপু আমি পরের দিনই চলে আসছি। আর সত্যি বলতে সকালবেলা উঠে যখন ছবিটা তুলছিলাম আমার নিজের কাছে মনে হচ্ছিল যেন বান্দরবনে এসে দাঁড়িয়ে আছি 😊।
ঘোরাঘুরি করতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে। আর নতুন জায়গায় নতুন মানুষ দেখা আমার ছোটবেলার নেশা রে ভাই। তবে আপনাদের ওখানে ফ্রাইড রাইস আর চিলি চিকেন দেখতে একটু অন্যরকম লাগছে। ছোট চাল দিয়ে করা হয় মনে হয়।😊 আর সব থেকে ইম্পর্ট্যান্ট কথা শীতকালে আমার সকালে ঘুম ভাঙ্গে না।🤣
আসলে জায়গা টা খুব একটা উন্নত না, ওটুকু যে পেয়েছিলাম খেতে এই আমাদের কপাল ছিল রে ভাই 😅। আর আমি তো ঠেলায় পরে সকালে উঠেছিলাম। উপায় ছিল না একদম। 🤪