কুয়াশার চাদরে মোড়া চারপাশ
নমষ্কার,,
কিছুদিন আগে যখন বাড়ি এসেছিলাম তখন শীতের একটা আমেজ টের পেয়েছিলাম ঠিকই, তবে সেটা এতটাও ছিল না। ঢাকা থাকলে তো এত ঠান্ডা বোঝার কোন উপায় নেই। মানুষের চাপেই ঠান্ডা পালানোর জন্য রাস্তা কেটে নেয়। কিন্তু গতকাল বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পর হাড়ে হাড়ে টের পেলাম যে ঠান্ডা বাবাজি খুব ভালোভাবেই তাবু খাটিয়ে বসে গেছে।
রাতের জার্নি আমার সব সময় ভালো লাগে। কিন্তু আমার মা বাবার পছন্দ না এটা। তবে নানান কাজ শেষ করে সন্ধ্যে বেলা ছাড়া রওনা দেওয়ার আর কোন পথ আমার জন্য খোলা ছিল না একদমই। কল্যাণপুর থেকে সাড়ে ছয়টার টিকিট কেটে নিলাম। টেকনিক্যাল থেকে বাস ছাড়তে ছাড়তে সাতটা বেজেই গেল।
বাসে বসে একটা মুভি দেখলাম প্রথমেই। টেনেটুনে দেড় ঘণ্টার মাঝেই সিনেমা শেষ। তারপর কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে হালকা ঘুমিয়ে পরেছিলাম। হঠাৎ দেখি গাড়ির স্পীড টা কমতে শুরু করেছে। আর এক পর্যায়ে দেখি বেশ ধীর গতিতে চলছে গাড়ি টা। আশে পাশে তাকাতেই দেখি আসল কাহিনী টা কি ! কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারপাশ। ডানে বামে সামনে শুধু সাদা ধোয়ার মত উড়ছে। ড্রাইভার কি করে যে চালিয়ে আসছিল সেটা ঈশ্বরই ভালো জানেন হয়তো।
অবশেষে রাত সাড়ে দশটায় আমাদের গাড়িটা যাত্রা বিরতি দিল। বাস থেকে নামতেই মনে হলো যেন আমি আর বাংলাদেশে নেই। ইউরোপ আমেরিকার কোন এক শহরে চলে আসছি বোধ হয়। চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা। আর ঠান্ডায় যেন জমে যাচ্ছি। এ বছরে প্রথম এমন তীব্র ঠান্ডার মাঝে পদার্পন করলাম। আমি বেশ মজা নিয়েই চারপাশ ঘোরাঘুরি করলাম। অবশেষে রাত্রি সাড়ে এগারোটায় বাস থেকে নেমে মায়ের কোলে পৌঁছে যাই বেশ ভালো ভাবেই।
গতকালের জার্নির শেষ সময়টাতে খুলনার কথা মনে পরছিল খুব। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রতে যখন চাকরী করতাম তখন এমন রাতের গাড়িতে রওনা দিতাম ছুটি পেলেই। ঘন কুয়াশায় চারদিক ঢাকা থাকতো। মনে একটা ভয় পেতাম ঠিকই তবে অ্যাডভেঞ্চার গুলো বেশ লাগলো আমার।
যাই হোক, বাড়িতে এসে রীতিমত ঠান্ডায় জমে যাচ্ছি। জলে হাত দিতেই ভয় করে সারাদিন। সব কিছুর মাঝে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। দেখা যাক বাড়ির আদর কয় দিন সহ্য হয় পেটে! হিহিহিহি।
সত্যি ভাইয়া শীত বাবাজি ভালো ভাবে তাবু খাটিয়ে বসে আছে। আপনি তো দেখছি গাড়িতে ভালোই সিনেমা দেখছেন । এই কারণে আপনি টের পাননি গাড়ি কেনো ধীরগতিতে যায়।যাইহোক ঠান্ডার জমে গেছেন তার পরেও মায়ের কোলে ভালো মতো পৌঁছাতে পেরেছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
বাসে সিনেমা দেখে খুব একটা মজা পাই নি আপু। তবু সময় কাটানোর জন্য দেখা। আর ভীষণ ঠান্ডা পরেছে এইদিকে । মাথা নষ্ট একদম। অনেক ধন্যবাদ আপু সব সময় পাশে থাকার জন্য।
রাতে জার্নি গুলো কোনো বাবা মা ই পছন্দ করে না। এমনি দিনে রাতে জার্নি যেমন তেমন শীতের সময় রাতে জানি না করাই ভালো। এমন কুয়াশায় অনেক ধরনের এক্সিডেন্ট হয়। তাছাড়া কয়েকদিন ধরে তো ঢাকাতেও বেশ কুয়াশা পড়ছে বাড়ি পৌঁছলে বুঝতে পারবেন যে ঠান্ডা কি রকম পরেছে। ঢাকাতে এত ঠান্ডা ওদিকে তো আরো খারাপ অবস্থা হবে। যাইহোক আশা করি সুস্থ মতো বাসায় পৌঁছে গিয়েছেন।
আসলেই এমন কুয়াশা দেখে আমারও বেশ ভয় করছিল। আর ঠান্ডার কথা কি বলবো আপু, হাড় কাঁপানো শীত পুরো। বাপরে বাপ! অনেক ভালো থাকবেন আপু। দোয়া রাখবেন।
দাদা অবশেষে মা বাবার কাছে চলে এলেন ভালো ৷ আসলে প্রতিটা মা বাবাই বলে রাতে কোনো না যাওয়ার ৷ যা হোক আপনি ছয় টায় যাত্রা শুরু করেছেন ৷ মুভি দেখেছেন এরপর ঘুমিয়ে পড়েছেন ৷ আসলে ভাই আমিও মনে করি যে শীতের রাতে বাসে করে না যাওয়াই ভালো ৷ কারন যে পরিমাণে কুয়াশা ৷ কখন কি হবে মুশকিল ৷
যা হোক আপনি নিরাপদে এসেছেন এটাই বড় ৷ এতোদিন তো শহরে ছিলেন ৷ এবার একটু গ্রামের আবহাওয়া অনুভব করুন ৷
বাড়ি এসে ঠান্ডার ছোবলে পরে গিয়েছি পুরো। পুরো শরীর যেন জমে যাচ্ছে ঠান্ডায়। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাই। অনেক ভালো থাকবেন।