রাতুল ।। আমার গল্প কথা : পর্ব ০১

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

নমষ্কার,,

আমার বাংলা ব্লগে সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি সকলের সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। কয়েকদিন আগে অর্থাৎ গত সপ্তাহে একটি রম্য গল্প লিখে পোস্ট করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আরেকটি নতুন গল্প লেখা শুরু করলাম। তবে এটা কয়েকটি পর্বে পোস্ট করব ভেবেছি। প্রথম পর্বটা সবার সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।

আজকের গল্পের নাম দিয়েছি "রাতুল"

city-1759377_1920 (1).jpg

Source

রাতুল

ফ্যানের বাতাস একটু বেশি ঠান্ডা লাগছিল। তাই কিছুটা উষ্ণতা পাওয়ার আশায় বাম দিকে কাত হয়ে মাকে জড়িয়ে ধরল রাতুল। একটু ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে অস্ফুট স্বরে বলল, মা ঠান্ডা লাগছে। কিন্তু কোন সাড়া এলো না।

রাতুল আবার বলল, মা ঠান্ডা লাগছে। এবারও যখন কোন সাড়া পেল না তখন কিছুটা রেগে গিয়ে উচ্চস্বরে সে বলল, ফ্যানটা বন্ধ করে দাও মা। তারপরও মা কিছু বলল না। কারণ মা ভেবে রাতুল যাকে জড়িয়ে ধরে ছিল সে ছিল একটি কোলবালিশ। বুঝতে পেরে লাথি মেরে কোলবালিশটি মেঝেতে ফেলে দিল রাতুল। তারপর দরজার দিকে এগিয়ে গেল সে। দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে বন্ধ করা। কোন উপায় না পেয়ে উচ্চ স্বরে চিৎকার করে মাকে ডাকতে লাগলো, মা.... মা....।

দরজার সাথে ঠেস দিয়ে সে বসে পড়ল। একটু পরে ঝিমুনি এলে সে ফিরে এল শোবার ঘরে। টেবিলের উপরে একটি বাটিতে রান্না করা পায়েস ঢাকা ছিল। রেগে গিয়ে রাতুল বলল, খাব না। আর সাথে সাথে আঘাত করে বাটিটি মেঝেতে ছুড়ে ফেলে দিল। মুহূর্তেই কানে শব্দ ভেসে এলো ঠন ঠন ঠন ঠন ঠন ....। মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ল রাতুলের প্রিয় পায়েস।

পায়েসের বাটি যেখানে রাখা ছিল তার পাশেই ছিল এক গ্লাস তরল হরলিক্স। হরলিক্স এর গ্লাসটিতেও সে আঘাত করতে যাচ্ছিল তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বলল, পরে খাবো। বিছানায় গিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে চোখ বন্ধ করে আবার শুয়ে পড়লো রাতুল। তবে পাঁচ মিনিটের বেশি চোখ বন্ধ করে রাখতে পারল না সে। চোখ মেলে চাইতেই নজরে এলো দেওয়াল ঘড়িটা। ঘড়িটির নিচে একটি টেবিল ছিল। রাতুল বিছানা থেকে নেমে টেবিলের উপরে দাঁড়িয়ে ঘড়িতে কত বাজে সেটা বোঝার চেষ্টা করল। ছোট কাঁটাটি ছিল ১০ এর কাছে এবং মাঝারি কাটাটি ছিল ১২ এর কাছে। অর্থাৎ দশটা বাজে। রাতুল দশের পর থেকে আঙ্গুল দিয়ে গুনতে লাগলো পাঁচ পর্যন্ত। কাতর কণ্ঠে সে বলল, এখনো সাত ঘন্টা বাকি!

বাথরুমে গিয়ে টুথপেস্ট টিউব টা হাতে নিল কিন্তু সেখানে পেস্ট ছিল না তেমন একটা। তবু আঙ্গুলে সবুজ রঙের পেস্ট ভরিয়ে দেওয়ালে এক এক করে লিখল R, A ,T, U। শেষে একটি L এর প্রয়োজন ছিল। তবে সেখানে যতখানি পেস্ট ছিল সেটা দিয়ে লিখলে দাঁত ব্রাশ করার মত পেস্ট অবশিষ্ট থাকত না। টুথপেস্ট এর L তাই বাথরুমের দেয়ালে ঠাই পেল না ।

চলবে ............................

Sort:  
 2 years ago 

রাতুলের গল্পটা পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি রাতুলের L এর জায়গাটা কোথায় হবে বুঝা মুশকিল। আর রাতুলকে কেনো ঘরে তালা বন্ধ করে রেখেছে বুঝতে পারলাম না। যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু সময় নিয়ে আমার লেখাটা পড়ার জন্য। আশা করি পরবর্তী পর্বে বাকিটা জানতে পারবেন।

 2 years ago 

আপনি দেখছি গল্পও লিখতে পারেন। শুধু শুধু চিল্লাচিল্লি করেন যে কিছু পারি না কিছু পারি না। গল্পটি বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। রহস্য ঘেরা গল্প। কিন্তু গল্পটির কাহিনী এখনো পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না। আশা করি পরবর্তী পর্বগুলো পড়লে বেশ ভালো বুঝতে পারব। ভালই লিখেছেন শুরুটা।

 2 years ago 

আপনাদের মত সুন্দর হাতের কাজ তো আর পারি না। এসব লেখা তো সবাই পারে। আমার তারকাঁটা মাথার এসব আবোল তাবোল গল্প আপু। কাহিনী যে কই থেকে কই নিয়ে যাব এটাই বুঝে পাইনা। তবে আশা করি একটু হলেও নতুনত্ব থাকবে। দোয়া করবেন আমার জন্য।

 2 years ago 

গল্প লেখা পড়ে রীতিমত মুগ্ধ হয়ে গেলাম।পরবর্তী পর্ব টা তো পড়তেই হবে।রাতুলের এরকম হওয়ার কারণ কি।তাছাড়া রুমেই বন্ধ কেন ও।আর এল টা লিখতে পারলো না পেস্ট ফুরিয়ে যাওয়ায়।ইন্টারেস্টিং গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

 2 years ago 

অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার লেখাটা পড়ার জন্য। চেষ্টা করেছি একটু মজার ছলে এবং কিছুটা সাসপেন্স রেখে গল্পটা লেখার। আশা করি পরবর্তী পর্বে আমার পাশেই থাকবেন।

আপনি খুব সম্ভবত গল্পের বই পড়েন। না হলে এত সুন্দর ধাপে ধাপে গল্পের লাইনগুলো লেখা সম্ভব নয়। মনে হচ্ছিল কোন প্রফেশনাল রাইটারের লেখা গল্প পড়ছি। যদিও আপনার লেখা গল্পের রাতুল চরিত্রটির ঠিকঠাক কোনোকিছু এখনো বুঝতে পারিনি। মনে হচ্ছে হঠাৎ করে শুরু হয়েই হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেল।

তবু আঙ্গুলে সবুজ রঙের পেস্ট ভরিয়ে দেওয়ালে এক এক করে লিখল R, A ,T, U। শেষে একটি L এর প্রয়োজন ছিল। তবে সেখানে যতখানি পেস্ট ছিল সেটা দিয়ে লিখলে দাঁত ব্রাশ করার মত পেস্ট অবশিষ্ট থাকত না। টুথপেস্ট এর L তাই বাথরুমের দেয়ালে ঠাই পেল না ।

এই লাইনগুলো দুর্দান্ত লিখেছেন। 😍

 2 years ago 

ভাই বিশ্বাস করেন আমি গল্পের বই একদম পড়তে পারি না। প্রচন্ড ঘুম পায়🤪। এখানে কমিউনিটি তে কিছু কিছু লেখা পড়ে নিজের মত করে কিছু একটা কল্পনা করে লিখছি মাত্র। আর আমি একটু সাসপেন্স রেখেই লিখেছিলাম। আজকের পর্ব পড়লে বাকি টা বুঝে যাবেন আশা করি।

Coin Marketplace

STEEM 0.10
TRX 0.32
JST 0.032
BTC 113098.47
ETH 4104.89
USDT 1.00
SBD 0.65